ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
‘চতুষ্পর্ণী’-র শ্যুটে মলমলের ফুশিয়া, লাল-সাদা শাড়ি এবং একটি সবুজ পিওর সিল্ক বেনারসি পরেছিলেন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। জানালেন, তাঁর ভালোলাগার ক্রমে রয়েছে প্রথমে সিল্ক বেনারসিটি, তারপর মলমল এবং লাল সাদা।
বেনারসির লুকটা আলাদা করে কেন পছন্দ, জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, বেনারসির লুকে সবুজ রংটা ভীষণ উজ্জ্বল। শাড়ির ফ্যাব্রিকটাও ভালো। সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে তাঁর। এরপরে বললেন মলমলের কথা। মলমল তাঁর এমনিতে সবসময়ই পছন্দ। আর উৎসবের ছোঁয়া দিতে শাড়িতে ছিল সিক্যুইন। তাই শাড়িটা অন্যরকম একটা লুক পেয়েছে জানালেন সন্দীপ্তা। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, সলিড কালারে মলমল শাড়ির প্রাধান্য। প্রথমত এই শাড়ির আরামটা তাঁর কাছে গুরুত্ব পায়। এবার মলমল প্রিন্টেড শাড়ি পরবেন পুজোয়। সন্দীপ্তা বলছিলেন, ‘মায়ের কাছ থেকে নিয়ে ছোটবেলায় শাড়ি পরতাম। বড় হয়েও পরেছি। মায়ের আলমারি ঘেঁটে শাড়ি বের করার সময় খেয়াল রাখতাম সেই শাড়ি যেন গায়ে লেগে থাকে। আর পাড়টা যেন সরু হয়। খুব চওড়া পাড়, খুব জরি চুমকি জবরজং কাজে ভরা শাড়ি আমার পরতে ভালো লাগে না। আমি সিম্পল সাজতে ভালোবাসি। আমার মনে হয়, সেটাতেই আমাকে ভালো লাগে। তাই সেটাই মেনটেন করি।’ আর সাদা-লাল শাড়ি প্রচুর পরা হয় উৎসবে। চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে সাজেন তিনি।
কী ধরনের জুয়েলারি বেশি পছন্দ করেন? অভিনেত্রী বললেন, ‘এখন প্রচুর মানুষ হ্যান্ডমেড জুয়েলারি তৈরি করছেন। সেগুলো ক্রেতারা পছন্দ করছেন। এটা খুব ভালো দিক ব্যবসার ক্ষেত্রে। আমার নিজের ভালো লাগে বড় ইয়াররিংস। আর গলায় সরু একটা কিছু। আর হাতে চুড়ি বা বালা না পরে আমার ভালো লাগে আঙুলে একটা বড় আংটি। এছাড়া মুক্তোর গয়না পরতেও ভালোবাসি। অনেক সেট রয়েছে। সঙ্গে রুপোর গয়নাও মাঝে মাঝেই কিনি। ওটাও ভালো লাগে।’
পুজোর সাজে কী মাথায় রাখা উচিত? ‘পুজো মানেই ঘোরাঘুরি, আড্ডা, খাওয়াদাওয়া। তাই পোশাক এমন পরতে হবে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। সাজ হবে ট্রেন্ড মেনে, স্টাইলও হবে। কিন্তু আরামটাও থাকতে হবে। কারণ সেটা না হলে পোশাকটা পরে নিজেরই বিরক্তি লাগবে। সারাক্ষণ যদি ভাবতে হয়, ইশ এই পোশাকটা ভালো মানাচ্ছে না বা টাইট লাগছে। এসব ভাবলে পুজোয় মজা বা আনন্দটা তো আর হবে না। সাজের সঙ্গে আরাম তাই মাস্ট।’
পুজোর শেষে বেড়াতে যাবেন সন্দীপ্তা। বেড়ানোর ভ্লগ করেন? ‘খুব নিয়মিত করা হয় না। অনেকেই করেন। তাঁদের হ্যাটস অফ। আমিও চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে। একটা সময় কত সোলো ট্রিপ করেছি। কত আনকমন জায়গায় গিয়েছি। তখন সেভাবে ভিডিও করা হয়নি। সেটা হলে অনেকে অফবিট বেড়ানোর জায়গা জানতে পারতেন। আবার বেড়াতে গিয়ে এটাও মনে হয় যে আগে জায়গাটা নিজের চোখ দিয়ে দেখি। ভিডিও করার চেয়ে নিজের বেড়ানোটা বেশি জরুরি।’
বিয়ের পরে প্রথম পুজো। একটা আলাদা অনুভূতি। কেমন লাগছে? ‘এবার সবার মনেই একটা খারাপ লাগা কাজ করছে। কিন্তু এটাও ঠিক এই সময়টার জন্য কত মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন একটু বেশি রুজি -রোজগারের জন্য। এই দিকটাও তো ভাবতে হয়। চারপাশে অনেক নেতির মাঝে মনখারাপ হবেই। মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব কমুক। সবাই ভালো থাকুন। ভিতর থেকে ইতিবাচক ভাবার চেষ্টা করুন। আমার বিয়ের পরে প্রথমবার পুজো। সেটা তো আর কোনওবার প্রথম হবে না। তাই আমাদের কাছে এবারটা একটু স্পেশাল। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া আড্ডা ঘোরাঘুরি হবে। বাড়িতে বন্ধুরা আসবে। বাবা-মায়ের সঙ্গে খেতে যাওয়া— এসবই থাকবে।’
• পিওর সিল্ক বেনারসি: মিতান ঘোষ, যোগাযোগ: ৭৫৯৫৮২০৭৫২
• ব্লাউজ: পরমা, যোগাযোগ: ৬২৯১৮৮৯৩৮৮
• জুয়েলারি: গহনা, যোগাযোগ: ৮০১৭২৪৪২৯৯
• মডেল: সন্দীপ্তা সেন
• মেকআপ ও হেয়ার: সৌরভ দাস
• ছবি: সুদীপ্ত চন্দ
• সাদা লাল শাড়ি: প্রিয়গোপাল বিষয়ী
• যোগাযোগ: ৭০৪৪০৮৮৪০৮
• গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
• শ্যুটিংস্থল ও খাবার সৌজন্য: ডাইনার
• ৪৯বি, যোধপুর পার্ক,
• যোগাযোগ: ৯০৫১৯৫০৮৪৬