ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
বছর ঘুরে উমা আসছে বাপের বাড়ি। ছেলে, মেয়ে নিয়ে ঘরের মেয়ের আসার অপেক্ষায় থাকে বাঙালি। সেজে ওঠার এই তো সময়। পুজোর সাজ মানেই অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর কাছে ভরপুর বাঙালিয়ানা। সাবেকি সাজ তাঁর বরাবরের পছন্দের। আর দুর্গাপুজো শাড়ি ছাড়া ভাবতেই পারেন না তিনি। ষষ্ঠী থেকে দশমী অপরাজিতার সাজে থাকে ট্র্যাডিশনাল ছোঁয়া।
শাড়ির সাজে বরাবরই স্বচ্ছন্দ অপরাজিতা বললেন, ‘পুজোয় এখন নতুন শাড়ি কিনি না। অনেক বছর নতুন শাড়ি কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ সারা বছর যেগুলো উপহার হিসেবে পাই, সেগুলোই পরি। অনেক শাড়ি জমে যায়। অত শাড়ি নিয়ে কী করব? বন্ধুরা এত শাড়ি দেয়, সেগুলো না পরলে তাদের মনখারাপ হবে। সেগুলো পরেই উৎসব কেটে যায়।’
ঢাকাই, ফুলিয়ার তাঁত, ধনেখালি, নানা ধরনের হ্যান্ডলুম অপরাজিতার প্রিয়। পাশাপাশি দক্ষিণী গাদোয়াল, কাঞ্জিভরম, চওড়া পাড়ের সিল্ক শাড়িও তাঁর আলমারিতে রয়েছে। সব প্রদেশের শাড়ি পরতে ভালোবাসেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমি সব ধরনের শাড়ি পরি। খুব দামি শাড়ি কিনে টাকা নষ্ট করি না। লক্ষ টাকার শাড়ি কেনা মানে অর্থের অপচয়। আয়ত্তের মধ্যে পোশাক কেনাই উচিত। আমার নাচের স্কুলের স্টুডেন্টরা গুরুপূর্ণিমায় যে শাড়িটি দিয়েছিল, সেটা পরেই সদ্য দাদার বিয়ের অনুষ্ঠান কাটিয়ে দিলাম। দামি জিনিস পরতে হবে, এমন ভাবনা আমার নেই। আমি একেবারেই ব্র্যান্ড ফ্রিক নই।’
দুর্গাপুজো মানেই মায়ের বাপের বাড়ি আগমন। এ সময় যেন অপরাজিতার বড্ড বেশি করে মনে পড়ে নিজের মায়ের কথা। ‘মা চলে গিয়েছেন। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে জড়িয়ে রয়েছেন আমার জীবনে। পুজোর সময় মায়ের আবদারগুলো খুব মনে পড়ে, যেগুলো এখন আর নেই’, বললেন অভিনেত্রী। পুজোর চারটে দিন শ্যুটিং করেন না অপরাজিতা। কিন্তু কলকাতা ছেড়ে যান না। পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর প্রাণের শহরে আনন্দ করতে ভালোবাসেন। স্পষ্ট বললেন, ‘কলকাতার পুজো দেখতে দেশ, বিদেশ থেকে মানুষ আসেন। ফলে কলকাতার পুজো ছেড়ে আমি কোনওদিন কোথাও যাই না। এত আলো, আড়ম্বর, মজা, আয়োজন, এত সুন্দর জনসমাগম, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এত আনন্দ ছেড়ে কোথায় যাব? পুজোর সময় সকলের মন ভালো হয়ে যায়। এই পজিটিভ পরিবেশ ছেড়ে আমার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। আমার যে কোনও অনুষ্ঠান মানেই পরিবার এবং কাছের বন্ধুরা। পুজোয় তাদের সঙ্গেই আনন্দ করে কাটবে।’
মডেল: শ্রাবণী ভুঁইয়া মেকআপ: রাজশ্রী সরকার
ছবি: সৌরভ দে ডিজাইনার: ভবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
আয়োজক: মধুরিসা শীল বিশেষ সহায়তা: রাজ বন্ধন