পুজোর আগে রূপরুটিনে খাওয়াদাওয়া কিন্তু নিয়মমাফিক হওয়া চাই। এমন খাবার চাই যা খেলে ত্বক কথা বলবে। জেল্লা বাড়বে মুখে। আর হাল্কা মেকআপেই আপনি হয়ে উঠবেন তিলোত্তমা। পুজোর বিশেষ খাওয়াদাওয়ার ধরন নিয়ে বিস্তারিত জানালেন কসমেটোলজিস্ট রশ্মি উইগে। তাঁর কথায়, উৎসবের মরশুমে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয় প্রচণ্ড। তাই বিশেষ করে এই সময় ডায়েটে কয়েকটা সাধারণ নিয়ম মেনে চলা ভীষণ জরুরি। 

 গ্রিন টি হ্যাবিট
ত্বকের যে কোনও ক্ষতি রুখতে এই চা অনবদ্য। দিনে তাই বারবার গ্রিন টি খান। তবে একটু খেয়াল রাখবেন একেবারে খালি পেটে এই চা না খাওয়াই ভালো। কিন্তু পুজোর আগে থেকেই যদি প্রতিটি মিলের পর এক কাপ গ্রিন টি খাওয়া যায়, তাহলে ত্বকের রূপ আপনিই বেড়ে যাবে। সূর্যের আলোয় যাঁদের ত্বক লাল হয়ে যায় তাঁদের পক্ষেও এই চা খুবই উপকারী। এতে মুখের লাল ভাব কমে। গ্রিন টি-তে ক্যাটেসিন নামে একটি পদার্থ আছে যা ত্বকের অভ্যন্তরে পৌঁছে ত্বককে সতেজ করে। এছাড়াও গ্রিন টি নিয়ম মতো খেলে ত্বকের খসখসে ভাব কমে যায়, ত্বক মসৃণ দেখায়। 

 ডার্ক চকোলেট
চকোলেটের ভক্ত আমরা সবাই। কিন্তু মিল্কের বদলে যদি ডার্ক চকোলেট খাওয়া অভ্যাস করতে পারেন তাহলে ত্বক নিমেষেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। ডার্ক চকোলেটে যতটা পরিমাণ কোকো থাকে তা ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে বলে তা ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণা বলে, রোজ যদি ২০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট খাওয়া যায় তাহলে তা নাকি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে ত্বককে লড়াই করার শক্তি দেয়। তবে নিয়ম করে রোজ ডার্ক চকোলেট খাওয়ার আগে আপনার অন্যান্য অসুখ ও বিধিনিষেধ সংক্রান্ত বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।

 স্যালাড
দিনে অন্তত এক বাটি স্যালাড অবশ্যই খাবেন। আর সেই স্যালাড হবে ১০০ ভাগ নিরামিষ। তাতে লাল ও হলুদ বেলপেপার, ব্রকোলি আর রাঙালু যেন অবশ্যই থাকে। লাল ও হলুদ বেলপেপারে পাবেন প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। শরীরে  এই বিটা ক্যারোটিন আবার ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। সেই ভিটামিন ত্বককে উজ্জ্বল করে। এছাড়াও এই সব্জিতে আছে ভিটামিন সি, যা কিনা এই সময়ে আমাদের খুবই দরকার। রাঙালুতেও রয়েছে ভিটামিন এ। আর ব্রকোলিতে আছে জিঙ্ক। ফলে এই তিনের মিলমিশে তৈরি স্যালাড শরীর তরতাজা রাখে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।