কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
যেহেতু দিল্লিতে বর্ষাকালে জল জমার সমস্যা প্রবল, তাই বাংলার এই প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবন করা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই সমস্যার অন্তত কিছুটা সমাধান করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে নগরোন্নয়নমন্ত্রক। এমনটাই জানিয়েছে সিএমইআরআই সূত্র। এদিন দুর্গাপুরের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থায় প্রথমে নর্দমা থেকেই জল নেবে সংশ্লিষ্ট যন্ত্র। বিশেষ পদ্ধতিতে তারই রি-সাইক্লিং হবে। এবার পুনর্ব্যবহারযোগ্য সেই জল নর্দমার ব্লকেজ পরিষ্কার অথবা রাস্তায় ময়লা সাফাই কিংবা রাস্তা ধোয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে যন্ত্রে লাগানো ক্যামেরা খতিয়ে দেখবে যে নলের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে, তাতে কোনও গলদ আছে কি না। কোথাও লিকেজ হচ্ছে কি না।
সিএমইআরআই জানিয়েছে, অন্য ক্ষেত্রে সাধারণত একদম পরিশুদ্ধ জল ব্যবহার করে এই কাজ করা যায়। ফলে জল নষ্ট নয়। এক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। রয়েছে সেফটি অপারেটর ফিডব্যাক সিস্টেমের বন্দোবস্তও। দুর্গাপুরের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে, এই যন্ত্রের জেটিং সিস্টেমে উচ্চ চাপের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত সাধারণ বাজারচলতি যন্ত্রে যেখানে মিনিটে কমবেশি ৬০ লিটার জল জেটিং সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকে, সেখানে সিএমইআরআই উদ্ভাবিত যন্ত্রে এর পরিমাণ মিনিটে ১১০ লিটার। যার অর্থ, রাস্তার ময়লা সাফ হোক কিংবা নর্দমার ব্লকেজ পরিষ্কার, তা হবে অনেক দ্রুতগতিতে। সময় লাগবে অনেক কম। পুরোটাই এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিদের সামনে দেখিয়েছে সিএমইআরআই। দুর্গাপুরের প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা হরিশ হিরানির দাবি, স্ক্যাভেঞ্জিংয়ের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে এই প্রযুক্তি। দিল্লিতে চলছে ফিল্ড ট্রায়াল।