কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
এই যোগদানের ফলে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আর কোনও বিজেপি বিধায়ক রইলেন না। এর আগেই কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতে জেলায় বিজেপির ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গেল। পাশাপাশি তৃণমূল আরও শক্তিশালী হল। এর প্রভাবে পুরসভা নির্বচনে গোটা জেলায় তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিনের যোগদানে গোটা জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপিতে থাকাকালীন দলের একাংশ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়য়ন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। এমনকী সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। রায়গঞ্জে তাঁর নিজস্ব পার্টি অফিস থেকে তিনি দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি সরিয়ে দেন। সাংসদকে ‘মীরজাফর দিদি’ বলেও কটাক্ষ করেনে। মোদি ও অমিত শাহের ছবি সহ বোর্ডও খুলে ফেলেন। বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, কৃষ্ণবাবুর দল ছাড়া সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মাঠে নামে।
কৃষ্ণবাবুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে গেরুয়া শিবিরের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্ব কৃষ্ণবাবুর সঙ্গে বৈঠক করে মানভঞ্জনের চেষ্টা করেন। কৃষ্ণবাবুর অভিযোগগুলি নিষ্পত্তি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু এর কয়েক দিন পরেই তাঁকে দল থেকে শোকজ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি দল ছাড়েন। এতে জল্পনা ছড়িয়েছিল তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। অবশেষে এদিন তাই হয়েছে। কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, বিজেপিতে ভালো কাজের মূল্যায়ন নেই, ভালো কাজের পরিবেশ নেই। আছে শুধু ষড়য়ন্ত্র। ষড়যন্ত্র করে রাজনৈতিক লড়াই জেতা যায় না। এজন্য চাই উন্নয়ন, প্রতিশ্রুতি পালন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড সহ বহু জনকল্যাণমুখী কাজ করছেন। নির্বাচনের আগে মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করছেন। বিজেপি সরকার নোটবন্দি, জিএসটি করে মানুষকে বেকায়দায় ফেলেছিল। এখন রান্নার গ্যাসের দাম, পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি করেই চলেছে। এতে গরিব মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, কৃষ্ণবাবুকে দলে স্বাগত জানাচ্ছি। এতে দল আরও সমৃদ্ধ হবে। সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, আগেই তিনি বিজেপি ছেড়ে দিয়েছেন। তৃণমূলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। আগামীর জন্য তাঁর প্রতি শুভেচ্ছা রইল। তিনি বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়েছেন, মানুষ প্রতীক দেখে ভোট দিয়েছেন। সেই সমস্ত মানুষের সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিল। পুরসভা নির্বাচনেও থাকবে। দলবদল করবেন বলেই এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলেছেন।