কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
ডব্লুএমও প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতির তালিকায় প্রথমেই রয়েছে চীন। ২০২০-তে তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৩৮ বিলিয়ন ডলার। এশিয়ায় ভারতের পরেই রয়েছে জাপান। তাদের এই খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৮৫ বিলিয়ন ডলার। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে খরার জন্যই সবচেয়ে বেশি জীবন ও সম্পত্তিহানি হয়েছে। ২০২০ সাল ছিল এশিয়ার উষ্ণতম বছর। ১৯৮১ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যে গড় তাপমাত্রা, তার চেয়ে প্রায় ১.৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল এবার। এমনকী বিশ্বের শীতলতম স্থান বলে পরিচিত সাইবেরিয়ার ভারখায়ানক্সে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ওই বছর। যা উত্তর মেরু অঞ্চলে এ যাবৎ সর্বোচ্চ।
প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, আরব সাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। তবে এশিয়া মহাদেশকে ঘিরে থাকা সমুদ্র ও মহাসাগরগুলির তলের তাপমাত্রা বাকি অংশের তুলনায় তিন গুণ বেশি বেড়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ও বাড়ছে সেই কারণে। ২০২০-তে ভারতে বন্যা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ। মারা গিয়েছেন প্রায় ৫০০০ জন। তবে এই সংখ্যা গত দু’দশকের গড় হারের তুলনায় বেশ কিছুটা কম। এই ঘটনাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতির সুফল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রিপোর্টের বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুব্রতকুমার মিদ্যা বলেন, এই পরিস্থিতি রীতিমতো আশঙ্কাজনক। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণগুলি চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা না করা গেলে রক্ষা হবে না। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য একমাত্র গ্রিন হাউস গ্যাস বেড়ে যাওয়াই দায়ী নয়। এখন যেভাবে ভূমিকম্পের প্রকোপ বেড়েছে, তাতে পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে। এই দিকগুলি খতিয়ে দেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্যকরী পদক্ষেপ করা উচিৎ। তবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্যই যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।