কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) বিবেক কুমার বলেন, এই জেলায় ডুবুরির টিম নেই। তবে সিভিল ডিফেন্সের তরফে উদ্ধার কাজ চলে। এটা সত্যিই একটা সমস্যায় বিষয়। তবে আমরা এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। সেখান থেকেই পুরো বিষয়টি দেখা হবে।
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক শেখর দাশগুপ্ত বলেন, আত্রেয়ী নদীতে তলিয়ে প্রায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। যখনই আমরা খবর পাই, আমরা যা যা করণীয় করে থাকি। কিন্তু ডুবুরি না থাকায় একটা সমস্যা হচ্ছে। এটা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর দেখে। আমি আগেও এনিয়ে কথা বলেছি। নতুন করে আবার কথা বলব, যাতে এখানে ডুবুরির ব্যবস্থা করা হয়। বালুরঘাটের এক সাঁতার প্রশিক্ষক তনয় বারিক বলেন, বিসর্জন দিতে গিয়ে, স্নান করতে গিয়ে কিংবা শিশুরা খেলতে গিয়ে জলে ডুবে যায়। কিন্তু তাদের উদ্ধার করা যায় না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডুবুরির টিমের ব্যবস্থা করা দরকার। এটা হলে দ্রুততার সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধারের কাজে লাগানো যাবে। গত রবিবার বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীতে স্নান করতে গিয়ে এক কলেজ ছাত্র তলিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও ওইদিন তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন রায়গঞ্জ থেকে ডুবুরি এসে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগেও বিসর্জন করতে গিয়ে আত্রেয়ীতে তলিয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এছাড়াও মিলন সংঘ এলাকার দুই শিশু একসঙ্গে ডুবে মারা যায়। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। বিগত কয়েক মাসে বালুরঘাটেই শুধুমাত্র ১০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলা জুড়ে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবারই বাইরে থেকে ডুবুরি এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অনেক সময় বাংলাদেশেও মৃতদেহ ভেসে চলে যায়।
এদিকে জেলা পুলিসের কাছেও ডুবুরি বা উদ্ধারকারী দল নেই। জেলার সিভিল ডিফেন্স টিম থাকলেও তাদের কাছে ডুবুরির ব্যবস্থা নেই। প্রতিবারই রায়গঞ্জ, শিলিগুড়ি, মালদহ বহরমপুর সহ বিভিন্ন জায়গার ডুবুরিদের উপরেই ভরসা করতে হয় পুলিস ও প্রশাসনকে। যার ফলে জলে তলিয়ে গেলে আর বাঁচার আশা নেই। এনিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দাবি জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর নদীমাতৃক জেলা। এই জেলায় আত্রেয়ী, পূর্ণভবা, টাঙ্গন, ইছামতী, যমুনা সহ বিভিন্ন নদী রয়েছে। সেই সব নদীতে অনেক সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে, স্নান করতে গিয়ে অনেকে তলিয়ে যায়। বর্ষার মরশুমে মৃত্যুর হার বাড়ে। সিভিল ডিফেন্সের টিম পৌঁছে শুধুমাত্র স্পিড বোট দিয়ে নামমাত্র তল্লাশি করে। এতে কার্যত কোনও কাজ হয় না। প্রতীকী চিত্র