কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়। প্রায় তিন লক্ষ চাষি পরিবার রয়েছে। ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ধান চাষি আগেই শস্যবিমার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের আবেদনগুলি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিছু চাষি আবেদন করেননি। প্রতি মরশুমে এই বিমা হয়ে থাকে। জিয়ো ট্যাগ ও স্যাটেলাইট ভিউয়ের মাধ্যমে চাষের এলাকা ক্ষতি হয়েছে কি না কিংবা কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেবিষয়ে হিসেব হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক সিরাজুল আলম বলেন, ব্লক থেকে এস্টিমেট পেয়েছি জেলায় ৩১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অর্থের পরিমাণে এখনই বলা যাচ্ছে না। এজন্য সময় লাগবে। ফসল তোলার সময় বোঝা যাবে, কত ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ ক্ষতি হবে, এমন নয়। বেশি ক্ষতি হয়ে থাকলে, যাঁরা শস্যবিমায় আবেদন করেছেন, তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। সমস্ত চাষিকেই শস্যবিমা করা উচিত। আমরা বিমার বিষয়ে মাঝে মধ্যেই এলাকায় সচেতনতা প্রচার করি। কৃষিদপ্তরের ইসলামপুর ব্লক আধিকারিক (এডিও) সিজার মজুমদার বলেন, ইসলামপুর ব্লকে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ১০৪৮ হেক্টর জমির ধান ক্ষতি হয়েছে। আমারা জেলায় এই রিপোর্ট পাঠিয়েছি। বিমা কোম্পানির অধিকারিকদের ফিল্ডে পাঠানো হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জিয়ো ট্যাগিং করা হয়েছে। আমরাও ফিল্ডে গিয়ে খতিয়ে দেখেছি। পণ্ডিতপোঁতা ১ ও ২, আগডিমটিখুন্তি, রামগঞ্জ ১ ও ২ মাটিকুণ্ডা ১ ও ২, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে পণ্ডিতপোঁতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাষিদের সবসময় শস্যবিমার জন্য উৎসাহিত করি। এলাকায় প্রচারও করা হয়। যাঁদের বিমা করা আছে, বিমার সমস্ত শর্ত পূরণ হলে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। চাষিরা বলছেন, সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টিতে ধানের জমিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে। দমকা হাওয়ায় ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ে। লম্বা জাতের ধান গাছ বেশি শুয়ে পড়েছে। কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে ধান কাটা শুরু হয়। কিন্তু অনেক জমিতে এখনও ধান পুষ্ট হয়নি। সেগুলি পড়ে গিয়ে থাকলে চিটে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেগুলির শিষ বের হয়নি, সেই সমস্ত ধানেরও প্রচুর ক্ষতি হবে। ফাইল চিত্র