কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
দিন কয়েক আগেই উপনির্বাচন ঘিরে কংগ্রেস ও লালু-পুত্রের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। কংগ্রেসকে গুরুত্ব না দেওয়ায় আরজেডির সঙ্গে জোট ভাঙার কথা জানান প্রদেশ সভাপতি ভক্তচরণ দাস। কুশেশ্বর আস্থানা ও তারাপুর আসনে দু’দলই প্রার্থী দেয়। লালুকে প্রশ্ন করা হলে, বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘কংগ্রেস সঙ্গে জোটের অর্থ কী?’ কংগ্রেসকে আসন ছেড়ে দিলে তারা তো হেরে যাবে বলেও দাবি করেন লালু। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ভক্তচরণকে ‘বোকাচরণ’ বলে খোঁচা দেন লালু। কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড যে লালুর দলের সঙ্গে জোট চায়, তা মঙ্গলবারই বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া। লালুর মন বুঝতে তাঁকে ফোন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী। যদিও লালুর বক্তব্য, ‘সোনিয়া গান্ধী জানতে চান, আমার শরীর কেমন? আমি বলেছি ভালো আছি।’ সেই সঙ্গে লালু জানান, তিনি সোনিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছেন, সমমনস্ক বিরোধীদের নিয়ে বৈঠক করতে। যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করা যায়। আগামী ৩০ অক্টোবর, শনিবার বিহারের দু’টি আসনে উপনির্বাচন। বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ। তার আগে বুধবার লালুপ্রসাদের সভা ঘিরে আরজেডি কর্মীদের উৎসাহ ছিল যথেষ্ট। কংগ্রেসের প্রতি নরম মনোভাবের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন লালু। একদিন আগেই লালুর সমালোচনা করে নীতীশের কটাক্ষ, ‘লালু খুব বেশি হলে আমাকে খুন করতে পারেন, এর বেশি আর কী করবেন।’ সেই প্রেক্ষিতে আরজেডি প্রধান বলেন, ‘নীতীশকে খুন করার কী দরকার। আমি ওঁর বিসর্জন (রাজনৈতিক) সম্পূর্ণ করতে এসেছি।’ লালুর দল আরজেডিকে জোটসঙ্গী করে ২০১৫ সালে বিহারে সরকার গঠন করেন নীতীশ। পরে লালুর দলের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় জেডিইউ। সে কথা উল্লেখ করে নীতীশের সমালোচনা করেন লালু। একই সঙ্গে বিজেপিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘আজ প্ল্যাটফর্ম টিকিট কাটার জন্য ৫০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আমার সময় তা ভাবাও যেত না।’