কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
বহু প্রাচীন দুর্গাপুর ব্যারেজ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা। শীত এলেই পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমায় এখানে। ব্যারেজের নিম্নভাগে দামোদরের বাঁক, বালির চর বহু মানুষকেই আকর্ষণ করে। অথচ সেখানে এতদিন ছিল না কোনও আধুনিকতার ছোঁয়া। দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া সহ একাধিক ব্লকের মানুষ পিকনিকের জন্য এই জায়গা বেছে নেন। নদীর দক্ষিণ পাড়ে বালির চরের উপর থাকা উঁচু গাছের সারির মাঝেই পিকনিকের আসর বসায় স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা। পরিবার নিয়েও বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন। ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারি মাসে পিকনিক করার জন্য ভালো স্পট পেতে ভোর থেকেই জায়গা রাখতে হয়। এবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সঙ্গে যোগ হচ্ছে উন্নয়নের স্পর্শ। পার্ক গড়ার আগেই নদীর পাড় বড় বড় সিমেন্টের ব্লক দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এরপর প্রথমেই বালির কিছুটা স্তর তুলে সেখানে মাটি ভরাট করা হয়েছে। তার উপর লাগানো হয়েছে ঘাস। গাছগুলি না কেটে সুন্দরভাবে ঘেরা হয়েছে। পুরো এলাকা তারের রেলিংয়ে ঘেরা। সেখানেই বসার জন্য ২০টি জায়গা করা হয়েছে। মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে বাহারি ফুলের গাছ। বড় জলাশয়ের চারপাশে বসার জায়গা রয়েছে। পার্কের সৌন্দর্য্য বাড়াচ্ছে মাঝে মধ্যে থাকা খড়ের চালার নীচে বসার জায়গা। একটি কৃত্রিম পাহাড়কে সাজিয়ে সেখানেই সেলফি জোন বানানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শালিক সহ নানা পাখি ভিড় জমিয়েছে সেখানকার সবুজ ঘাসে। পার্কটির দুটি অংশ রয়েছে। রাস্তার পাশেই উপরের অংশটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে বসার জায়গার পাশাপাশি শিশুদের খেলার নানা উপকরণ থাকবে। বয়স্কদের হাঁটার জায়গা রয়েছে। পার্কের নীচের অংশটির আয়তন বেশি। সেখানে পার্কিং জোনের পাশাপাশি টিকিট ঘর, চারটি বড় গেটও গড়ে তোলা হচ্ছে।তবে পুরো বিষয়টি করা সহজ ছিল না। সেচদপ্তরের জায়গা হলেও তার অনেকটা অংশ দখল হয়ে গিয়েছিল। তাই জায়গা পুনরুদ্বারে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। বহু জায়গা উদ্ধার করাও যায়নি। ওই জায়গা উদ্ধার করা গেলে আরও বেশি এলাকাজুড়ে সৌন্দর্যায়ন হতো বলে জানান অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়।