আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
‘কচুপাতা থেকে টুপ টুপ করে হিম পড়ে। ঘাস ভিজে। পা ভিজে যায়। দুখী বুড়ি উনুন-ধারে উবু হয়ে বসে আগুন পোহায়...।’ সহজপাঠে যে শীতকালীন ছবি রবীন্দ্রনাথ এঁকেছিলেন, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে আবহাওয়া ঠিক তেমনই আভাস দিচ্ছে। শীত আসার ইঙ্গিত। আর তার সঙ্গে করেই নিয়ে আসছে হিমে ভেজা পায়ের অযত্নের দিনকাল। শীতে পায়ের সমস্যা যে বাড়ে তা অজানা নয়। সারাদিন মোজা আর জুতোর অন্তরালে থাকা পা বেচারা দিনের শেষে বড়ই কাহিল হয়ে পড়ে। পায়ে দুর্গন্ধের ঝক্কি তো আছেই, তার ওপর পা ফাটা, পায়ের চামড়া ওঠা এসব সমস্যাও কম নেই। শীতে পায়ের যত্ন বলতে বেশিরভাগই কেবল ক্রিম ব্যবহার করেন। তবে স্রেফ ক্রিম কিন্তু শীতে পায়ের সৌন্দর্য ফেরাতে অক্ষম। তার জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্নের। কেমন সেসব?
রূপবিশেষজ্ঞ শর্মিলা সিং ফ্লোরার মতে, ‘শীতে ক্রিম ব্যবহার করলেও পা ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না অনেকেই। আলস্য আর সময়ের অভাবই এর কারণ। তবু শীতে পায়ের অযত্ন করলে কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হবে। পা তো ফাটবেই, পায়ের নখের কোণে কোণে ময়লা জমে তা থেকে প্রদাহও হতে পারে। শীতে
পা সুস্থ রাখতে তাই বাড়িতেই কিছু যত্ন
নিয়মিত নিন।’
ঠিক কী ধরনের দেখভাল করতেই হবে? হাতের কাছে সামান্য কিছু উপকরণ থাকলে বাড়িতেই পায়ের ঘরোয়া যত্নের পাশাপাশি স্পা-ও সেরে ফেলতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রেস কমাতে এমন ঘরোয়া যত্ন খুবই কার্যকর।
• প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে জুতো মোজা খুলে পা গরম জলে ডুবিয়ে রাখুন। জলে সামান্য নুন বা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। এতে পায়ের ময়লা নরম হয়ে যাবে।
• পা পরিষ্কারের পর পিউমিক স্টোন দিয়ে আলতো চাপ দিয়ে পা ঘষে নিন। এতে সব ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। মৃতকোষও ঝরে গিয়ে পা সজীব হবে।
• পায়ের এই নিত্য যত্নের সঙ্গে সপ্তাহে বার তিনেক এক ফুট প্যাক পায়ে লাগালে পায়ের ত্বক আরও উজ্জ্বল হবে। অল্প টক দই, একটু চিনি মিশিয়ে তার সঙ্গে কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে নিয়ে বেটে নিলেই শীতে পায়ের এক সুন্দর প্যাক তৈরি হয়ে গেল। এবার এই প্যাক ১৫-২০ মিনিট পায়ে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর একটা ভালো মানের ফুট ক্রিম পায়ে লাগিয়ে নিন।
• নিয়ম করে নখ কেটে নখের কোণগুলো পরিষ্কার রাখুন শীতে।
• মোজা পরতে হয় বলে অনেকের পায়েই একটা দুর্গন্ধ থাকে। তা দূর করতে মোজা পরার আগে পায়ে ট্যালকম পাউডার মেখে নিতে পারেন।
• রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জলে মধু ও নুন মিশিয়ে খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চাইলে এই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জলও মেশাতে পারেন। নিয়ম করে এটি করলে পায়ের ত্বক থেকে স্ট্রেস উধাও হবে।
• পা ফাটার বাড়াবাড়ি রকমের সমস্যা থাকলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। হালকা সমস্যায় গলানো মোমের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ফাটা জায়গায় লাগিয়ে রাখুন রাতে। সকালে উঠে ধুয়ে নিন। এতেও অনেকটা উপকার পাবেন।