পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে প্রতি বছরের মতো এবারও দেবী সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠব আমরা। সাজব বাসন্তী সাজে। আসলে শুক্লা পঞ্চমীর দিনটিকেই আমরা বসন্তের আগমনক্ষণ মনে করি। শীতের জড়তা কাটিয়ে জেগে ওঠে প্রকৃতি। গাছেরা নতুন পাতায় সেজে ওঠার তোড়জোড় শুরু করে দেয়। লাল আর হলুদ ফুলের কুঁড়িতে রং লাগে ডালে ডালে। পলাশপ্রিয়া দেবীর পুজোর আয়োজনে তাই পলাশের কুঁড়ি চাই-ই। দেবীর প্রিয় রং বাসন্তী হলুদ। আজ তাই দেবীর আগমন বার্তা নিয়ে এল বাসন্তী সাজ।
প্রথম শাড়িটি বাংলার ঐতিহ্যময় ধনেখালি। মিহি জমিনের শাড়িটিতে তাঁতশিল্পী যত্ন করে বুনেছেন কলকা পাড় আর পটা ডুরে। পটা ডুরের সঙ্গে মিলেছে ঝিরি ডুরেও। লাবণ্যময় শাড়িটি সকালে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিতে যাওয়ার জন্য। সঙ্গে একটু ভারী গয়না মানাবে বেশ। শাড়িটি মধ্য কলকাতার ‘আশা স্টোরস’ থেকে নেওয়া।
দ্বিতীয় শাড়িটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের। লাল সরু পাড় আর শাড়ির ক্যানভাসে অ্যাপ্লিকের কারিকুরি। দেবীর আবাহনে নানারকম বাদ্যযন্ত্রের আঙ্গিকে শাড়ি সাজিয়েছেন ডিজাইনার। বীণা, তানপুরা, তবলা, মাদল, খোল, খঞ্জনি ছড়িয়ে আছে শাড়ি জুড়ে। শাড়িটি ‘সোনাঝুরি বুটিক’ থেকে নেওয়া। সরস্বতী পুজোর বিকেলে কোনও অনুষ্ঠানে যেতে শাড়িটি পরতে পারেন।
তৃতীয় শাড়িটি সরস্বতী পুজোর সন্ধেতে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখার জন্যে। হালকা রেশম চেকে তুলির টানে ফুটে উঠেছে অজস্র ফুল। কোনওটা সাদা, কোনওটা সবুজ। পাড়ে জিওমেট্রিক রেখা। শাড়িটি ‘সোমা’জ ক্রিয়েশন’-এর। সাজে অভিনবত্ব আনতে গয়নায় খুঁজে নিন জমক। সব মিলিয়ে সাজে যেন থাকে বসন্তের আগমন ধ্বনি।