Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লগ্ন মেনেই টিকা!
মোদির ভারতের ভবিতব্য
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শ্রদ্ধেয় মোদিজি,
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। একটু দেরি হয়ে গেল। কিন্তু সাধারণ মানুষ ভেবে ক্ষমা করে দেবেন। সাধারণের এমন একটু ভুলচুক, দেরিটেরি হয়ে থাকে। নানান বাজে কাজের মধ্যে থাকি আমরা। কারও ১০টা-৫টার অফিস, কারও আবার দিনমজুরি। আপনারা দেশ চালান। আপনারাই আমাদের মাই-বাপ। অনেক বড় দায়িত্ব আপনাদের। তাই দু’হাত জড়োসড়ো করে, মনের ভিতর একরাশ ভয় নিয়ে আপনাদের অনুগ্রহের আশায় তাকিয়ে থাকি আমরা... লকডাউনে কাজ হারিয়ে আমরা ভাবি, কখন পাওয়া যাবে বিনা পয়সার রেশন! মাস্টার ডিগ্রি করে বছরের পর বছর বসে থাকা বেকার ছেলেমেয়েগুলো ভাবে, কখন মিলবে একটা চাকরির সুযোগ! নিদেনপক্ষে ডোমের হলেও চলবে। কিছু তো একটা জুটল! কিংবা করোনার আতঙ্কে স্বাভাবিক জীবন ভুলতে বসা আপামর জনসাধারণ ভাবতে বসে... কখন মিলবে ভ্যাকসিন? একটা সুচের ফোঁটা... তাই যে মহামারীর মধ্যে বিশল্যকরণী। এরই মধ্যে দেখলাম, আপনার জন্মদিন, মানে ১৭ সেপ্টেম্বর আড়াই কোটির বেশি মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। মোট সংখ্যাটা দেখলাম ২ কোটি ৫০ লক্ষ ১০ হাজার ৩৯০। চমকে যাওয়ার মতো পরিসংখ্যান। একদিনে এত ভারতবাসী তাহলে করোনা টিকা পেতে পারে! অপরাধ নেবেন না... সংখ্যাটা দেখতে দেখতেই মনে পড়ে গেল রাজা যযাতির কথা। কেন? একটু ব্যাখ্যা করি। শুক্রাচার্যের অভিশাপে বেজায় বিপাকে পড়েছিলেন যযাতি। রাজশেখর বসুর বর্ণনা অনুযায়ী, ‘শুক্র ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দিলেন, মহারাজ, তুমি ধর্মজ্ঞ হয়ে অধর্ম করেছ... আমার উপদেশ গ্রাহ্য কর নি, অতএব দুর্জয় জরা তোমাকে আক্রমণ করবে। শাপ প্রত্যাহারের জন্য যযাতি বহু অনুনয় করলে শুক্র বললেন, আমি মিথ্যা বলি না, তবে তুমি ইচ্ছা করলে তোমার জরা অন্যকে দিতে পারবে।’ দেবযানী এবং শর্মিষ্ঠার থেকে পাঁচটি সন্তান ছিল যযাতির। একে একে তিনি প্রত্যেককে অনুরোধ করলেন, আমার জরা নিয়ে নাও। কিন্তু কেউ রাজি হল না। তাতে বিষম রেগে গেলেন যযাতি। আর নিজের সন্তানদেরই ভয়ানক সব অভিশাপ দিলেন। তুর্বসুকে বললেন, তোমার বংশলোপ হবে। দ্র্যুহ্যু দুর্গম জায়গায় গিয়ে ভোজ উপাধি নিয়ে থাকবে। অনু জরান্বিত হবে আর তার সন্তান যৌবনকালেই মারা যাবে। শুধু সবচেয়ে ছোট ছেলে পুরু বলেছিলেন, যেমন আপনার আজ্ঞা। পিতা যযাতির জরা নিজের শরীরে নিয়ে নিয়েছিলেন পুরু। আর যযাতি মহাশয়? সন্তানের যৌবন হাতিয়ে তিনি মন দিয়েছিলেন ভোগকর্মে। 
ভারতবাসীর অবস্থা এখন হয়েছে সেই পুরুর মতো। বিপুল ভোট দিয়ে সরকারের মাথায় আপনাদের বসিয়েছি আমরা। পিতার কাছে সন্তানের কী চাহিদা থাকে? শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান। মহামহিম সরকার বাহাদুরের কাছেও সাধারণ মানুষের এই এতটুকুই তো চাহিদা! আরও একটা আছে। বেঁচে থাকার অধিকার। একটি ভাইরাসের হামলা... আর তাতেই এক অভাবনীয় পরিস্থিতির মুখে পড়ল মানুষ। পরীক্ষার সুযোগ নেই, পরীক্ষা হলেও রিপোর্ট আসতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে রোগী, হাসপাতালে বেড নেই, মৃতদেহ পোড়ানোর স্থানাভাব, গঙ্গার বুকে ভাসছে লাশ। আর সরকার এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। আশার আলো বলতে ভ্যাকসিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা হয়তো ঠেকানো যাবে না। কিন্তু টিকা নেওয়া থাকলে ভাইরাসের অভিঘাত কমবে। মৃত্যুর থেকে বাঁচবে অধিকাংশ মানুষ। তাই ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ—এটাই আজ আঁকড়ে ধরার একমাত্র সম্বল। বেঁচে থাকার উপায়। মৌলিক অধিকার। মোদিজি... আপনি দেখালেন, কেন্দ্রীয় সরকার চাইলে একদিনে আড়াই কোটি ভারতবাসীকে টিকা দেওয়া সম্ভব। তাহলে এতদিন হল না কেন? শুধুমাত্র একটি দিন, একটি লগ্নের জন্য মানুষের এই অধীর অপেক্ষা কেন? দিনের পর দিন মানুষ লাইন দিয়েছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে। রাত তিনটে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা... বয়স যাই হোক না কেন... ৬০, ৭০ বা ৮০! তাঁরা দাঁড়াচ্ছেন, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছেন। তারপর শুনছেন, আজ আর কোভিশিল্ড নেই। কিংবা কোভ্যাকসিন আজ আর হবে না। সামনে কোলাপসিবল গেটের গায়ে ঝুলে পড়ছে তেরা-বেঁকা হাতের লেখায় ‘নো ভ্যাকসিন’। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন... ক’দিন পর খোঁজ নিচ্ছেন, ভ্যাকসিনের স্টক কি এল? আবার শুরু হয়েছে লাইন দেওয়ার পালা। একবুক আশা নিয়ে। 
১৩০ কোটির দেশ আমাদের। একদিনে, এক সপ্তাহে কিংবা এক মাসেও সবার টিকাকরণ সম্ভব নয়। এতটুকু বোধ আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরও আছে। তাও আমরা আশা করেছি। ভেবেছি, আজ হল না... ঠিক আছে। কাল তো হবে! সেই আগামী কাল আর এসে পৌঁছচ্ছে না। কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রজেক্ট। আসছে রাফাল। ধুমধাম করে 
পালিত হচ্ছে আপনার জন্মদিনের কর্মসূচি। সাতদিন ধরে তার প্রোগ্রাম তৈরি হচ্ছে। পোস্টার লাগছে। 
খরচ কত? সে তো আবার আরটিআই করতে 
হবে! সরকার বলবে, আমরা তো খরচ করিনি! ওটা পার্টির ব্যাপার। পার্টি বলবে, ভক্তরা ভালোবেসে দিয়েছে। না হয় তাই সই। কিন্তু ওই ভক্তরা একবার যদি ভাবতেন... এই টাকা দিয়ে কত মানুষের ভ্যাকসিন হবে! নাঃ, ভাবেননি। সেটা তাঁদের স্বভাব নয়। বরং সেই সময়টা খোলকরতাল বাজালে কাজে দেবে। নেতাদের কাছে নম্বর বাড়বে। ক্ষমতার অলিন্দে পা পড়বে আরও একটু। 
অনেক কাজ আপনার। এক ছিলেন যুধিষ্ঠির... মাটিতে পা পড়ত না তাঁর। আপনারও পড়ে না। এতটাই ব্যস্ত আপনি। নিয়ম করে রাজ্যে রাজ্যে যাওয়া, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা, কার কোথায় সমস্যা হচ্ছে... এসব নিশ্চয়ই আপনি খোঁজখবর করেন? ফেডেরাল কাঠামোয় মাথার উপর থাকে কেন্দ্র। আর রাজ্য সরকার কাজ করে তাদের সঙ্গে। একে অপরের পরিপূরক। সেখান রাজনৈতিক দল, বা শাসক-বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি নিশ্চয়ই এই সাংবিধানিক নিয়মটুকু মেনে চলেন! না হলে এমন দোর্দণ্ডপ্রতাপ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী আপনি হতে পারতেন না। বিমানের জানালায় আমরা দেখি আপনাকে... বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তারপর সেই রাজ্য কতটা কেন্দ্রীয় ক্ষতিপূরণ পায়? নিশ্চয়ই পায়! রাজ্য সরকারগুলো সব দুষ্টু... এরপরও অভিযোগ করে, কিছুই পায়নি! নিশ্চয়ই সেসব সত্যি নয়? কেন্দ্রীয় সরকার টিকার পর্যাপ্ত সরবরাহ করছে না বলে কত রাজ্য কতই না আওয়াজ তুলছে... কেন যে এমন সব অভিযোগ করে! আপনার কত কাজ! সবদিক বিবেচনা করে সবাইকে আপনি ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছেন। বিজেপি বা বিরোধী রাজ্য দেখে নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নেন না! অ-বিজেপি দলগুলি কিন্তু এরপরও অভিযোগ করেই চলেছে। ওরা বলছে, আপনার বিরোধিতা করা যায় না। করলেই অসহযোগিতা নাকি অভিশাপের মতো আছড়ে পড়ে সেই দলের উপর... রাজ্যের উপর। জরায় আক্রান্ত হতে চাননি যযাতি। যৌবন ছিল তাঁর লক্ষ্য... তা সে সন্তানেরই হোক না কেন। আপনারও অভীষ্ট একটাই—আনুগত্য। সাধারণ মানুষ আপনাকে ঝুলি উপুড় করে দিয়েছেন ভোটের আশীর্বাদ। দু’বার। আপনি বলেছিলেন, করোনা বিদায় নিয়েছে। একই কথা আউড়েছিলেন আপনার মন্ত্রীও। করোনা যায়নি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা সাধারণ মানুষের উপর আছড়ে পড়েছিল দ্বিতীয় ঢেউ। বেড়েছিল মৃত্যুমিছিল। এটাও কি প্রাপ্য ছিল আমাদের? শুধুই আপনাদের বিশ্বাস করেছিলাম বলেই কি মৃত্যুভয়ের শেষ কিনারে পৌঁছে যেতে হয়েছে ভারতকে? তাও আমরা মেনে নিয়েছি। নিঃশব্দে। ভেবেছি, আপনার কীই বা করার আছে! এ তো নিয়তির খেল! ভ্যাকসিন নেব, তাতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরাও করোনা নামক এক মহামারীর মোকাবিলা করতে পারব সামনে থেকে। জীবন আবার স্বাভাবিক হবে। জীবিকা ফিরবে চেনা ছন্দে। কিন্তু ততদিনে আবার আমরা অকাল জরায় আক্রান্ত হব না তো? ঠিক যেমন পুরুর হয়েছিল! 
যযাতি ভেবেছিলেন, নাম-যশ-ভোগই জীবন। আপনি নিশ্চয়ই তেমন কিছু ভাবেন না! দেশবাসী আপনার সন্তানসম। তাঁদের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষা আপনার কর্তব্য। আমরা এখনও মনে করি, আপনি সেটাই মেনে চলেন। কিন্তু আপনার জন্মদিনের প্রোপাগান্ডায় আড়াই কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ আমাদের মনে কিছু প্রশ্নের ঝড় তুলে দেয়। সেখানেও হিসেবে গরমিলের অভিযোগ ওঠে। আর আমরা ভাবতে বাধ্য হই, আপনি শুধুই নিজের তূণীর সমৃদ্ধ করতে বেশি আগ্রহী। একদিন ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন, আর একদিন আড়াই কোটি ডোজের অঙ্কে সাধারণ মানুষের জীবনের পথ মসৃণ হয় না। তাতে কাঁটার সংখ্যা বাড়তেই থাকে। ‘প্রজারা’ ভাবে, শাসক এই সত্যটা কি বুঝবেন না? 
যযাতি বুঝেছিলেন। পুরুকে তিনি বলেছিলেন, ‘কাম্য বস্তুর উপভোগে কখনও কামনার শান্তি হয় না, ঘৃতসংযোগে অগ্নির ন্যায় আরও বৃদ্ধি পায়।’ ক্ষমতার আগুনে ঘৃতসংযোগ মাটির সঙ্গে শাসকের যোগাযোগ ছিন্ন করে... প্রতিনিয়ত।
ইতি,
সাধারণ মানুষ
21st  September, 2021
মোদির মন শুধু ফ্যাশনে,
আগ্রহ নেই শাসনে
সন্দীপন বিশ্বাস

তাঁর আত্মবিশ্বাসে ভাটার টান । তিনি চিন্তিত মমতার উত্থান নিয়েও। যেভাবে তিনি একদিন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে দ্রুত মানুষের মন জয় করে দেশের শীর্ষ ক্ষমতা দখল করেছিলেন, আজ মমতার তেমনই উত্থানে তিনি সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
বিশদ

আত্মবিশ্বাস ও আবেগের মিশেল...মমতা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। রাজনীতির প্রোটোকল মেনে, গা বাঁচিয়ে, ঠুনকো সম্মানের চাদর গায়ে দিয়ে ভাষণ নয়, বরং মানুষের সঙ্গে মিশে আর্জিটুকু পৌঁছে দেওয়া... আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশদ

28th  September, 2021
বিদ্বেষপূর্ণ এবং মিথ্যে ধর্মযুদ্ধ

ইতিহাস বলছে, ক্রুসেডস হল কিছু ধর্মযুদ্ধ, যা একাদশ শতকের শেষাশেষি শুরু হয়েছিল। লড়াইগুলো হয়েছিল ১০৯৫ এবং ১২৯১ খ্রিস্টাব্দের ভিতরে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে এসব সংঘটিত হয়েছিল ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের দ্বারা। বিশদ

27th  September, 2021
ভবানীপুর থেকেই শুরু হোক নয়া ইতিহাস
হিমাংশু সিংহ

রাজ্য রাজনীতির এই সন্ধিক্ষণে ভবানীপুর থেকেই অশুভ শক্তির বিনাশের শপথ নিতে হবে। বাংলার পবিত্র মাটিতে ভিনদেশি ষড়যন্ত্রকে হারাতে হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ঝড় বৃষ্টি দুর্যোগ যাই হোক ভোট দেওয়া প্রত্যেক ভবানীপুরবাসীর অবশ্য কর্তব্য। বিশদ

26th  September, 2021
‘উপেক্ষিত নায়ক’ হয়েই
থেকে গেলেন দিলীপ
তন্ময় মল্লিক

মুখ বদলে ‘মুখরক্ষা’ মোদি-অমিত শাহ জমানার নয়া কৌশল। গুজরাত থেকে বাংলা, সর্বত্র একই ট্রেন্ড। কেন্দ্রের ব্যর্থতার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর এই টেকনিক তাঁদেরই আমদানি। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে বসানো তারই অঙ্গ। বিশদ

25th  September, 2021
ম্যানগ্রোভকে ঘিরেই
সুন্দরবনবাসীর হাসি-কান্না
শ্যামল মণ্ডল

লক্ষ্য সুন্দরবনের মধ্যে আরও একটি ‘সুন্দর’বন গড়ে তোলা। আর এই উদ্দেশ্য সফল করতে নদীবাঁধের ধার বরাবর বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছের প্রাচীর গড়ে তোলা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে চলছে এই কৃত্রিম ‘ম্যানগ্রোভ বন’ তৈরির কাজ। বিশদ

25th  September, 2021
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টায়
অন্যায়ের কী আছে?
সমৃদ্ধ দত্ত

উত্তমকুমার বাংলা সিনেমা জগতে সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পর স্থির করেছিলেন, এবার একবার হিন্দি চলচ্চিত্র সাম্রাজ্যে ভাগ্যান্বেষণের চেষ্টা করলে কেমন হয়? সেই প্রয়াস তিনি করেছিলেন। কিন্তু ভুল গাইডেন্স, সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং কিছু পারিষদবর্গের স্বার্থান্বেষী দিশানির্দেশের সম্মিলিত ফলাফল হিসেবে তাঁর সেই উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি।
বিশদ

24th  September, 2021
বিমা দুর্নীতির ইতিহাস
ভুলে গিয়েছেন মোদি
মৃণালকান্তি দাস

সরকারি জীবন বিমা সংস্থায় আমজনতা টাকা রাখেন নিরাপদ মনে করে। একের পর এক দুরবস্থা সামাল দিতে তাকেই এগিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত পুঁজিকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে কেন? যে রুগ্ন সংস্থাগুলিকে এলআইসি টাকা ধার দিয়েছে, তা শোধ না হলে কী হবে?
বিশদ

23rd  September, 2021
আফগান মেয়েদের কথা
ভাবলই না চীন, রাশিয়া
হারাধন চৌধুরী

চীন-রাশিয়ারই অস্ত্রে বলীয়ান হয়ে তালিবান এই যে মানবাধিকারকে লাগাতার বলাৎকার করে যাচ্ছে, তাতে সিলমোহর দিচ্ছে কোন নীতিতে এই দুই ‘মহান’ রাষ্ট্র? শুধু চীন, রাশিয়ার ‘অর্ধেক আকাশ’ মুক্ত থাকলেই হল, তাই তো! বিশদ

22nd  September, 2021
বৈষম্য ও অবিচার
বড্ড চোখে লাগছে
পি চিদম্বরম

রাজ্য সরকারগুলি রাজ্যের করদাতাদের টাকায় কেন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে? কেন ছেলেমেয়েরা মাতৃভাষার মাধ্যমে পড়বে? কেন রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষায় বসবে? রাজ্য শিক্ষা বোর্ড রেখে দেওয়ার আদৌ যুক্তি আছে কি আর? শহুরে ছাত্ররা কি পিএইচসি এবং মফস্‌সলের হাসপাতালগুলিতে রোগীর সেবা করবে? ‘মেরিট’ সম্পর্কে এক সন্দেহজনক তত্ত্ব খাড়া করে নিট মারাত্মক বৈষম্য ও অবিচারের এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
বিশদ

20th  September, 2021
মোদির গৌরব, অগৌরব
ও বিপন্ন সাংবাদিকতা
হিমাংশু সিংহ

আমেদাবাদের সাংবাদিক ধবল প্যাটেল গত প্রায় এক বছর দেশছাড়া। তাঁর অপরাধ কী? সওয়া এক বছর আগে তিনি লিখেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে সরতে হচ্ছে। আজ ১৬ মাস বাদে তাঁর পূর্বাভাস মিলেও গিয়েছে হুবহু। গত ১১ সেপ্টেম্বর নিজেই ইস্তফা দিয়েছেন কিংবা বাধ্য হয়ে সরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রুপানি। বিশদ

19th  September, 2021
মোদিকে টক্কর দিচ্ছেন মমতা
তন্ময় মল্লিক

ক্ষমতায়, পদমর্যাদায়, দাপটে, প্রভাবে যে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু টাইমের সমীক্ষায় ফারাকটা তেমন কিছু নয়, বরং খুব কাছাকাছি। পৃথিবীর বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘টাইম’ জানিয়ে দিল, এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা ভারতবর্ষের একজনেরই আছে। নাম তাঁর মমতা।
বিশদ

18th  September, 2021
একনজরে
করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে গত বছর উচ্ছাসে কিছুটা ভাটা পড়লেও এবারে বিষ্ণুপুর মহকুমার তিন জমিদারবাড়ির পুজোয় দর্শনার্থীদের ঢল নামবে। এমনই আশা ব্যক্ত করেছেন জমিদার পরিবারের সদস্যরা। ...

দীর্ঘ ১২ বছর পর ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড জার্সিতে ফিরেই জাল কাঁপিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রথম তিনটি ম্যাচে চারটি গোল লেখা হয়েছিল তাঁর নামের পাশে। ...

মালদহের চাঁচল থানার পুলিস অভিযান চালিয়ে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল  সামাদ আলি, মর্তুজা আলি ও সাহেব আলি। ...

করোনা আবহে নেই দুর্গা প্রতিমার বায়না। রোজগারে টান আরামবাগের প্রতিমা শিল্পীদের। কাজ না মেলায় এই বছর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৃৎশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মী। যাঁরা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক কফি দিবস
বিশ্ব হার্ট দিবস
বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস

১৭২৫- ভারতের প্রথম ইংরেজ শাসক রবার্ট ক্লাইভের জন্ম
১৮৪১ - ভারতে প্রথম সর্বোচ্চ ফরাসি সম্মান - 'লেজিয়ঁ দনার' এ সম্মানিত বাঙালি উদ্যোগপতি দুর্গাচরণ রক্ষিতের জন্ম
১৮৯২: প্রথম রাতে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়
১৯২৯: বিবিসি প্রথম পরীক্ষামূলক টিভি সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩২: অভিনেতা মেহমুদের জন্ম
১৯৩৫ - ছাপাখানায় প্রথম বাংলা লাইনোটাইপ ব্যবহৃত হয়
১৯৩৯ - ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়
১৯৪২ - স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরা শহীদ হন
১৯৭১: ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে ঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৪৫ টাকা ১০২.৯৪ টাকা
ইউরো ৮৪.৭৮ টাকা ৮৭.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৪, ৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬০,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন ১৪২৮, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১। অষ্টমী ৩৭/২৭ রাত্রি ৮/৩০। আর্দ্রা নক্ষত্র ৪৪/৪৬ রাত্রি ১১/২৬। সূর্যোদয় ৫/৩০/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/২৩/১৪।  অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৭/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৩৯ মধ্যে। রাত্রি  ৬/১১ গতে ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ৩/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে। 
১২ আশ্বিন ১৪২৮, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১। অষ্টমী  অপরাহ্ন ৪/৩৭। আর্দ্রা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৫/৩১, সূর্যাস্ত ৫/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৭/৫৪ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৩৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১ গতে ৬/৫১ মধ্যে ও ৮/৩০ গতে ৩/৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ  দিবা ৬/২১ গতে ৭/৮ মধ্যে ও ১/১৯ গতে ৩/৩৯ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও ১১/২৮ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি  ২/২৯ গতে ৪/০ মধ্যে। 
২১ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ছে ভবানিপুরে
রাত পোহালেই ভবানিপুরে উপনির্বাচন। তার আগে কেন্দ্র বাহিনী বাড়ানো হচ্ছে ...বিশদ

05:54:46 PM

তৃণমূলে যোগ দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূলে যোগ দিলেন লুইজিনহো। আজ, বুধবার গোয়ার এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ...বিশদ

04:49:35 PM

ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে চালু হোক বিমান পরিষেবা, আর্জি তালিবানের
ফের চালু করা হোক ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিমান পরিষেবা। ...বিশদ

03:02:47 PM

রঘুনাথপুরে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় মৃত্যু গবাদি পশুর
গতকাল রাত থেকেই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার জের। যার ...বিশদ

02:33:00 PM

মালদহে ব্রাউন সুগার ও এক লক্ষ টাকার জাল নোট সহ গ্রেপ্তার ৩
৩৫১ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও এক লক্ষ টাকার জাল নোট ...বিশদ

02:17:37 PM

দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গাপুজোর মণ্ডপ
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে নিম্নচাপের জেরে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ...বিশদ

02:07:46 PM