Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিপুল সামাজিক প্রকল্পে ‘চোনা’ ঢেলেছিল ‘কাটমানি’। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ঘিরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তাতে অনেকেই সিঁদুরে মেঘের আভা দেখতে পাচ্ছেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, প্রশাসনের মাধ্যমে দেওয়া হবে উম-পুনের ক্ষতিপূরণ। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সৃষ্টি হবে নতুন নজির। এই নির্দেশই হবে ড্যামেজ কন্ট্রোলের মাস্টার স্ট্রোক।
লোকসভা নির্বাচনের ফল পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন ও সামাজিক প্রকল্পের লাভের গুড় সাবাড় করে দিয়েছিল ‘কাটমানি’র পিঁপড়ে। লোকসভা ভোট ছিল কেন্দ্রের সরকার গড়ার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বিজেপি সরকার কী করেছে, তার জবাবদিহি করে ভোট চাওয়াটাই ছিল রীতি। কিন্তু, বিজেপি নেতৃত্ব সে রাস্তায় হাঁটেনি। কারণ ২০১৪ সালে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তার অধিকাংশ অপূর্ণ থেকে গিয়েছিল। তাই এরাজ্যের ভোট প্রচারে এসে অমিত শাহ থেকে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের ঢাক না পিটিয়ে কেবল তৃণমূলকেই আক্রমণ করেছিলেন। আর তাতেই হয়েছিল কিস্তি মাত। স্রেফ নেগেটিভ ভোটের সৌজন্যেই বিপুল সাফল্য ঘরে তুলেছিল গেরুয়া শিবির।
লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল নেতৃত্ব সেই নেগেটিভ ভোটকে ফেরানো লক্ষ্যেই একের পর কর্মসূচি নিয়েছে। সেই কারণেই প্রশান্ত কিশোরের মতো দক্ষ ‘ভোট ম্যানেজার’কে পরামর্শদাতার কাজে যুক্ত করেছিল। তাঁর পরামর্শেই চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’কর্মসূচি। শুধু দলের ভুল ত্রুটি সংশোধন নয়, জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের মাটিতে টেনে নামানোর এক অভিনব পরিকল্পনা ছিল এই কর্মসূচিতে। তাঁর দেখানো রাস্তায় হেঁটে রাজ্যের তিনটি উপ নির্বাচনে তাক লাগানো সাফল্যও ঘরে তুলেছিল তৃণমূল। বিপুল বিক্রমে এগিয়ে চলা বিজেপি রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছিল। এমনই এক পরিস্থিতিতে করোনার আর্বিভাব। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি। এরপরই বিধ্বংসী উম-পুন। সাইক্লোনে বিধ্বস্ত জেলায় ক্ষতিপূরণ নিয়েই মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাচ্ছে।
‘গত ইংরেজি ২৫/০৫/২০২০ তারিখে উম-পুন সুপার সাইক্লোনে আমার বাড়ি সম্পূর্ণ রূপে/ আংশিক ভেঙে গিয়েছে। এমতবস্থায় আমি যাতে সরকারি সাহায্য পাই তার সুব্যবস্থা করতে আজ্ঞা হোক। আরও উল্লেখ থাকে এই যে, আমি উক্ত বিবরণ সত্য বলে ঘোষণা করলাম। কোনওরূপ মিথ্যা প্রমাণিত হলে সরকার বাহাদুর আমার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমার তাতে কোনওরূপ আপত্তি থাকিবে না।’ এটা হুগলি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া আবেদনপত্রের বয়ান। আবেদনপত্র না বলে মুচলেকা বললে ভুল হবে না। কারণ এই আবেদনপত্রে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও সরকারি টাকা হাতানোর চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
প্রশ্নটা হচ্ছে, প্রশাসন বা সরকার কেন মুচলেকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল? দুর্নীতি ঠেকানোই যে উদ্দেশ্য, তা স্পষ্ট। প্রশাসন এবং সরকার চায়, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতেই যাক ক্ষতিপূরণের টাকা।
আবহাওয়া দপ্তরের নিখুঁত বিশ্লেষণে আগে থেকেই জানা গিয়েছিল, এরাজ্যের উপর আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন। সেই মতো আগে থেকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ত্রাণ। বর্ষায় যাতে ঝড়ে ভেঙে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের নাকাল হতে না হয়, তার জন্যই সরকার দ্রুত আথির্ক ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল। শুধু বাড়ির জন্য নয়, ধানচাষ থেকে পানচাষ, মাছচাষ, সব ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয় সরকার। বলতে গেলে, উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার এবার হয়েছিল ‘কল্পতরু’। নজিরবিহীন দ্রুততায় ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, ব্যক্তিলোভ সেই উদ্যোগেও চোনা ছেটাতে শুরু করে।
হুগলি জেলার চণ্ডীতলা থানার গরলগাছা পঞ্চায়েতের ক্ষতিপূরণের তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে ওঠে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় খোদ পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের স্ত্রীর নাম। প্রধানের দোতলা বাড়িতে আঁচড় কাটাতে পারেনি উম-পুন। তবুও তাঁর স্ত্রীর নাম ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায়। হইচই হতেই প্রধান বদলে ফেললেন তালিকা। দ্বিতীয় দফার তালিকায় স্পষ্ট হল, দুধে জল মেশানো হয়নি, বরং জলে মেশানো হয়েছিল দুধ। কারণ প্রথম তালিকার ১০২টি মধ্যে ৯২টি নামই তিনি নিজে বাদ দিয়ে সংশোধিত তালিকা জমা দিয়েছিলেন। সাফাই, তড়িঘড়ি তালিকা দিতে গিয়েই নাকি এমন বিপত্তি। কিন্তু, ২২ বছরের জনপ্রতিনিধির এই কথা পাগলের পক্ষেও বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। করেওনি।
নরেন্দ্রনাথবাবু কোনও ভুঁইফোঁড় বা চাপিয়ে দেওয়া নেতা নন। এলাকার মানুষ তাঁকে দক্ষ প্রশাসক এবং সংগঠক হিসেবেই চেনেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গরলগাছা পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য।
২০১৩ সালে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁরই নেতৃত্বে পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনই যায় তৃণমূলের দখলে। অর্থাৎ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। অধিক ক্ষমতা মানে আরও বেশি দায়িত্ব, এই কথাটাই তিনি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। উল্টে তিনি ফের জন ডেল বার্গের উক্তিকেই অভ্রান্ত প্রমাণ করলেন, ‘পাওয়ার ট্রেন্ডস টু কোরাপ্ট অ্যান্ড অ্যাবসলিউট পাওয়ার কোরাপ্টস অ্যাবসলিউটলি’।
শুধু হুগলির গরলগাছা বা তারকেশ্বর নয়, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ উম-পুনে বিধ্বস্ত সমস্ত জেলা থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির নেশায় বুঁদ হয়ে অনেক প্রধানই তাঁদের ঘনিষ্ঠ দোতলা, তিনতলা
বাড়ির মালিকের নাম ঢুকিয়েছেন। তা নিয়েই শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ।
উম-পুনে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূল কংগ্রেস গরলগাছার প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। চুঁচুড়া পুরসভায় মজদুরদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই বাতিল করেছে নিয়োগের তালিকা। এভাবেই নিতে হবে আরও কঠিন, কঠোর পদক্ষেপ। তবেই মানুষ উপলব্ধি করবে, দুর্নীতিতে সরকার বা প্রশাসনের প্রশ্রয় নেই। আর তা না করে দলের আপদদের সম্পদ ভাবলেই বাড়ে বিপদ। তৈরি হয় ক্ষোভ, বিক্ষোভ। মানুষই তখন তুলে নেয় অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার। যেমনটা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির পূর্ব কৈলাসপুর গ্রামে। স্বপন ঘাটিকে কান ধরে ওঠবস করে এলাকার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেতা বিচ্যুত হলেই জনগণের চোখে সে হয়ে যায় ‘ন্যাতা’।
ক্ষতিপূরণ নিয়ে স্বজনপোষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযুক্তদের ‘দলের সম্পদ’ বলে আড়াল করেনি। উল্টে দল থেকে তাড়িয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, ব্যক্তিলোভের দায় একান্তভাবেই ব্যক্তিগত। দায় দলের নয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রাণ নিয়ে দলবাজির কোনও জায়গা নেই। তিনি নিজেই চারজনকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এখানেই থেমে থাকেননি। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সেই কাজও শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সরেজমিনে তদন্ত করে প্রায় ১৫ হাজারজনকে চিহ্নিত করেছে। এঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু, জনপ্রতিনিধিদের তৈরি ক্ষতিপূরণের তালিকায় তাঁরা স্থান পাননি। ইতিমধ্যেই এই জেলায় বিভিন্ন ব্লকে, ব্যাঙ্কে ক্ষতিপূরণের টাকা আটকে দিয়েছে প্রশাসন। হুগলিতে চালু হয়েছে মুচলেকা ব্যবস্থা। এই চাপ জারি রাখতে পারলে প্রমাণ হবে, জনপ্রতিনিধি নয়, শেষ কথা বলবে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের বুকে তৈরি হবে নতুন নজির।
দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, মারামারি, খুনোখুনি পার্থিব জগতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। চাওয়া-পাওয়ার জগতে অন্যায়, অপরাধ সংগঠিত হবেই। তাকে ঠেকানোর ক্ষমতা কোনও রাজনৈতিক দলের, কোনও সরকারের নেই। কিন্তু মানুষ চায়, অন্যায়ের প্রতিকার, অপরাধীর শাস্তি। নির্ভয়ার মা তাঁর মেয়ের অত্যাচারীদের ফাঁসির পর বলেছিলেন, আমি খুশি। আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল।
অপরাধীরা শাস্তি পেলে শান্তি পায় অন্তরাত্মা। তাতে সন্তানহারা মায়ের কোল ভরে না, কিন্তু মন ভরে। প্রশাসনের উপর জন্মায় আস্থা, বাড়ে ভরসা। ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’ই প্রকৃত শাসকের ধর্ম। একথা আমাদের শিখিয়েছে গীতা।
27th  June, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
সঞ্চয়ে সুদের হার নিম্নমুখী, উদ্বেগে সবাই
দেবনারায়ণ সরকার

 বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বর্তমান আর্থিক সমীক্ষায় বলেছিলেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় থাকে।
বিশদ

26th  June, 2020
বয়কটের রাজনীতি চীনকে দমাতে পারবে কি?
হারাধন চৌধুরী

গত মার্চের শেষদিকে বিশ্বের নজর কেড়েছিল করোনা-বিধ্বস্ত উহান। মাত্র ছ’দিনে একটি বড় হাসপাতাল তৈরি করে। আগেই চীনের ঝুলিতে ছিল সাতদিনে একটি আস্ত হাসপাতাল নির্মাণের অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল।
বিশদ

25th  June, 2020
শত্রুপক্ষের সব রণনীতি এবং নেতৃত্বের ভাবধারণা জানা প্রয়োজন
শুভাগত জোয়ারদার

চীনের মহান রণনীতি বিশেষজ্ঞ সান তজু তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইতে বলেছেন—‘যদি তুমি তোমার শত্রু এবং নিজেকে জানো, তবে শতবার যুদ্ধেও ফল নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তুমি নিজেকে জানো কিন্তু শত্রুকে নয়, তবে প্রতিটি যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি পরাজয়ের গ্লানিতেও তোমাকে ভুগতে হবে। যদি তুমি না শত্রু, না নিজেকে জানো তবে প্রতিটি যুদ্ধে তোমায় জখম হতে হবে।’
বিশদ

25th  June, 2020
নেপাল: কলকাত্তা কালীর শরণাপন্ন রাজনাথ
কুমারেশ চক্রবর্তী

ছোটবেলায় আমরা ‘ম্যাপ-ম্যাপ খেলা’ খেলতাম। দাদাদের বাতিল ম্যাপের ওপর লাল পেন্সিল দিয়ে একটা ক্রসহচিহ্ন এঁকে জায়গাটা দখল করতাম, শর্ত একটাই, জায়গাটার নাম বলতে হবে। এইভাবে আমরা কত নগর, রাজ্য, দেশের মালিক হয়েছি!  বিশদ

24th  June, 2020
অসুরকে শিবের অভয়বাণী, মা ছাড়া গতি নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো কৈলাসে হাজির মহিষাসুর। ‘মহাদেব ভবনে’ ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন। নন্দী আর ভৃঙ্গী হাঁই হাঁই করে বললেন, ‘একদম ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কোরুনি।   বিশদ

24th  June, 2020
সীমান্তের এপারে ‘আসল’ ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত
 

মাত্র ২০ বছর বয়স চাঁদ মহম্মদের। দিল্লির সীলামপুরে একটি ঝুপড়িতে থাকে সে মায়ের সঙ্গে। ঠিকাদার সংস্থায় নাম লিখিয়ে একটি চাকরি সে পেয়েছে। খুব দরকার ছিল চাকরিটা। আট ঘণ্টার ডিউটি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। কাজ? কোভিড আক্রান্তদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া... হাসপাতালের মর্গ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত।  
বিশদ

23rd  June, 2020
জ্বর হলে জগন্নাথদেব মাস্ক
পরেন, মানেন দূরত্ববিধি
মৃন্ময় চন্দ

ইতিহাস ২৮৫ বছরের, এই প্রথমবার, একটা পুঁচকে ভাইরাস ঝামেলা পাকিয়েছিল জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। ফুলবাবু হয়ে, সেজেগুজে, গায়ে একরাশ সুগন্ধি ঢেলে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে প্রতিবছর নিয়ম করে বোন সুভদ্রা আর দাদা বলভদ্রকে নিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। 
বিশদ

23rd  June, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: রবিবার রাতে কল্যাণী-চাকদহ রাজ্য সড়কে আলাইপুরের কাছে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা তথা নির্দেশক ত্রিদিব ঘোষ সোমবার ভোরে তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিভিন্ন যাত্রাপালাতে তিনি ...

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ১৩৫ কোটির দেশে ডাক্তারিতে রয়েছে মাত্র ১৪টি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের আসন! চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো এই তথ্য জানা গেল মেডিক্যাল কাউন্সিল ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: বিদেশি বিনিয়োগ তথা বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কয়লা শিল্পে তিনদিনের লাগাতার ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিল আরএসএস নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM