Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জ্বর হলে জগন্নাথদেব মাস্ক
পরেন, মানেন দূরত্ববিধি
মৃন্ময় চন্দ

ইতিহাস ২৮৫ বছরের, এই প্রথমবার, একটা পুঁচকে ভাইরাস ঝামেলা পাকিয়েছিল জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। ফুলবাবু হয়ে, সেজেগুজে, গায়ে একরাশ সুগন্ধি ঢেলে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে প্রতিবছর নিয়ম করে বোন সুভদ্রা আর দাদা বলভদ্রকে নিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। স্ত্রী সত্যভামা তখন গৃহাভ্যন্তরে। পাঁচদিন বাদে, হেরা পঞ্চমীতে পুরনো প্রিয়ার সান্নিধ্যে নাকি জুড়ন তাপিত-তৃষিত হৃদয়! মা-লক্ষ্মী গোপনে খবর পেয়ে সদলবলে উদয় হলে দোরে খিল এঁটে সন্তর্পণে প্রমাদ গোনেন। ভ্রমণ সমাপনে ১০ দিন বাদে, ব্রীড়াবনত তিনি ফিরে আসেন স্বগৃহে, নীলাদ্রি বিজে। রসগোল্লা, অধরপানা ভোগে, সত্যভামার মানভঞ্জনে খুশির জোয়ারে ভাসেন স্রষ্টা-সৃষ্ট সকলে। রথের সময় পুরীতে, রসের-নাগর জগৎপতির অপার্থিব লীলাখেলার সাক্ষী হতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ভিড় জমান। অন্ধ, খঞ্জ, প্রান্তিক, জীর্ণ, সারাজীবন লাথি ঝ্যাঁটা খাওয়া মানুষগুলো একবারের জন্য রথের রশি ছুঁতে চান, অনিরুদ্ধ-অপরিজ্ঞাত হৃদয় উৎসারিত বিশ্বাস তাঁদের : আগামী জন্মটা প্রভুর কৃপায় হবে একটু মসৃণ, প্রতি মুহূর্তের হোঁচট খেয়ে রক্তাক্ত হওয়ার অমানুষিক যন্ত্রণা/গ্লানি থেকে মিলবে খানিক স্বস্তি। মানুষের অবয়বে, মান আর হুঁশ নিয়ে বাঁচা যাবে। অনন্তজিতের মাসির বাড়ি যাওয়া নিয়ে নভেল করোনার সৌজন্যে এবার চলল নানা টানাপোড়েন।
প্রাক-প্রস্তুতি স্নানযাত্রা
রথের ঢাকে কাঠি পড়ে অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে। ‘দেবস্নান পূর্ণিমায়’ গত ৫ জুন, শুক্রবার স্নানযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা হল রথযাত্রার। কোভিড কালবেলায় মন্দির প্রাঙ্গণে সেদিন ছিলেন শুধুই সেবাইতরা। গর্ভগৃহ থেকে আনন্দবাজারের ‘স্নানমণ্ডপে’, লোকচক্ষুর অন্তরালে, টিভি ক্যামেরার উপস্থিতিতে সুসম্পন্ন শ্রীজগন্নাথ-দেবী সুভদ্রা-বলভদ্র-সুদর্শন-মদনমোহনের রাজকীয় স্নান উৎসব। ভোর ১.৪০ মিনিটে শুরু ‘ধাড়ি পাহান্ডি’; শোভাযাত্রা সহকারে বিগ্রহদের রত্ন সিংহাসন থেকে স্নান-বেদিতে আনয়ন, জল-বিজে ৩.২০ মিনিটে, মঙ্গল আলাতি ৪.২০ মিনিটে, স্নান বেশ বা ‘সাদাবেশ’ পরিধান ৫.৫০ মিনিটে। তারপর একে একে সমাপন মদনমোহন বিজে, মৈলম, তড়পা লাগি ও আধারা ওছা। অক্ষয়বটের ডালপালার আড়াল থেকে উঁকিঝুঁকি মারছেন ততক্ষণে সূর্যদেব। ১০.৩০ মিনিটে ঝাড়ু হাতে ধূলিমলিন স্নান-মণ্ডপ পরিষ্কার (ছেড়া পহাঁরা) করার কথা ছিল গজপতি রাজা দিব্য সিংহদেবের। জগৎপিতার অধিষ্ঠান হবে সেই পবিত্র-পরিচ্ছন্ন স্নান-মণ্ডপে। কিন্তু লকডাউনের গেরোয় গৃহবন্দি গজপতি রাজা। জগন্নাথদেবের প্রধান সেবকের অনুপস্থিতিতে ‘মুদিরস্ত’ সেবাইত, ১৭ বছরের আদিত্য নারায়ণকে প্রথামাফিক স্নানযাত্রার যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান মায় ‘ছেড়া পহাঁরা’র শুভারম্ভের দায়িত্ব নিতে হল।
গজপতি রাজা পুরুষোত্তমদেবের সঙ্গে কাঞ্চীর রাজকন্যা পদ্মাবতীর বিয়ের ঠিক হয়েছিল। কাঞ্চীর মহারাজ, সালো নরসিংহ রথের সময়ে গোপনে জামাইয়ের খোঁজখবরে তাঁর মন্ত্রীকে পাঠালেন। মন্ত্রী দেখলেন রাজা পুরুষোত্তমদেব স্বয়ং ঝাড়ু দিচ্ছেন রাস্তায়! মন্ত্রী জানতেন না, সম্মার্জনী হাতে রাজা পুরুষোত্তমদেব ধূলিময় যে পথে ঝাড়ু দিচ্ছেন সেই পথে অনতিবিলম্বে জগদীশ্বরের পা পড়বে! ঝাড়ুদার কখনও পদ্মাবতীর পাণিপ্রার্থী হতে পারে না! কৌলীন্যে ঘা লাগায় বিয়ে ভেঙে দিলেন কাঞ্চীর রাজা। অপমান-অসম্মানে বিপর্যস্ত রাজা পুরুষোত্তমদেব সৈন্যসামন্ত নিয়ে কাঞ্চী অভিযানে চললেন, যুদ্ধে গোহারা হারলেন। দিনরাত জগন্নাথদেবের পাদপদ্মে সমর্পিতপ্রাণ রাজা হৃত মনোবল ফিরে পেয়ে আবারও চললেন কাঞ্চী দখলে। এবার তাঁর সেনাধিপতি, কালো-সাদা ঘোড়ার পিঠে জগন্নাথ ও বলভদ্র, যুদ্ধ জয় নিশ্চিত। পদ্মাবতী বরমাল্য তুলে দিলেন, প্রেমাষ্পদ, বিশ্বের সবচেয়ে কুলীন ঝাড়ুদার, রাজা পুরুষোত্তমদেবের গলায়। গোটা ঘটনাটা যেহেতু রথকেন্দ্রিক তাই স্নানযাত্রা বা রথের সময় ‘ঝাড়ুদান পর্বের’ (আসলে পরিচ্ছন্নতার) রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য।
বিজ্ঞানসম্মত আচার-অনুষ্ঠান
স্নানযাত্রা পর্বে শীতলা মন্দিরের কাছে ‘সোনা কুয়োর’ ১০৮ ঘড়া জলে বিগ্রহদের স্নান-পর্ব চলে। ষোড়শ উপাচারে হলুদ-চুয়া-চন্দন-চাল-কর্পূর-বিভিন্ন ফুলের নির্যাস-সুগন্ধি মারফত জলকে জীবাণুশূন্য করা হয়। যে সেবাইতরা ‘জল-বিজেতে’ অংশ নেন সংক্রমণ এড়াতে তাঁদের মাস্ক বা মুখাবরণে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক। বিগ্রহদের মুখও ঢেকে দেওয়ার নিয়ম। তুলসীপাতায় বিগ্রহদের গাত্রমার্জনা চলে। ‘গরাবাড়ু সেবক’রা জল আনবেন, দাদা বলভদ্রকে ৩৩ ঘড়া জলে স্নান করানো হবে, প্রভু জগন্নাথদেবের বরাদ্দ ৩৫ ঘড়া, দেবী সুভদ্রার ২২ এবং সুদর্শনের বরাদ্দ ১৮ ঘড়া জল। স্নান-পর্ব সমাপনে রাতের বেলা দেবতারা ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেসে’ আক্রান্ত হন। ‘অনবসর গৃহে’ বা কোয়ারেন্টিনে স্বেচ্ছায় তাঁরা ১৪ দিন কাটান। নিভৃতবাসে মেনে চলেন শারীরিক দূরত্ববিধি। ভক্তরা ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবেন না। রাজবৈদ্য বিভিন্ন ভেষজ অনুপানে তৈরি ১২০টি ‘দশমূলা’ মোদক মারফত চিকিৎসা করবেন দেবাদিদেবের। বেল-গামারি-সোনাপতি-গনিয়ারি-শঙ্করজটা-শালপানি-কাঁটাকারি-পারুল প্রভৃতির নির্যাসে তৈরি হবে পাঁচন। গায়ে মাখানো হবে ভেষজ তেল ‘ফুল্লুরি’। সারবে জ্বর, ১৪ দিনের মধ্যেই। ব্রাক্ষ্মণ নন, অন্ত্যজ শবর সম্প্রদায়ের দয়িতারা সেবা শুশ্রূষায় সারিয়ে তুলবেন ত্রিমূর্তিকে, ভেদ-অভেদ জ্ঞানে, টুটে যাবে ছোঁয়াছুঁয়ির জাত-বিচার।
অতিমারী, রথ, প্রাসঙ্গিক কিছু নিদান
সারা পৃথিবীতেই প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার আবির্ভাব ঘটে, জগন্নাথদেবও জ্যৈষ্ঠের পূর্ণিমায় ভাইবোনের সঙ্গে আক্রান্ত হন ইনফ্লুয়েঞ্জায়। সঠিক বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধিতে মুখাবরণে, দূরত্ববিধি মেনে, কোয়ারেন্টিনে থেকে শীঘ্রই সপারিষদ তিনি সেরেও ওঠেন। কিন্তু এখন দেখুন, তাঁর ভক্তকুল বেঘোরে মারা পড়ছেন এই সামান্য অনুশাসন ঠিকঠাক পালনের অনীহায়। ১৪ দিনে, ছাপ্পান্ন ভোগের চর্বচষ্য ছেড়ে ফলাহার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ দুগ্ধজাত নানা সুখাদ্যে ত্রিমূর্তি ‘ইমিউনিটি’ বাড়িয়ে তোলেন, তারপর রথের দিন সুস্থ শরীরে, ফুরফুরে মেজাজে ‘নবযৌবনবেশে’ মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। জগন্নাথদেবের প্রতিটি আচরণে স্পষ্ট মহামারী বা অতিমারীকে পরাভূত করার নিপুণ বৈজ্ঞানিক কৌশল। মানুষ আর সার্স সিওভি-টু—দুটিই প্রাকৃতিক নির্বাচনের সুবিধাপ্রাপ্ত, প্রকৃতির আশীর্বাদধন্য। জগদীশের দরবারে মানুষ এবং ভাইরাস—দুটিই অনন্যসাধারণ। প্রকৃতিতে ভারসাম্য রক্ষা করতে ভাইরাসের মারণ-খেলাও নিতান্ত প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্বপিতা সেই ঘাতক ভাইরাসের করাল গ্রাস থেকে বাঁচার কৌশল নিজেই নিজের আচরণের মাধ্যমে চোখে আঙুল দিয়ে বুড়বাক মানুষকে দেখিয়ে/শিখিয়ে দিচ্ছেন। বলে দিচ্ছেন চিকিৎসা-ওষুধ-টিকার অভাবে কৌশলে কীভাবে পরাজিত করতে হবে হন্তারক ভাইরাসটিকে! ভ্রুক্ষেপ-হীন তথাপি অসচেতন-অর্বাচীন কূপমণ্ডূক মানুষ!
নিচুজাতের শবর দয়িতাদের ভক্ষণ করা ফল আহ্লাদে খেয়ে পুরুষোত্তম বলছেন মানুষে মানুষে ভেদাভেদ বিশেষত: অতিমারীর সময়ে সমূলে বর্জনীয়। মানুষ রোগ ছড়ায় না। ছড়ায় জীবাণু বা ভাইরাস। তাই মানুষের সঙ্গে ভাইরাসের মত কুৎসিত আচরণ কাম্য নয়। ক্ষতিকর জীবাণুনাশক দিয়ে অসহায় নিরালম্ব মানুষকে (পড়ুন পরিযায়ী শ্রমিক) জন্তুর মত চান করানো অনুচিত। তাঁর আচরণে সুস্পষ্ট, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ছোঁয়াচে অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়া একটি রোগকে বাগমানাতে ছোট্ট একচিলতে জায়গায় বহু-মানুষের একত্রিত না হওয়াই বাঞ্ছনীয়, শারীরিক দূরত্ববিধির অভাবে দাবানলের মত তাতে ছড়িয়ে পড়বে রোগটি। কিন্তু তাঁর দীঘল, আয়তাকার, নির্লিপ্ত, অকর্মক চোখের অন্তরালের হিরণ্যগর্ভ উপলব্ধি ও অমোঘ চেতাবনির অর্থ মানুষের কর্ণের মধ্যে দিয়ে মরমে পশে বিন্দুমাত্র অভিঘাত তুলতেও অপারগ। তাই দু-শিফটের কাজে তৈরি অর্ধসমাপ্ত রথের খণ্ডহর অনাদরে রাস্তায় পতিত। আর পতিতপাবন, তিনি, ক্ষুদ্র মানুষের বালখিল্যতায় মূঢ়ম্লান।
অতিভক্তির বিপদ
কোভিড কালবেলায় অযোধ্যায় রামলালার জন্মদিন বাড়িতেই পালনের সুপরামর্শ দিয়েছে সরকার, এবছর। ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদের’ বিনোদ বনসাল বলছেন পুণ্যার্থীদের বঞ্চিত করার কাজটা মোটেই ঠিক হয় নি। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে শারীরিক দূরত্ববিধি গোল্লায় যাওয়ায় ইরান সরকার যখন ‘মাসাড’ আর ‘কোম’ মসজিদ বন্ধ করলো ইরানের কয়েকজন ধর্মগুরু তখনও সোচ্চারে বলেছিলেন কাজটা ঠিক হয় নি। বহু-মানুষের একজোট হওয়ার নিষেধকে কাঁচকলা দেখিয়ে, ‘হাসিডাক’ ইহুদি সম্প্রদায়ের ভিড়েঠাসা একটি বিয়ের আসর থেকে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে রাতারাতি কোভিডে সংক্রমিত হলেন ৫২ জন। তথাপি ফিরলো না হুঁশ। একাধারে আকুলপ্রাণে ভগবানকে কোভিড পরিত্রাণের রাস্তা বাতলানোর সজল মিনতি, অন্যদিকে তাঁর দেখানো পথকেই সজ্ঞানে অবহেলা করা! কোভিড অতিমারীর দোহাই পেড়ে নিরপরাধ মানুষকে একঘরে করা! আমেরিকার ‘লঙ আইল্যান্ডে’ ১৯০০ সালে উপসর্গহীন ‘মেরী ম্যালন’ ৫১ জনের শরীরে নিঃশব্দে চারিয়ে দিয়েছিলেন টাইফয়েড, মারা গিয়েছিলেন ৩ জন। ইতিহাসে কুখ্যাত ‘টাইফয়েড মেরী’ তিনি। অপরাধের শাস্তিস্বরুপ নর্থ ব্রাদারের ‘রিভারসাইড হাসপাতালে’ ২৬ বছর কোয়ারেন্টিনে কাটাবার পর ১৯৩৮এ তিনি মারা যান। তাঁর চোখের জলের হিসাব রেখেছেন শুধু ঈশ্বর। ভারতে আজ করোনা রোগী শুধু নন, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদেরও একঘরে করা হচ্ছে, করোনা আক্রান্তের বাড়িতে স্টিকার সেঁটে দেওয়া হচ্ছে, আরোগ্য সেতুর মাধ্যমে পাশের সুস্থ/নীরোগ মানুষটিকেও সন্দেহভাজন করে তোলা হচ্ছে। পুলিস করোনা রোগীকে অপরাধীর মত কোথাও টেনে হিঁচড়ে কোয়ারেন্টিনের কয়েদখানায় চালান করছে। ভাইরাসটির বদলে কখনও-বা অচ্ছুত অস্পৃশ্য করোনা রোগী তুমুল রোষের শিকার হচ্ছেন। রথের পুণ্যতিথিতে শ্রীজগন্নাথদেবের শরণাগত হয়ে সেই মানহারা মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো আজ জরুরি। হিংস্র প্রলাপের মাঝে সেটাই হবে সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।
লেখক—শ্রীজগন্নাথদেবের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে গবেষণারত ও কোভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি এবং ‘হু’র কোভিড-১৯: অপারেশনাল প্ল্যানিং গাইডলাইনসে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। মতামত ব্যক্তিগত 
23rd  June, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
সঞ্চয়ে সুদের হার নিম্নমুখী, উদ্বেগে সবাই
দেবনারায়ণ সরকার

 বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বর্তমান আর্থিক সমীক্ষায় বলেছিলেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় থাকে।
বিশদ

26th  June, 2020
বয়কটের রাজনীতি চীনকে দমাতে পারবে কি?
হারাধন চৌধুরী

গত মার্চের শেষদিকে বিশ্বের নজর কেড়েছিল করোনা-বিধ্বস্ত উহান। মাত্র ছ’দিনে একটি বড় হাসপাতাল তৈরি করে। আগেই চীনের ঝুলিতে ছিল সাতদিনে একটি আস্ত হাসপাতাল নির্মাণের অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল।
বিশদ

25th  June, 2020
শত্রুপক্ষের সব রণনীতি এবং নেতৃত্বের ভাবধারণা জানা প্রয়োজন
শুভাগত জোয়ারদার

চীনের মহান রণনীতি বিশেষজ্ঞ সান তজু তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইতে বলেছেন—‘যদি তুমি তোমার শত্রু এবং নিজেকে জানো, তবে শতবার যুদ্ধেও ফল নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তুমি নিজেকে জানো কিন্তু শত্রুকে নয়, তবে প্রতিটি যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি পরাজয়ের গ্লানিতেও তোমাকে ভুগতে হবে। যদি তুমি না শত্রু, না নিজেকে জানো তবে প্রতিটি যুদ্ধে তোমায় জখম হতে হবে।’
বিশদ

25th  June, 2020
নেপাল: কলকাত্তা কালীর শরণাপন্ন রাজনাথ
কুমারেশ চক্রবর্তী

ছোটবেলায় আমরা ‘ম্যাপ-ম্যাপ খেলা’ খেলতাম। দাদাদের বাতিল ম্যাপের ওপর লাল পেন্সিল দিয়ে একটা ক্রসহচিহ্ন এঁকে জায়গাটা দখল করতাম, শর্ত একটাই, জায়গাটার নাম বলতে হবে। এইভাবে আমরা কত নগর, রাজ্য, দেশের মালিক হয়েছি!  বিশদ

24th  June, 2020
অসুরকে শিবের অভয়বাণী, মা ছাড়া গতি নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো কৈলাসে হাজির মহিষাসুর। ‘মহাদেব ভবনে’ ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন। নন্দী আর ভৃঙ্গী হাঁই হাঁই করে বললেন, ‘একদম ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কোরুনি।   বিশদ

24th  June, 2020
সীমান্তের এপারে ‘আসল’ ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত
 

মাত্র ২০ বছর বয়স চাঁদ মহম্মদের। দিল্লির সীলামপুরে একটি ঝুপড়িতে থাকে সে মায়ের সঙ্গে। ঠিকাদার সংস্থায় নাম লিখিয়ে একটি চাকরি সে পেয়েছে। খুব দরকার ছিল চাকরিটা। আট ঘণ্টার ডিউটি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। কাজ? কোভিড আক্রান্তদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া... হাসপাতালের মর্গ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত।  
বিশদ

23rd  June, 2020
একনজরে
সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে করোনার ‘সন্ত্রাস’ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই ছুঁই। এবার কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হল অ্যাকশন প্ল্যান। সোমবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই কর্মসূচির ...

কলম্বো: গড়াপেটা বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শ্রীলঙ্কাকে। দেশের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথামাজে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ইচ্ছা করে ভারতের কাছে হেরেছিল। ...

ইসলামাবাদ: ভুয়ো লাইসেন্স রাখার অপরাধে আড়াইশো জনের বেশি পাকিস্তানি পাইলট ও বিমানকর্মীকে সাসপেন্ড করল একাধিক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা তথা নির্দেশক ত্রিদিব ঘোষ সোমবার ভোরে তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিভিন্ন যাত্রাপালাতে তিনি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM