Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সীমান্তের এপারে ‘আসল’ ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত
 

মাত্র ২০ বছর বয়স চাঁদ মহম্মদের। দিল্লির সীলামপুরে একটি ঝুপড়িতে থাকে সে মায়ের সঙ্গে। ঠিকাদার সংস্থায় নাম লিখিয়ে একটি চাকরি সে পেয়েছে। খুব দরকার ছিল চাকরিটা। আট ঘণ্টার ডিউটি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। কাজ? কোভিড আক্রান্তদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া... হাসপাতালের মর্গ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত। মা থাইরয়েডের রোগী। ওষুধ খরচ আকাশছোঁয়া। চাঁদ মহম্মদের চাকরিটা হওয়ার আগে একবেলা করে খাবার জুটত মা-ছেলের। রেশনের চাল কিছুটা রেখে দিলে পরের দিন খাওয়া যাবে...। মায়ের হাত থেকে হাসিমুখে টিফিন কৌটোটা নিয়ে বেরনোর সময় সে জানে, একবার পিপিই পরে নিলে আর খাওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। সেই লাঞ্চবক্স খুলবে বিকেলে... আট ঘণ্টা ডিউটির পর।
হস্টেলের ঘরের দেওয়ালে আবক্ষ সাইজের একটা কাগজ সাঁটা রয়েছে। তাতে আঁকা লায়োনেল মেসির বার্সেলোনা জার্সি। ১০ নম্বর। বছর ঘোরে... ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টায়, কিন্তু এই ছবি দেওয়ালেই থেকে যায়। ডঃ ইরফান অন্ধ ভক্ত মেসির। এইমসের হস্টেলে থাকেন। একটু ফাঁকা পেলে চোখ আটকে থাকে ফুটবল ম্যাচে... মেসির পায়ে। আর মাঝে মাঝে মায়ের সঙ্গে ভিডিও কল...। মন ভালো রাখার ওষুধ। আর আবেগ? করোনা রোগীদের সুস্থ করে বাড়ি ফেরানো। প্রতিজ্ঞাও তাই।
চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত সংঘাতে চাঁদ মহম্মদ বা ইরফানের কিছু আসে যায় না। তাঁদের কাছে অনেক বেশি জরুরি সেই হাসিমুখগুলো... যাঁরা করোনা নামক এক মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাড়ি ফিরছেন। পেটের টানে চাঁদ মহম্মদকে চাকরিটা করতে হয়। মৃতদেহই তাঁর রুজিরুটি। তাও দিনের শুরুতে তিনি প্রার্থনা করেন... একটাও মৃতদেহ যেন আজ না আসে। সংক্রমণের ঝুঁকির জন্য নয়। মানবিকতার খাতিরে। দেশের এমন কোটি কোটি মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে সীমান্ত সত্যিই কোনও সমস্যা নয়। তার থেকে অনেক বেশি কিছু ভাবায় ওই মানুষগুলোকে... পরের বেলার খাবারটা জুটবে কী করে! বিদেশনীতি, কূটনীতি নয়, তাঁরা বোঝেন একটাই বিষয়—যুদ্ধ হলে জিনিসের দাম বাড়বে। করোনা এবং লকডাউনের মারণ পরিস্থিতিতে এমনিতেই গত দু’মাসে নিত্যপণ্যের দামের পারদ চড়েছে। তার উপর সীমান্তের উত্তেজনা দেশের বাজারে প্রভাব ফেললে দ্রব্যমূল্যের সীমা পরিসীমা থাকবে না। এখন দেখতে হবে, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি বাজার অর্থনীতিতে কি সত্যিই কোনও প্রভাব ফেলতে পারে?
এক কথায় উত্তর, খুব একটা নয়। কেন? অর্থনীতির দিক থেকে ভারত কিন্তু আজ চীনের উপর মারাত্মক নির্ভরশীল নয়। বরং নয়াদিল্লি যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেজিংই। আমাদের দেশের বাজারে চীনা পণ্যের রমরমা বাজার। তা সে এলইডি হোক বা মোবাইল ফোন। সস্তায় পুষ্টিকর খাদ্যের খোঁজে আমরা সবাই দৌড়ই। আইফোন কেনার সামর্থ্য যাঁদের নেই, তাঁরা চীনা সংস্থার ফোনেই সন্তুষ্ট থাকেন। প্রায় একই ফিচার, দেখনদারিও প্রায় এক। নেই বলতে আঁটসাঁট সুরক্ষা। তা নিরাপত্তার অভাবে ভোগাটা আমাদের দেশের অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। তাই এক্ষেত্রেও অসুবিধা খুব একটা হচ্ছে না। মাঝখান থেকে দু’-তিনটি মোবাইল ফোন কোম্পানি এখন ভারতের বাজার মাত করছে। ভারত যদি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছেদ করে, তাহলে এই পণ্যগুলির ভারতে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেশীয় সংস্থাগুলি সুযোগ পাবে মাথা তুলে দাঁড়ানোর। শুধু প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। ঠিকঠাক বলতে গেলে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্যেই চীনের দাদাগিরিটা রয়েছে। সেটাও ভারত আমদানি করে, বা এখানে আসার পর বেশ কিছু অ্যাসেম্বল হয়। আর চীনে রপ্তানির পরিসংখ্যান দেখতে গেলে অঙ্কটা ১৪-১৫ শতাংশ। পাশাপাশি মেক্সিকো, নাইজেরিয়া এবং বেলজিয়ামের মতো দেশগুলি ভারতের রপ্তানি ক্ষেত্রে অন্যতম অংশীদার। তার উপর গত বছরই এশিয়ার অর্থনৈতিক মঞ্চ ‘রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ’ থেকে বেরিয়ে এসেছে ভারত। অর্থাৎ, চীনের দাদাগিরির কাছে মাথা নত করেনি। একইসঙ্গে গত বছরই বাকি দেশগুলিকে টপকে ব্যবসাক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকা। অর্থাৎ, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভেঙেচুরে পড়লেও খুব একটা ধাক্কা ভারত খাবে না। বরং খানদুয়েক ক্ষেত্র এমন আছে, যেখানে ভারত অনেকটা এগিয়ে এবং চাইলে চীন এর থেকে উপকৃত হতে পারে। যেমন, জেনেরিক ওষুধ। এই সংক্রান্ত গবেষণায় ভারতের থেকে চীন অনেকটাই পিছিয়ে। তার উপর আমাদের দেশে জেনেরিক ওষুধের দাম অন্য অনেক দেশের তুলনায় কম। একই সুযোগ ছিল ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য। গোটা বিশ্বে ভারতের প্রযুক্তিবিদরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাদ রয়েছে শুধু ‘সন্দেহ বাতিকগ্রস্ত’ চীনে। কম খরচে ভালো গুণমানের কাজ নয়, দখলদারিতেই তাদের নজর। তাই চীন বরং বেল্ট অ্যান্ড রোড কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার প্ল্যান করেছে। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে যা নয়াদিল্লিকে অবশ্যই চাপে ফেলছে এবং ফেলবে। কিন্তু তাতে ভারতের অর্থনৈতিক তেমন কোনও সমস্যা হবে না। বরং ভারতের বাজার হাতছাড়া হলে প্রতিবেশীদেরই ভুগতে হবে।
চীন আসলে ভাবছে, করোনা মহামারীর প্রকোপ বাকিরা যতদিনে কাটিয়ে উঠবে, ততদিনে বিশ্বের মাপকাঠিতে তারা নিজেদের অর্থনীতি অনেকটাই গুছিয়ে নেবে। অর্থাৎ, চীনের মুদ্রা ইউয়ানের বিনিময় মূল্য চড়চড় করে বাড়বে, এমনই স্বপ্ন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির। এই মুহূর্তে ইউয়ানের বিনিময় মূল্য ১০ টাকা ৭৪ পয়সা অথবা ০.১৪ ডলার। কিন্তু মজাটা হল, চীন কোনও আন্তর্জাতিক বাজারের ধার ধারে না। ঘুম থেকে উঠে তারা ঠিক করে, আজ টাকা বা ডলারের সঙ্গে তাদের বিনিময় মূল্য কত হতে পারে। অর্থাৎ এই ভাবনাতেও ধোঁয়াশা আম জনতার কাছে। কাজেই চীনা অর্থনীতি আদৌ ঊর্ধ্বমুখী হবে কি না, সেটা তাদেরই দাবির উপর নির্ভর করছে। ভারত তো আর এই পথে হাঁটতে পারবে না! কাজেই আমাদের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে হবে আমাদেরই। তার জন্য সত্যিই ভারতকে স্বনির্ভর হতে হবে। চীনে বেশ কিছু শিল্পক্ষেত্রের কাঁচামালের দাম কম। সামান্য  মজুরিতে কাজ করার লোকেরও অভাব নেই। কাজ করিয়ে নেওয়ার নামে যে ‘শোষণতন্ত্র’ ওই দেশে চলে, তা আমাদের গণতন্ত্রে সম্ভব নয়। অথচ, কাজের সুযোগ এখানেও আছে! তবে বুঝে নিতে হবে কাজ। কর্তব্যের প্রতি সৎ হতে হবে। তাহলে শুধু চীন কেন, বহু প্রথম সারির দেশকেই পাল্লা দেওয়ার মতো জায়গায় আমরা পৌঁছে যেতে পারব। এই পদক্ষেপ যতদিন না বাস্তবায়িত হচ্ছে, গোটা ব্যাপারটা ‘ভাষণ’ হিসেবেই থেকে যাবে। আর ধাক্কা খাবে দেশীয় উৎপাদন ক্ষেত্র। আত্মহত্যা বাড়বে। দীর্ঘতর হবে অনাহারে মৃত্যুর তালিকা। আর আমরা তাদের দেশে ‘বাতিল’ করোনা কিট বা পিপিই কেনার জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব চীনের।
দিনে আক্রান্ত প্রায় ১৫ হাজার। এটাই এখন আমাদের দেশের পরিসংখ্যান। চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আঁচে এই আশঙ্কা এবং আলোচনা আজ পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। চর্চা এখন একটাই, বদলা চাই... উচিত শিক্ষা দিতে হবে। আমাদের কি ধারণা আছে, দিন সাতেকের যুদ্ধ হলে আমাদের অর্থনীতি কোথায় যাবে? আমরা কি জানি, তখন ৩৮ টাকা কেজি চাল দ্বিগুণ বা তারও অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে? কর্মসংস্থান বলে কিছু থাকবে না। পকেট শূন্য। এমন পরিস্থিতি আমরা চাই না। চায় না ভারত সরকারও। তাহলে এই যুদ্ধ-যুদ্ধ ব্যাপারটা কী? হয়তো নজর ঘোরানোর খেলা! দেশের আর্থিক দুর্দশার ফাটা কলসিতে নজর থাকবে না আম আদমির। সরকারও বলবে, আমাদের কী করার আছে? আন্তর্জাতিক টেনশনই বেহাল দশার জন্য দায়ী।
করোনা কিন্তু তখনও যাবে না। আর এটাই নির্মম সত্য। ডঃ সঞ্জীবনী পাণিগ্রাহী তখনও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে পড়বেন তাঁর হাসপাতালের উদ্দেশে। সংসার পিছনে ফেলে...। গুজরাতে ডাক্তারি করেন তিনি। ২০ মিনিট সময় লাগে তাঁর পিপিই পরতে। ঘাম গড়িয়ে পড়ে মুখ থেকে। সারা শরীর জবজবে হয়ে যায়। কিন্তু সেই ঘাম মুছতে পারেন না তিনি। টানা ১০ ঘণ্টা। পারেন না জল খেতে, শৌচাগারে যেতে। শরীর শুকিয়ে যায় সফদরজং হাসপাতালের ডঃ মণীশ বা দিল্লি এইমসের ডঃ রশিদ গৌরীর। হেডক্যাপ, তিনটে করে মাস্ক, চোখে চেপে বসে থাকা চশমায় চাক চাক দাগ হয়ে যায় তাঁদের মুখে। আর সেই পিপিই খুলতে সময় লাগে আধ ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট। এরপরও তরুণ ডঃ কনিষ্ক যাদব এইমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন... আমাকে দয়া করে কোভিড ডিউটি দেবেন। তাঁদের কাছে অন্য কিছু যে বেশি গুরুত্ব পায় না! মৃত্যুমুখ থেকে ফিরিয়ে আনা... এটাই তাঁদের আবেগ। এটাই জীবন।
বিদেশনীতি, কূটনীতি, সীমান্ত নয়... দেশের সম্পদ তার নাগরিক। ডঃ ইরফান, ডঃ মণীশ বা চাঁদ মহম্মদদের হাতে রাইফেল নেই। মর্টার নেই। আছে মানবিকতা। তাঁদের কাছে সত্যিকারের ‘ভারত’ মানে ভারতবাসী। সীমান্তের অনেক অনেক দূরে থেকেও তাই তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিঃশব্দে...।  
23rd  June, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
সঞ্চয়ে সুদের হার নিম্নমুখী, উদ্বেগে সবাই
দেবনারায়ণ সরকার

 বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বর্তমান আর্থিক সমীক্ষায় বলেছিলেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় থাকে।
বিশদ

26th  June, 2020
বয়কটের রাজনীতি চীনকে দমাতে পারবে কি?
হারাধন চৌধুরী

গত মার্চের শেষদিকে বিশ্বের নজর কেড়েছিল করোনা-বিধ্বস্ত উহান। মাত্র ছ’দিনে একটি বড় হাসপাতাল তৈরি করে। আগেই চীনের ঝুলিতে ছিল সাতদিনে একটি আস্ত হাসপাতাল নির্মাণের অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল।
বিশদ

25th  June, 2020
শত্রুপক্ষের সব রণনীতি এবং নেতৃত্বের ভাবধারণা জানা প্রয়োজন
শুভাগত জোয়ারদার

চীনের মহান রণনীতি বিশেষজ্ঞ সান তজু তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইতে বলেছেন—‘যদি তুমি তোমার শত্রু এবং নিজেকে জানো, তবে শতবার যুদ্ধেও ফল নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তুমি নিজেকে জানো কিন্তু শত্রুকে নয়, তবে প্রতিটি যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি পরাজয়ের গ্লানিতেও তোমাকে ভুগতে হবে। যদি তুমি না শত্রু, না নিজেকে জানো তবে প্রতিটি যুদ্ধে তোমায় জখম হতে হবে।’
বিশদ

25th  June, 2020
নেপাল: কলকাত্তা কালীর শরণাপন্ন রাজনাথ
কুমারেশ চক্রবর্তী

ছোটবেলায় আমরা ‘ম্যাপ-ম্যাপ খেলা’ খেলতাম। দাদাদের বাতিল ম্যাপের ওপর লাল পেন্সিল দিয়ে একটা ক্রসহচিহ্ন এঁকে জায়গাটা দখল করতাম, শর্ত একটাই, জায়গাটার নাম বলতে হবে। এইভাবে আমরা কত নগর, রাজ্য, দেশের মালিক হয়েছি!  বিশদ

24th  June, 2020
অসুরকে শিবের অভয়বাণী, মা ছাড়া গতি নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো কৈলাসে হাজির মহিষাসুর। ‘মহাদেব ভবনে’ ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন। নন্দী আর ভৃঙ্গী হাঁই হাঁই করে বললেন, ‘একদম ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কোরুনি।   বিশদ

24th  June, 2020
জ্বর হলে জগন্নাথদেব মাস্ক
পরেন, মানেন দূরত্ববিধি
মৃন্ময় চন্দ

ইতিহাস ২৮৫ বছরের, এই প্রথমবার, একটা পুঁচকে ভাইরাস ঝামেলা পাকিয়েছিল জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। ফুলবাবু হয়ে, সেজেগুজে, গায়ে একরাশ সুগন্ধি ঢেলে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে প্রতিবছর নিয়ম করে বোন সুভদ্রা আর দাদা বলভদ্রকে নিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। 
বিশদ

23rd  June, 2020
একনজরে
অলকাভ নিয়োগী, বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরতেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা পরীক্ষাও বেড়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেও সারা জেলায় ৫০০-এর কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু, রবিবার পর্যন্ত জেলায় সেই পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার। যার ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা তথা নির্দেশক ত্রিদিব ঘোষ সোমবার ভোরে তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিভিন্ন যাত্রাপালাতে তিনি ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: বিদেশি বিনিয়োগ তথা বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কয়লা শিল্পে তিনদিনের লাগাতার ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিল আরএসএস নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: রবিবার রাতে কল্যাণী-চাকদহ রাজ্য সড়কে আলাইপুরের কাছে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM