Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সঞ্চয়ে সুদের হার নিম্নমুখী, উদ্বেগে সবাই
দেবনারায়ণ সরকার

উইলিয়াম শেক্সপিয়রের ‘মেজার ফর মেজার’ নাটকে ক্লডিও বলেছিলেন, ‘অতি দুঃখীর জন্য আশা ছাড়া অন্য কোনও ওষুধ নেই’। একই অবস্থা ব্যাঙ্ক ও স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের সুদের হারের উপর নির্ভরশীল দেশের প্রবীণ নাগরিক-সহ স্থির আয়ের উপর নির্ভরশীল মানুষের। বিশেষ করে অতি নিম্নবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ব্যক্তিবর্গের। একদিকে, কয়েক বছর ধরে বিপুল অনাদায়ী ঋণের ভারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ধুঁকছে এবং মহামারীকালে নতুন ঋণের ৫.৭ লক্ষ কোটি টাকা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হবার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোতে আমানত বাড়ানোর স্বার্থে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার ও অন্যান্য সুবিধা কমাতে কমাতে প্রায় ব্যাঙ্কের পর্যায়ে নামানো হয়েছে। আবার ব্যাঙ্কের সুদের হারও ক্রমশ কমছে। করোনার ধাক্কায় আরও কমেছে। সুদের হারের উপর নির্ভরশীল প্রবীণ-সহ স্থির আয়ের নাগরিকদের এই মুহূর্তে সরকারের কাছে আশা ভিন্ন অন্য কোনও ওষুধ নেই। এক্ষেত্রে দু’টি প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক। প্রথমত, ব্যাঙ্ক ও স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার যথেষ্ট কমলেও দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কতখানি যার ফলে অর্থনীতির চাকা কতখানি পুনরুদ্ধার সম্ভব? দ্বিতীয়ত, ব্যাঙ্ক আমানতে ও স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ভীষণ কমায় স্থির আয়ের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোতে এর প্রভাব কতটা?
বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বর্তমান আর্থিক সমীক্ষায় বলেছিলেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় থাকে। সরকারি পরিসংখ্যান: ২০১১-১২ অর্থবর্ষে গৃহস্থের সঞ্চয় ছিল জিডিপির ২৩.৬%। ২০১৭-১৮ তে কমে দাঁড়ায় ১৭.২%। মোট স্থির মূলধন গঠনের অনুপাত ২০১১-১২ অর্থবর্ষে ছিল জিডিপির ৩৬.৫%। ২০১৭-১৮-তে কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩০%। রপ্তানির অবস্থাও মোদির আমলে খুব খারাপ। ২০১৩-১৪-তে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় ছিল ৩১৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মোদি সরকার তার প্রথম ৪ বছরেও ইউপিএ আমলের শেষ বছরের পণ্য রপ্তানি আয়ের সীমা ছুঁতে পারেনি। শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেই ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষের রপ্তানি আয়ের সীমা অতিক্রম করেছিল। গত অর্থবর্ষেও ইউপিএ-র শেষ বছরের পণ্য
রপ্তানি আয়ের সীমা অতিক্রম করতে পারিনি। বিশ্ব শুল্ক-যুদ্ধ, করোনা-যুদ্ধ এবং গলওয়ানে গভীর উদ্বেগজনক সংঘাতে এবছরেও রপ্তানি আয়
বৃদ্ধির আশা ক্ষীণ। তাহলে রপ্তানি বাড়ল কোথায়?
প্রশ্ন হল, ঋণের সুদ কমলে দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে কতখানি? প্রাণ ফিরেছে কি শিল্পে? বাড়ছে কি পণ্যের চাহিদা ও কর্মসংস্থান? সরকারি তথ্য: ১ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৪ অক্টোবর, ২০১৯ পর্যন্ত টানা ১৪ মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৬ বার রেপো রেট (যে সুদে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বল্পমেয়াদে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয়) কমিয়েছে ১৩৫ বেসিস পয়েন্ট (৬.৫০ থেকে ৫.১৫ শতাংশ)। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও তাদের সুদের হার ৬০ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছিল। কিন্তু বিনিয়োগ কতখানি বেড়েছে বা দেশের অর্থনীতির চাকার কতটা ঘুরেছে, তা গত ৩০ মে-র সরকারি পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। গত অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৪.২%। যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৯-২০-র শেষ ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি মাত্র ৩.১%। যা ৮ বছরে সর্বনিম্ন। কেন এমন ঘটল?
মোদ্দা কথা, এক নাগাড়ে সুদ কমানো সত্ত্বেও প্রাণ ফিরছে না শিল্পে। ৩০ মে-র সরকারি তথ্য: গত অর্থবর্ষে মূলধনী পণ্যে খরচ কমেছে ৬.৫%। এটা কার্যত রেকর্ড। মুলধনী পণ্যে খরচ হ্রাসের অর্থ হল উৎপাদনও কমা। কারণ বাড়ছে না জিনিসের চাহিদা। ফলে কর্মসংস্থানও কমেছে। এর ফলে গত বছরে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধিও গত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। সুদ ক্রমশ কমানো সত্ত্বেও অর্থনীতির চাকা ক্রমশ নিম্নগামী। অর্থাৎ সুদ ছাঁটাইয়ের সরাসরি সুবিধা পাচ্ছেন শুধু বাড়ি গাড়ির ঋণগ্রহীতারা। কিন্তু তাঁরা জনসংখ্যার সামান্য এক শতাংশ।
অন্যদিকে, এক নাগাড়ে সুদ কমার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে স্থির আয়ের উপর নির্ভরশীল কোটি কোটি মানুষ।
এদিকে, করোনা মহামারীর মাঝে মাত্র দু’মাসের কম সময়ের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১১৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমিয়েছে। ২৭ মার্চ কমিয়েছে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট (৫.১৫% থেকে ৪.৪%)। ২২ মে কমিয়েছে ৪০ বেসিস পয়েন্ট (৪.৪০% থেকে ৪%)। ফলে, পাল্লা দিয়ে কমেছে ডাকঘর স্বল্পসঞ্চয়ে সুদের হার। ব্যাঙ্কের সুদের হারও। ১ এপ্রিল ২০২০-তে এক ধাক্কায় স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার ০.৭০ থেকে ১.৪০ শতাংশ কমেছে। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সুদের হার ৮.৬০ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৪০ শতাংশ। ৫ বছরের মান্থলি ইনকাম স্কিম, এনএসসি, রেকারিং ডিপোজিট ও স্থির আমানতে সুদের হার ১.১ থেকে ১.৪ শতাংশ কমেছে। কিষান বিকাশ পত্র, পিপিএফ এবং সুকন্যা সমৃদ্ধি প্রকল্পে সুদের হার ০.৭ থেকে ০.৮ শতাংশ কমেছে। স্টেট ব্যাঙ্কে ৫ বছরে স্থির আমানতে সুদের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৪%। প্রবীণদের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৬.২%। এমনকী, প্রধানমন্ত্রীর বয়োবন্দনা প্রকল্পেও সুদের হার ৮% থেকে কমিয়ে ৭.৪% করা হয়েছে।
চরম উদ্বেগের বিষয় হল, আমানতের জমায় সুদ কমলে তা সরাসরি আঘাত করে সঞ্চয় প্রবণতাকে। চক্রক্রমিকভাবে বিনিয়োগ, উৎপাদন, আয়, চাহিদা, ব্যয় ও সঞ্চয়ে সেই আঘাত ফিরে আসে। অর্থাৎ সুদ অস্বাভাবিকভাবে কমার জন্য সঞ্চয় প্রবণতাও কমছে। যাঁরা মূলত সুদের উপর নির্ভরশীল তাঁদের অবস্থা খুবই সঙ্গীন। অতিমারীর সময়ে মাত্র একদিনের মধ্যে (গত ৩১ মার্চ-১ এপ্রিল) পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সুদের হার কমানো হল ১২০ বেসিস পয়েন্ট (৮.৬০% থেকে ৭.৪০%)। অর্থাৎ মাত্র ১ দিনের মধ্যে প্রবীণেরা তাঁদের জমার প্রায় ১৪% সুদ কম পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বয়োবন্দনা প্রকল্পে সুদের হার কমল ৬০ বেসিক পয়েন্ট (৮% থেকে ৭.৪০%)। অর্থাৎ প্রবীণেরা তাঁদের জমা টাকার ৭.৫% সুদ কম পাবেন। অথচ মোদি জমানায় ২০১৬-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রবীণেরা ৯.৩০% সুদ পেতেন।
এটা ঘটনা যে দরিদ্র, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ছাড়াও স্থির আয়ের উপর নির্ভরশীল অধিকাংশ ভারতবাসীর কাছে সামাজিক সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় ছিল। কিন্তু মোদি জমানাতেই ২০১৬-র ১ এপ্রিল থেকেই অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি দুরবস্থা ঘটেছে সমস্ত স্বল্প সঞ্চয়ে। মহামারীতে এর ধাক্কা হয়েছে আরও তীব্রতর। ব্যাঙ্কগুলিকে বাচাতে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হারও একনাগাড়ে কমিয়ে চলেছে মোদি সরকার। একদিকে ক্রমাগত সুদের হার কমায় বিনিয়োগ বাড়ছে না এবং অর্থনীতির চাকা ক্রমশ নিম্নগামী, অন্যদিকে আম জনতার সঞ্চয়ের উপর এটা মরার উপর খাঁড়ার ঘা। আসলে মোদি সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প মূলত কথার কথা—কাজে নয়, বরং উল্টো। আম জনতা সব দিক দিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত। তবুও সরকারের কাছে আশা ভিন্ন অন্য কোনও ওষুধ অবশিষ্ট নেই।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক
26th  June, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
বয়কটের রাজনীতি চীনকে দমাতে পারবে কি?
হারাধন চৌধুরী

গত মার্চের শেষদিকে বিশ্বের নজর কেড়েছিল করোনা-বিধ্বস্ত উহান। মাত্র ছ’দিনে একটি বড় হাসপাতাল তৈরি করে। আগেই চীনের ঝুলিতে ছিল সাতদিনে একটি আস্ত হাসপাতাল নির্মাণের অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল।
বিশদ

25th  June, 2020
শত্রুপক্ষের সব রণনীতি এবং নেতৃত্বের ভাবধারণা জানা প্রয়োজন
শুভাগত জোয়ারদার

চীনের মহান রণনীতি বিশেষজ্ঞ সান তজু তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইতে বলেছেন—‘যদি তুমি তোমার শত্রু এবং নিজেকে জানো, তবে শতবার যুদ্ধেও ফল নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তুমি নিজেকে জানো কিন্তু শত্রুকে নয়, তবে প্রতিটি যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি পরাজয়ের গ্লানিতেও তোমাকে ভুগতে হবে। যদি তুমি না শত্রু, না নিজেকে জানো তবে প্রতিটি যুদ্ধে তোমায় জখম হতে হবে।’
বিশদ

25th  June, 2020
নেপাল: কলকাত্তা কালীর শরণাপন্ন রাজনাথ
কুমারেশ চক্রবর্তী

ছোটবেলায় আমরা ‘ম্যাপ-ম্যাপ খেলা’ খেলতাম। দাদাদের বাতিল ম্যাপের ওপর লাল পেন্সিল দিয়ে একটা ক্রসহচিহ্ন এঁকে জায়গাটা দখল করতাম, শর্ত একটাই, জায়গাটার নাম বলতে হবে। এইভাবে আমরা কত নগর, রাজ্য, দেশের মালিক হয়েছি!  বিশদ

24th  June, 2020
অসুরকে শিবের অভয়বাণী, মা ছাড়া গতি নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো কৈলাসে হাজির মহিষাসুর। ‘মহাদেব ভবনে’ ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন। নন্দী আর ভৃঙ্গী হাঁই হাঁই করে বললেন, ‘একদম ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কোরুনি।   বিশদ

24th  June, 2020
সীমান্তের এপারে ‘আসল’ ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত
 

মাত্র ২০ বছর বয়স চাঁদ মহম্মদের। দিল্লির সীলামপুরে একটি ঝুপড়িতে থাকে সে মায়ের সঙ্গে। ঠিকাদার সংস্থায় নাম লিখিয়ে একটি চাকরি সে পেয়েছে। খুব দরকার ছিল চাকরিটা। আট ঘণ্টার ডিউটি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। কাজ? কোভিড আক্রান্তদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া... হাসপাতালের মর্গ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত।  
বিশদ

23rd  June, 2020
জ্বর হলে জগন্নাথদেব মাস্ক
পরেন, মানেন দূরত্ববিধি
মৃন্ময় চন্দ

ইতিহাস ২৮৫ বছরের, এই প্রথমবার, একটা পুঁচকে ভাইরাস ঝামেলা পাকিয়েছিল জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। ফুলবাবু হয়ে, সেজেগুজে, গায়ে একরাশ সুগন্ধি ঢেলে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে প্রতিবছর নিয়ম করে বোন সুভদ্রা আর দাদা বলভদ্রকে নিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। 
বিশদ

23rd  June, 2020
একনজরে
সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে করোনার ‘সন্ত্রাস’ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই ছুঁই। এবার কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হল অ্যাকশন প্ল্যান। সোমবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসন ও শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এই কর্মসূচির ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: রবিবার রাতে কল্যাণী-চাকদহ রাজ্য সড়কে আলাইপুরের কাছে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রখ্যাত যাত্রাভিনেতা তথা নির্দেশক ত্রিদিব ঘোষ সোমবার ভোরে তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। বিভিন্ন যাত্রাপালাতে তিনি ...

কলম্বো: গড়াপেটা বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শ্রীলঙ্কাকে। দেশের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথামাজে অভিযোগ করেছিলেন, ২০১১ আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ইচ্ছা করে ভারতের কাছে হেরেছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM