Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বয়কটের রাজনীতি চীনকে দমাতে পারবে কি?
হারাধন চৌধুরী

গত মার্চের শেষদিকে বিশ্বের নজর কেড়েছিল করোনা-বিধ্বস্ত উহান। মাত্র ছ’দিনে একটি বড় হাসপাতাল তৈরি করে। আগেই চীনের ঝুলিতে ছিল সাতদিনে একটি আস্ত হাসপাতাল নির্মাণের অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল। সার্সের প্রকোপে দেশ কাঁপছে। সরকার প্রযুক্তিবিদদের বলল, কিছু একটা করুন। সরকার যা বলেছিল, প্রকৌশলীরা করে দেখালেন তার থেকেও এগিয়ে। করোনার সময় সরকার বলল, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। জানুয়ারি, ২০২০-তে তাঁরা বিশাল হাসপাতাল গড়লেন আরও কম সময়ে। তখন মনে পড়ল, ২০১৫-য় দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা মধ্য চীনে ৫৭ তলা এক বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন ১৯ দিনে! গভীরে গেলে বিস্ময়ের শেষ নেই। এটাই আজকের চীন।
কিন্তু দেশটি একদিনে এই উচ্চতায় ওঠেনি। দু’টি পুরনো কাহিনীতে নতুন করে চোখ রাখা যায়। উত্তর চীনের তাচাই অঞ্চল। ঢালু বালিময় রুক্ষ প্রান্তর। ন্যাড়া মাটির পাহাড়। চাষ-আবাদের কথা দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবেনি। গত শতকের ষাটের দশক। ৩৬০ জন কৃষকের এক সমবায় মরুবিজয়ের কেতন ওড়াল। চাষিরা পাহাড়ের ধাপে ধাপে বাঁধ দিলেন। মাটি বয়ে নিয়ে ভরাট করলেন। যা দেখতে বিশালাকার টবের মতো হল। ভাবলে অসম্ভব মনে হয়। সেটাই সম্ভব করলেন মহাপ্রাচীর নির্মাণের ঐতিহ্যকে স্মরণ করে। ১৯৬৩-তে হল প্রবল বন্যা। তাচাইয়ের এত মেহনত জলে গেল। নিয়মানুসারে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য। কিন্তু চাষিরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে তা নিলেন না। ফের একইরকম নিষ্ঠা ও শ্রমে সেই গ্রাম গড়লেন। এত ফসল ফলালেন যে উদ্বৃত্ত হল!
১৯৫৮। সাংহাই। একটি কারখানা শুরু হল ১২ জন শ্রমিক নিয়ে। তাঁদের মধ্যে চারজন দৃষ্টিহীন এবং চারজন মূক ও বধির। সূচনা হয়েছিল হাতে চালানো ছোটখাটো যন্ত্র দিয়ে। ’৬৭-তে শ্রমিক বেড়ে হল ৪৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৩৩০ জন প্রতিবন্ধী। দৃষ্টিহীন এবং মূক-বধিরদের কাজ নির্দিষ্ট করা থাকে। তাঁরা সেইমতো মেশিন চালিয়ে কাজ করেন। মূক-বধিররা সঙ্কেতে কথাবার্তা বলেন। দৃষ্টিহীনরা পড়েন, লেখেন ব্রেইল পদ্ধতিতে। কারখানার পরিচালন ব্যবস্থায় যথেচ্ছাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন করলেন দৃষ্টিহীনরাই। কমিউনিস্ট পার্টির স্থানীয় নেতৃত্ব ভুল স্বীকার করলেন। প্রতিকার পেলেন শ্রমিকরা। এহেন কারখানাও দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় অবদান রাখে। মাও সে তুং, চৌ এন লাইয়ের দেশে কেউ করুণার পাত্র নয়। প্রতিবন্ধীরাও না। সমাজগঠনে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু দিতে পারেন। কারও দান ছোট নয়।
★★★
একটা ঐতিহাসিক সত্য এই যে, ইংরেজের নির্মম বেনিয়া প্রবৃত্তির কারণে বাংলার তাঁতশিল্পসহ অনেক দেশীয় শিল্প একসময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। অসহায় বেকার দেশীয় শিল্পীদের সম্পর্কে নেহরু তাঁর 'ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া'তে লিখেছেন—'তাঁদের কী গতি হবে? পুরনো পেশা তাঁদের বন্ধ হয়ে গেল। নতুন পেশায় যাওয়ার পথ নেই। তাঁদের জন্য অবশ্য মৃত্যুর পথ খোলা ছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণই করলেন।'
লর্ড বেন্টিঙ্ক। ব্রিটিশ গভর্নরদের মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম। ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দ। এক রিপোর্টে তিনি লেখেন—'বাণিজ্যের ইতিহাসে তাঁদের দুঃখ-দুর্দশার কাহিনীর কোনও তুলনা নেই। তাঁতিদের কঙ্কালে ভারতের পথঘাট সাদা হয়ে উঠেছে।'
বিলিতি পণ্যে ভারতের বাজার ছয়লাপ করে দেওয়ার মতলবেই দেশীয় শিল্প ধ্বংস করা হয়।
সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দু'হাতে লুটে নেওয়া অর্থ এবং অন্যান্য ধনসম্পদ বি‍লেতে পাচার করার প্ল্যানের বিরুদ্ধে রামমোহন থেকে নৌরজি—অনেক মনীষী সরব হন।
★★★
সেই ‘ড্রেন থিয়োরি’ ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। শুধু বদলে গিয়েছে লুণ্ঠনকারীর নাম। ইংরেজের স্থলে চীনারা।
ইংরেজরা করেছিল ভারতে ঢুকে। বণিকের বেশে এসেছিল। সুচ থেকে ফাল হওয়ার ম্যাজিক সাহেবরা দেখিয়েছে। বণিকরাই একচ্ছত্র শাসক হয়ে উঠেছিল। শাসনক্ষমতা দখল করার পর দখলে নিয়েছিল ভারতবাসীর ইচ্ছে-অনিচ্ছেটুকুও।
আজকের চীন করছে দূর থেকে। বন্ধুত্বের ছলনায়। বিশ্বায়নের বাধ্যবাধকতার সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রবেশ করে। চীন প্রবেশ করেছে ভারতের আলপিন টু এলিফ্যান্ট মার্কেটে। শুধু ভারতের বাজার দখল করেনি, দখল করেছে প্রতিবেশী দেশগুলিরও বাজার। ভারতের পণ্য উৎপাদন যেসব দেশে রপ্তানির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। প্রতিবেশী দেশগুলিতে ভারতের পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলিও সঙ্কুচিত করে দিতে মরিয়া বেজিং।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, চীন একে একে ভারতের এবং প্রতিবেশীদের বাজারের দখল নিচ্ছে। প্রতিবেশীদের উস্কানি দিচ্ছে ভারত সম্পর্কে বিরূপ হওয়ার জন্য। চেষ্টা করছে ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত বিরোধে নতুন মোড় দিতে। আকসাই চীন ’৬২-তে দখল করেছে লালফৌজ। এখন তাদের লক্ষ্য, ভারতের ভিতরে ঢুকে চীনের ভূখণ্ডের আয়তন তস্করের মতো কিছুটা বাড়ানো।
সম্প্রতি লাদাখের গলওয়ানে ঘটে যাওয়া আগ্রাসনের পর ভারতকে ভাবতেই হচ্ছে, চীনের দূর লক্ষ্যটা কী? মানচিত্র কিছুটা চওড়া করেই কি থামবে মাওয়ের দেশ? কমিউনিস্ট চীনের প্রথম চেয়ারম্যানের অপূর্ণ স্বপ্ন তো এত সামান্য নয়। তা যে আরও অনেক বড় …! জিনপিংয়ের লালসা দেখে মনে হয়, তিনিই মাওয়ের যোগ্যতম উত্তরসূরি। এর পাথুরে প্রমাণ রেখে যেতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ! ২০১৭-তে ভুটান সীমান্তের ডোকলামে জি জিনপিং প্রশাসনের অসভ্যতার সময়েই বুঝে নেওয়া দরকার ছিল। নেপালে কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠার পিছনে চীনের অতি উৎসাহ দেখেই বুঝে নেওয়া দরকার ছিল। পালা বদলের পর থেকে নেপাল সরকারের উগ্র চীন-প্রীতির ভিতরেও রসদ রয়েছে। মশলা রয়েছে ইমরান সরকারের তিড়িবিড়িংয়ের ভিতরেও। এত বার চীনের মুখচিত্র পড়তে না-পারার মূল্যই কি দিতে হচ্ছে ভারতকে? এবার উপলব্ধি করা দরকার, চীন কি একবিংশ শতকের প্রধান সাম্রাজ্যবাদী হয়ে উঠতে বদ্ধপরিকর? অথচ, এই চীন একদিন ভারতবন্ধু সোভিয়েত রাশিয়ার নিন্দে করত ‘সমাজতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদী’ বলে!
★★★
নয়া সাম্রাজ্যবাদী চীনকে সামলানোর পথ তবে কী? প্রথম দাবি উঠেছে, চীনকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। দ্বিতীয়টা দাবির থেকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রায় সর্বত্র আওয়াজ উঠেছে, চীনকে বয়কট করো।
বয়কটের ইতিহাস ১৪০ বছরের পুরনো। বয়কট আন্দোলনের শক্তিটা আমরা জানি। কিন্তু চীনকে নিয়ে এই যে সঙ্কট, তাতে এই অস্ত্রের কার্যকারিতা কতটুকু?
প্রথমে আসা যাক উচিত শিক্ষা দেওয়ার প্রসঙ্গে। চোখে চোখ রেখে কথা বলা। গর্জন। আস্ফালন। এসব চলতেই পারে। কিন্তু সামরিকভাবে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দিন আজ কতটা বাস্তব? ভারত চীন, দুটি দেশই যে পরমাণুশক্তিধর! সেক্ষেত্রে কূটনৈতিক লড়াই অনেক নিরাপদ। দুই দেশের জন্যই। আঞ্চলিক শান্তি সুস্থিতির
পক্ষেও। সবার আগে প্রতিবেশীসহ নিকটবর্তী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে হবে। তারপর পাশে পেতে হবে বিশ্ব জনমত। চীন যে কী বস্তু তা করোনা-বিধ্বস্ত পৃথিবী জানে। এখন কাজটা খুব কঠিন নয়। ভারতের আজকের গার্জেনদের মুনশিয়ানার পরীক্ষা এখানেই।
‘ছেড়ে দাও রেশমি চুড়ি বঙ্গনারী/ কভু হাতে আর প’রো না’-র দিন তো দু’হাজার কুড়ি নয়। চীনকে বা চীনা পণ্য বয়কটের যে আওয়াজ উঠেছে, তার ভিতরে স্বদেশি যুগের আবেগ কিছুটা আছে বটে, প্রকট হচ্ছে বাস্তব বোধের অভাবটিও। সেদিন রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের বাধ্যবাধকতা ছিল। মানুষ কৃচ্ছ্রসাধন করেছিল পুণ্যার্জনের জ্ঞানে।
স্বাধীন দেশের নাগরিককে সেই পথে হাঁটতে আজ বাধ্য করা যায় না। চীনকে সর্বতোভাবে ত্যাগের জন্য অন্তত সমমানের বিকল্প রাখতেই হবে। উন্নততর বিকল্পের দাবিটা পরবর্তী অধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথ সেদিন রাষ্ট্রের উপরে সমাজকে স্থান দিতে বলেছিলেন। ব্রিটিশ রাজশক্তির কথা মনে রেখে বলেছিলেন, সুগঠিত সমাজকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন শেষ করতে পারে না। সমাজ তার প্রাণশক্তি দিয়ে আত্মরক্ষা করতে সমর্থ। কিন্তু রাষ্ট্রনির্ভর দেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কবি গ্রিস ও রোমের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। বিপরীতে বার বার বিদেশিদের হাত লুণ্ঠিত হওয়ার পরেও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ভারত। সমাজপ্রধান দেশের লক্ষণ: পরমুখাপেক্ষী নয়। সততার সঙ্গে দেশের বুদ্ধিশক্তি ও কর্মশক্তিকে সংঘবদ্ধ করে। দেশের সব প্রান্তে এই আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেয়।
গ্রিক ‘autarkeia’ থেকে এসেছে ইংরেজি ‘autarky’। অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এক সমাজের কথাই রবীন্দ্রনাথ কল্পনা করেছিলেন। মোদিজির গলাতেও অবিকল সেই সুর। এমন সমাজনির্ভর দেশ বিশ্বাসঘাতক চীনকে রুখতেই পারে। কিন্তু সেই সংঘবদ্ধ সমাজ তৈরির প্রথম শর্তটি যে সততা! রাষ্ট্রনির্মাণ প্রক্রিয়ার ভিতরে তার কতটুকু অবশিষ্ট রেখেছে ভারতের আজকের রাজনীতি? যে-দেশে একটি প্রকল্প গড়ার আগে শাসক দল অঙ্ক কষতে বসে জায়গাটিতে বিরোধীদের প্রভাব বেশি কি না কিংবা সামান্য ত্রাণ থেকে বিধবাভাতা, সবেতেই রাজনীতি পার্সেন্টেজ চায়, সেই দেশ শিল্প-বাণিজ্যে চীনকে টক্কর দেবে!
★★★
কোন চীন, তার সামান্য বিবরণ দিয়েই এই লেখার শুরু। শেষ করছি মহম্মদ বিন তুঘলকের ডবল কৃতিত্ব দিয়ে। তুঘলক রাজধানী দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটতে হয়েছিল সকলকেই। শিশু-কাঁখে মা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। অন্ধ খোঁড়া অসুস্থদেরকেও। যাঁরা একেবারে যেতে পারলেন না, তাঁরা কোতল হলেন! কয়েক বছর কাটল। সম্রাট বুঝলেন, ভুল করেছেন। খামখেয়ালি সম্রাটের আদেশে দিল্লিতেই ফিরে এল রাজধানী। কিন্তু এবার সকলকে ফেরাতে ব্যর্থ হলেন। ৬০০ মাইল দূরে দৌলতাবাদেই রয়ে গেলেন শিল্পী, বাস্তুকার প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকরা।
বুদ্ধির জড়তা না এলে সম্প্রীতির সঙ্কট অনিবার্য করে তোলা যায় না। এজন্য অবশ্যই দুয়ো প্রাপ্য জিনপিংয়ের। কিন্তু, এই বয়কটের রাজনীতির ভিতরে তুঘলকের পরিণতি কিছুমাত্র লুকিয়ে নেই কি?
25th  June, 2020
‘সাম্রাজ্যবাদী’ জিনপিং...
শেষের এটাই শুরু নয় তো?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তরুণ বয়সে মাও সে তুং লিখেছিলেন... চীনকে ধ্বংস করতে হবে, আর সেই ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে তুলতে হবে নতুন দেশ। বিপ্লব—এটাই ছিল তাঁর লক্ষ্য... এবং স্বপ্নও। ভেবেছিলেন, কমিউনিজমই পারবে এই বিপ্লব আনতে। শত শত আইডিয়া ঘোরাফেরা করত তাঁর মাথায়। কিন্তু গা করেনি কেউ। বিশদ

আপনি কি আর্থিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষণ দেখছেন?
পি চিদম্বরম

 কিছু মানুষের দূরদৃষ্টি নিখুঁত। কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে ভালো দেখেন। তাঁরা দ্রষ্টা। সাধারণ মরণশীল মানুষ দেখতে পায় না এমন জিনিসও তাঁরা দেখতে পান। কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি আমাদের ভাবনার চেয়েও উন্নত। তাঁরা মহাজ্ঞানী। তাঁরা ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। গড়পড়তা মানুষের যা অসাধ্য।
বিশদ

29th  June, 2020
মোদির তেল রাজনীতি ও
মমতার মানবিক প্যাকেজ
হিমাংশু সিংহ

 ডাক নাম মধু। বেসরকারি বাসের কন্ডাকটর। রোজ চুঁচুড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বাসের পাদানিতে দাঁড়িয়ে লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসাই তাঁর পেশা। গত এপ্রিল-মে মাসে বাস চলেনি বলে মালিকও বেতনের পুরো টাকা দেননি। অনুনয় বিনয়ের পর সামান্য কিছু ঠেকিয়েছেন।
বিশদ

28th  June, 2020
দুষ্টের দমনেই
জন্মায় আস্থা
তন্ময় মল্লিক

এক বালতি দুধ নষ্ট করার জন্য এক ফোঁটা গোচোনাই যথেষ্ট। কথাটা সকলেরই জানা। ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, এমনকী রাজনীতিতেও এর প্রমাণ মিলেছে বারবার। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিশদ

27th  June, 2020
বেশি নম্বর, অধিক
আসন ও ঠান্ডা মাথা
শুভময় মৈত্র

দেশজুড়ে পরীক্ষা নিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। বিভিন্ন নিয়ামক সংস্থা এবং বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে পরীক্ষা হবে কি হবে না। বেশ কিছু অভিভাবক মনে করছেন করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া উচিত নয়। বিষয়টি একেবারে যুক্তিপূর্ণ। বিশদ

27th  June, 2020
নেতৃত্বের পরীক্ষা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সফলভাবে করোনা ভাইরাসকে আটকে দেওয়া মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে এই নেতাদের সবথেকে বড় যে পার্থক্যটি চোখে পড়েছে, সেটি হল, পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া। অর্থাৎ কনসাল্টেশন। মহিলা রাষ্ট্রপ্রধানরা প্রায় প্রত্যেকেই এক্সপার্ট গ্রুপ, বিশেষজ্ঞ মেডিকেল প্রফেশনাল, বিজ্ঞানীদের প্যানেল এবং অন্য সফল দেশের ম্যানেজমেন্টকে দ্রুত প্রয়োগ করেছেন। বিশদ

26th  June, 2020
সঞ্চয়ে সুদের হার নিম্নমুখী, উদ্বেগে সবাই
দেবনারায়ণ সরকার

 বর্তমান অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম বর্তমান আর্থিক সমীক্ষায় বলেছিলেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় থাকে।
বিশদ

26th  June, 2020
শত্রুপক্ষের সব রণনীতি এবং নেতৃত্বের ভাবধারণা জানা প্রয়োজন
শুভাগত জোয়ারদার

চীনের মহান রণনীতি বিশেষজ্ঞ সান তজু তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’ বইতে বলেছেন—‘যদি তুমি তোমার শত্রু এবং নিজেকে জানো, তবে শতবার যুদ্ধেও ফল নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি তুমি নিজেকে জানো কিন্তু শত্রুকে নয়, তবে প্রতিটি যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি পরাজয়ের গ্লানিতেও তোমাকে ভুগতে হবে। যদি তুমি না শত্রু, না নিজেকে জানো তবে প্রতিটি যুদ্ধে তোমায় জখম হতে হবে।’
বিশদ

25th  June, 2020
নেপাল: কলকাত্তা কালীর শরণাপন্ন রাজনাথ
কুমারেশ চক্রবর্তী

ছোটবেলায় আমরা ‘ম্যাপ-ম্যাপ খেলা’ খেলতাম। দাদাদের বাতিল ম্যাপের ওপর লাল পেন্সিল দিয়ে একটা ক্রসহচিহ্ন এঁকে জায়গাটা দখল করতাম, শর্ত একটাই, জায়গাটার নাম বলতে হবে। এইভাবে আমরা কত নগর, রাজ্য, দেশের মালিক হয়েছি!  বিশদ

24th  June, 2020
অসুরকে শিবের অভয়বাণী, মা ছাড়া গতি নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে উদ্‌ভ্রান্তের মতো কৈলাসে হাজির মহিষাসুর। ‘মহাদেব ভবনে’ ঢোকার মুখেই বাধা পেলেন। নন্দী আর ভৃঙ্গী হাঁই হাঁই করে বললেন, ‘একদম ভিতরে ঢোকার চেষ্টা কোরুনি।   বিশদ

24th  June, 2020
সীমান্তের এপারে ‘আসল’ ভারত
শান্তনু দত্তগুপ্ত
 

মাত্র ২০ বছর বয়স চাঁদ মহম্মদের। দিল্লির সীলামপুরে একটি ঝুপড়িতে থাকে সে মায়ের সঙ্গে। ঠিকাদার সংস্থায় নাম লিখিয়ে একটি চাকরি সে পেয়েছে। খুব দরকার ছিল চাকরিটা। আট ঘণ্টার ডিউটি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। কাজ? কোভিড আক্রান্তদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া... হাসপাতালের মর্গ থেকে শ্মশানঘাট পর্যন্ত।  
বিশদ

23rd  June, 2020
জ্বর হলে জগন্নাথদেব মাস্ক
পরেন, মানেন দূরত্ববিধি
মৃন্ময় চন্দ

ইতিহাস ২৮৫ বছরের, এই প্রথমবার, একটা পুঁচকে ভাইরাস ঝামেলা পাকিয়েছিল জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। ফুলবাবু হয়ে, সেজেগুজে, গায়ে একরাশ সুগন্ধি ঢেলে, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে প্রতিবছর নিয়ম করে বোন সুভদ্রা আর দাদা বলভদ্রকে নিয়ে মাসির বাড়ি বেড়াতে যান তিনি। 
বিশদ

23rd  June, 2020
একনজরে
বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: ১৩৫ কোটির দেশে ডাক্তারিতে রয়েছে মাত্র ১৪টি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের আসন! চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো এই তথ্য জানা গেল মেডিক্যাল কাউন্সিল ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: রবিবার রাতে কল্যাণী-চাকদহ রাজ্য সড়কে আলাইপুরের কাছে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রায় ১৫টি গাড়িতে ডাকাতি করে দুষ্কৃতীরা। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে কয়েকজন জখম হয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: বিদেশি বিনিয়োগ তথা বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কয়লা শিল্পে তিনদিনের লাগাতার ধর্মঘট নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধংদেহী অবস্থান নিল আরএসএস নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক ...

ইসলামাবাদ: ভুয়ো লাইসেন্স রাখার অপরাধে আড়াইশো জনের বেশি পাকিস্তানি পাইলট ও বিমানকর্মীকে সাসপেন্ড করল একাধিক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম
১৯১৭-দাদাভাই নওরজির মৃত্যু।
১৯৫৯ - বিশিষ্ট বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ীর মৃত্যু
১৯৬৬- মাইক টাইসনের জন্ম।
১৯৬৯- রাজনীতিবিদ সুপ্রিয়া সুলের জন্ম।
১৯৮৫- মার্কিন সাঁতারু মাইকেল ফেলপসের জন্ম।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮১ টাকা ৭৬.৫৩ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯০ টাকা ৯৫.২০ টাকা
ইউরো ৮৩.৫৩ টাকা ৮৬.৫৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৫৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,২৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৭৯০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৮৯০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী ৩৭/৭ রাত্রি ৭/৫০। চিত্রা ১/৩৯ প্রাতঃ ৫/৩৯ পরে স্বাতী ৫৭/৪২ রাত্রি ৪/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৯/৯, সূর্যাস্ত ৬/২১/১০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১২/৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ১/২০ গতে ৩/০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৯/০ মধ্যে।
১৫ আষাঢ় ১৪২৭, ৩০ জুন ২০২০, মঙ্গলবার, দশমী রাত্রি ৭/১৩। চিত্রা নক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৪১ পরে স্বাতী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫। সূযোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪২ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১২/৯ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ১২/৩ গতে ২/১১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১/২২ গতে ৩/২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪৩ গতে ৯/২ মধ্যে।
৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮১৭: ব্রিটিশ উদ্ভিদ্বিজ্ঞানী এবং অভিযাত্রী জোসেফ ডালটন হুকারের জন্ম১৯১৭-দাদাভাই নওরজির ...বিশদ

07:03:20 PM

দিল্লিতে করোনা পজিটিভ আরও ২,১৯৯ জন, মোট আক্রান্ত ৮৭,৩৬০ 

10:41:52 PM

আগামী ৩ মাসের জন্য স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র 

10:08:59 PM

কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে 
কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে সাড়ে চার টাকা। আগামীকাল থেকে ...বিশদ

09:56:15 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৪,৮৭৮ জন, মোট আক্রান্ত ১,৭৪,৭৬১ 

08:38:03 PM