Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শাহিনবাগে যেসব কথা জানানো হয়নি

‘যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ’, যেখানে মহিলারা পূজিতা হন সেখানেই ভগবান অবস্থান করেন। ভারতবর্ষের মানুষ হাজার বছর ধরে এই শ্লোক আবৃত্তি করে এসেছে। গত একমাসের বেশি সময় ধরে দিল্লির শাহিনবাগে শিশু থেকে বৃদ্ধা বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে। শীতের রাতগুলিতে তাঁরা উন্মুক্ত স্থানে থেকেছেন, যাঁরা ছিলেন তাঁদের অধিকাংশই সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের। এর মধ্যে যাঁরা প্রবীণা অর্থাৎ ‘দাদি’ তাঁদের কয়েকজনকে জেএনইউতে এনে অনুভব কথনের ব্যবস্থাও করেছিলেন আয়োজকরা।
এতবড় মাতৃশক্তিকে এতদিন ধরে কষ্ট দেওয়ার যে চক্রান্ত, তার মূলচক্রীকে গত ২৮ জানুয়ারি দিল্লি পুলিস বিহারের জহানাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। জেএনইউ-এর এই গবেষক ছাত্রের নাম শরজিল ইমাম। শরজিল ইমাম শাহিনবাগের আগেও ধর্মীয় মেরুকরণের অনেক গবেষণা করেছেন বলে দিল্লি পুলিসের অভিযোগ। অসম, মণিপুরসহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আজাদির নামে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যে গবেষক দল দিল্লিতে বসে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, শরজিল তাঁদের মধ্যে একজন। এঁরা দেশকে টুকরো টুকরো করতে চান। তাই দাদি কিংবা পোতি কাউকেই এঁরা সত্য কথাটা বলেননি।
সত্যি কথা হল, একটি সার্বভৌম দেশে যেভাবে কোনও আইন প্রণয়ন হওয়ার কথা, তার সবকটি ধাপ ঠিকঠাকভাবে মেনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে তৈরি করা বিলটি প্রথমে লোকসভা এবং পরে রাজ্যসভাতে অনুমোদিত হয়েছে। দ্বিতীয় সত্য হল, এই আইনে মুসলমান সম্প্রদায়ের কোনও মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। কেবলমাত্র কিছু হতভাগ্য মানুষকে বিশেষভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা এতদিন ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাঁদের সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেওয়া হবে সিএএ-র মাধ্যমে।
দিল্লিতে আজ যাঁরা সত্যি সত্যি ‘দাদিমা’, মানে যাঁদের বয়স আটের কোঠায়, তাঁরা জানেন কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রয়োজন। দাদিরা তাঁদের শৈশবে ওই উদ্বাস্তু মানুষদের কষ্ট দেখেছেন। স্বাধীনতার ঠিক পরে-পরেই দিল্লি ভরে গিয়েছিল ছিন্নমূল, স্বজন হারানো মানুষে। কেউ রাওয়ালপিণ্ডি থেকে নিজের ষোলো বছরের মেয়েকে ছেড়ে এসেছেন, তো কারও শরীরে লাহোরের নৃশংস নারী নির্যাতনের দগদগে ঘা। সেই ভাগ্যহত মানুষগুলি আশ্রয় নিয়েছিলেন সেকালের কিংসওয়ে থেকে তেগবাহাদুর নগর সর্বত্র। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত নেহরু ওই উদ্বাস্তু শিবিরগুলিতে খাবার সরবরাহ করার আদেশ দিয়েছিলেন ওই অঞ্চলের কয়েকটি রেস্তরাঁ আর ধাবাকে। এত শত মানুষের খাবার, তার হিসাব রাখা—এ এক আপাত অসাধ্য কাজ ছিল। পণ্ডিতজি কলকাতার স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের কর্ণধার অধ্যাপক প্রশান্ত মহলানবিশকে অনুরোধ করেছিলেন সাহায্য করতে। সেদিন কলকাতা থেকে গিয়েছিলেন দুই তরুণ গবেষক জেএম সেনগুপ্ত আর ডিবি লাহিড়ি। তাঁরা গড়প্রতি লবণ গ্রহণের হিসাব করে আশ্চর্যভাবে সমস্যার সমাধান করেছিলেন। সেই বিষয় নিয়েই একটা গোটা প্রবন্ধ লেখা যায়।
কিন্তু সেদিনের দিল্লির শিশুরাও দেখেছে ছিন্নমূল মানুষের দুঃখ। তাঁরা কেউ অর্থনৈতিক কারণে পাঞ্জাব থেকে দিল্লি আসেননি, এসেছিলেন ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে। অত্যাচারের সবচেয়ে সহজ শিকার হয় মেয়েরা। মেয়েদের দুঃখের কথা, মেয়েদের থেকে বেশি কে বুঝবেন? তাই দিল্লির দাদিরা পারেন তাঁদের শৈশবের অভিজ্ঞতার কথা বলে এই মেরুকরণের অসাধু চক্রান্তকে রুখে দিতে।
দিল্লির দাদিমায়েরা তাঁদের পাঞ্জাব থেকে আসা উদ্বাস্তু প্রতিবেশিনীদের কথা জানেন। হয়তো উদ্বাস্তু শিখ বা হিন্দু গৃহবধূর সকালে এক বাটি ডাল ধার নিয়ে পরের দিন বা সেদিনই সন্ধ্যায় ফেরত দেওয়ার কথা বলে হাসিঠাট্টাও করেন। কিন্তু একজন মহিলা হিসাবে ওই হিন্দু বা শিখ উদ্বাস্তু মহিলার দুঃখও তাঁরা হৃদয় দিয়ে বুঝতেন। তাই দাদি যদি জানতেন যে এমনই হতভাগিনী হিন্দু উদ্বাস্তুরা যাতে দেশের নাগরিকত্ব না পায় তার জন্যই ওই শরজিল আর তার সহযোগীরা ষড়যন্ত্র করছে, তবে নির্ঘাত ওদের জুতোপেটা করতেন!
দিল্লির দাদিমায়েরা হয়তো পূর্ববঙ্গ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান উদ্বাস্তুদের কষ্ট ঠিকঠাক জানেন না। তাঁর একটা কারণ অবশ্যই তথাকথিত লেফট লিবারাল সংবাদ মাধ্যমের বদান্যতা। তাঁরা গাজাভূখণ্ডে ইজরায়েলের অত্যাচারের সচিত্র বর্ণনা প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছেন, তাতে সংবাদপত্রের নৈতিকতায় বাধেনি, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে বা পশ্চিম পাকিস্তানে আমাদেরই ভাইয়েদের হত্যা করলে বা বোনেদের সঙ্গে পাশবিক আচরণ করলেও তার প্রতিবাদ হয়নি। এই উপমহাদেশে নারীজাতির উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার হয়েছে বিগত সাত দশকে, সেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের করুণকাহিনী গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রায় কখনওই উঠে আসেনি। সংবাদ মাধ্যমের একাংশের এই অদ্ভুত অথচ নিষ্ঠুর আচরণের জন্যই আজ কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
দিল্লির সেসব ঘটনার কথা দাদিরা জানেন, মানেন ছিন্নমূল শিখ আর হিন্দুদের যন্ত্রণা, তা সবই ১৯৫০ সালের আগের ঘটনা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বুঝতে হলে এর পরে পূর্ব পাকিস্তানে বা পাকিস্তানে কী নির্মম ঘটনা ঘটেছে তা বোঝা প্রয়োজন।
১৯৫১ সালে পাকিস্তানের আদমশুমারি হিসাবে ১৪.২০ শতাংশ অমুসলমান জনসংখ্যা ছিল। তার মধ্যে ৩.৪৪ শতাংশ ছিল আজকের পাকিস্তানে আর ২৩.২ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে মানে আজকের বাংলাদেশে। আজ পাকিস্তানে হিন্দুর সংখ্যা প্রায় অবলুপ্তির পথে। সরকারি হিসাবে ২০১১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা ৮.৫ শতাংশ। এই অস্বাভাবিক জনসংখ্যা হ্রাসের মূলে আছে অমুসলমান মহিলাদের উপর অমানবিক অত্যাচার। সেই অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ওই মহিলারা, তাঁদের বাবারা, ভাইয়েরা, সন্তান-সন্ততি ভারতে আশ্রয় নিতে এসেছেন। ভারত স্থান না দিলে তাঁদের মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। কারণ পাকিস্তান বা বাংলাদেশে তাঁরা মানুষের জীবনযাপন করতে পারবেন না। সেই মানবিক সাহায্যটুকু দেওয়ার জন্যই সিএএ-এর ব্যবস্থা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ৩ লক্ষ হিন্দু মহিলা ধর্ষিতা হয়েছিলেন। জামাত-ই-ইসলামি, মুসলিম লিগ, নিজাম-ই-ইসলাম একত্রিতভাবে পাকিস্তানের খান সেনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অত্যাচার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাজাকাররা হিন্দু মহিলাদের ‘জনগণের সম্পত্তি’ হিসাবে ঘোষণা করে। গত কয়েক বছর আগে অলস্টন মার্গারেটের বই ‘ওম্যান অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ’ প্রকাশিত হয়েছে। লেখিকা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় কী ভীষণ অত্যাচারিত হয়েছিলেন মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা। ‘ব্লাড টেলিগ্রাফ’ মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক ভয়ঙ্কর দলিল। আর্চার কে ব্লাড ছিলেন এক মার্কিন কূটনীতিক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ওই ভয়ানক দিনগুলোতে পূর্ব পাকিস্তানে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ ব্লাড টেলিগ্রামে লিখেছিলেন ‘পাক সেনাদের সাহায্যে অবাঙালি মুসলমানেরা পরিকল্পিতভাবে দরিদ্র বাঙালি এবং হিন্দুদের আক্রমণ করেছে আর হত্যা করেছে।’ তাই অত্যাচারিত হিন্দু এদেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেই হতভাগ্যদের বঞ্চিত করতে চাইছেন শরজিল ইমামরা।
মুক্তিযুদ্ধের শেষে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হল। ওদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনার বীর জওয়ানদের রক্তও মিশে গেল। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ স্বাক্ষরিত হল ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি। যদিও যে ৩ কোটি মানুষ অত্যাচারিত হয়ে ভারতে এসেছিলেন তার খুব কম অংশই বাংলাদেশে ফিরে গেলেন। কারণ বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পরেও হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ হল না। বাংলাদেশের জন্মলগ্নে সেখানের জনসংখ্যার ১৩.৫ শতাংশ ছিল হিন্দু। আজ সেই সংখ্যা সরকারিভাবে ৮.৫ শতাংশ।
১৯৭০-৭১ সালে যাঁরা পূর্ববাংলা থেকে এসেছেন বা বাংলাদেশ হওয়ার পরে যাঁরা ভারতে অত্যাচারিত হয়ে এসেছেন তাঁদের বেশিরভাগই হিন্দু তফসিলি জাতিভুক্ত মানুষ। বিগত কয়েক দশকে সবথেকে বেশি শোষিত হয়েছেন বাংলাদশের তফসিলি জাতিভুক্ত মহিলারা। মহিলাদের সম্মান বাঁচাতে প্রান্তিক গরিব মানুষও এদেশে চলে এসেছেন। আবার অনেক সম্পন্ন পরিবারও সব ছেড়ে এক বস্ত্রে ভারতে চলে এসেছেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া হামিদা পাইলট হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল ১৪ বছরের পূর্ণিমা শীল। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর তাদের বাড়িতে প্রায় ৩০ জনের একটি দল আক্রমণ করে। বাড়ির লোককে মেরে আধমরা করে গণধর্ষণ করা হয়েছিল পূর্ণিমাকে। পূর্ণিমাকে ১১ জন মিলে সেই রাত্রে ধর্ষণ করেছিল বলে পুলিস পরে জানিয়েছিল। পূর্ণিমার অসহায় মা ধর্ষণকারীদের পায়ে ধরে বলেছিলেন, তারা যেন এক এক করে অত্যাচার করে। কারণ তার মেয়েটা বড়ই ছোট। এরকম শত শত পূর্ণিমা শীলের পরিবার যাতে ভারতে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারে তার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই কথাগুলি যদি শাহিনবাগের মায়েদের বলা হতো তা হলেও কি তাঁরা সিএএ-এর বিরোধিতা করতেন? পূর্ণিমা হিন্দু হলেও সেও তো একটা মানুষ, একটি মেয়ে!
এই শাহিনবাগের মহিলাদের সামনে আসল সত্যটা তুলে ধরার দায়িত্ব যাঁদের ছিল তাঁরা উত্তেজনার আগুনে নিজের নিজের স্বার্থের রুটি সেঁকেছেন। দিল্লি রাজ্য সরকার বোঝাতে পারতেন যে এই আইনে একজন দিল্লিবাসী মুসলমানেরও কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের, পাকিস্তান থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসা হতভাগ্য মানুষদের কেন নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত সেই কথা সহজে বোঝাতে পারত। মানবতার বিন্দুমাত্র পরোয়া না করে একশ্রেণীর প্রচারমাধ্যম আগুনে ঘি ঢালার কাজ করল। শরজিল ইমামের মতো লেখাপড়া জানা মানুষ বাংলাদেশের বা পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের প্রাণান্তকর অবস্থা নিয়ে সমাজকে সচেতন করতে পারতেন। ওই হতভাগিনীদের পরিবার যদি ভারতে স্থান না পায় তবে ওই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, শিখ পরিবারগুলির কী নিদারুণ অবস্থা হবে তা বোঝাতে পারতেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাংলা আর পাঞ্জাবের। সেই দুটি প্রদেশের অর্ধেক মানুষ স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও স্বাধীনতাকে উপভোগই করতে পারলেন না। মুক্তির মন্দির সোপানতলে প্রাণ দেওয়া সেই মানুষদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে বা পাকিস্তানে আজ কেমন আছেন? ধর্ষিতা হয়ে, লুণ্ঠিত হয়ে, ভয়ে সন্ত্রাসেই কি তাঁদের জীবন কাটবে? নাকি নিতান্ত মানবিক কারণেই তাঁরা ভারতের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন? এই কথা তো বলতেই পারতেন তথাকথিত বিদ্বজ্জনেরা।
পরিচিত এক সাংবাদিক দিদি প্রথম দিন থেকেই শাহিনবাগ কভার করছেন। উপরের কথাগুলো বলে তিনি পুরনো হিন্দ গানের একটি পরিচিত কলি বললেন, ‘চিঙ্গারি কোই ভড়কে/ তো সাওন উসে বুঝায়ে, সাওন জো আগুন লাগায়ে/ উসে কৌন বুঝায়ে?’
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত। (মতামত ব্যক্তিগত)
15th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
এবার হ্যাটট্রিকের দোরগোড়ায় অগ্নিকন্যা
হিমাংশু সিংহ

তবে কি দিল্লিতে হেরে বোধোদয় হল অমিত শাহদের? নাকি ভোট জেতার নামে ঘৃণা ছড়ানো ঠিক হয়নি বলাটা আরও বড় কোনও নাটকের মহড়ারই অংশ? বোঝা কঠিন, তুখোড় রাজনীতিকরা কোন উদ্দেশ্যে কখন কোন খেলাটা খেলেন! আর সেই তালে অসহায় জনগণকে তুর্কি নাচন নাচানো চলে অবলীলায়। 
বিশদ

16th  February, 2020
মাফলার ম্যানের দিল্লি জয়
মৃণালকান্তি দাস 

ঠেকে শিখেছেন তিনি। ‌‌‌‌পদস্থ আমলা থেকে রাজনীতিক এবং প্রশাসক হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বুঝেছেন, এ দেশের আমআদমি বাড়ির কাছে ভালো স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল চান। বাড়ির মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েই তাঁদের উদ্বেগ। 
বিশদ

14th  February, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছোট ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে অনেকটাই এগিয়ে। সেক্ষেত্রে ছোট শিল্পকে আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকার যদি সামরিক বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন সংক্রান্ত একটি নীতি আনে, তাহলে রাজ্য উপকৃত হবে। ...

সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ থেকে শীঘ্রই হলুদ জ্বরের টিকা দেওয়া হবে। একদিকে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকা অন্যদিকে পাবলিক হেল্থ নার্সরা সময় মতো টিকাকরণ কেন্দ্রে আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।  ...

সংবাদদাতা, ঘাটাল: দাসপুর থানার ভগবতীপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক যুবককে খুন করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সঞ্জয় বর(২৫)।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ নিয়ে বিশেষ অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মঙ্গলবার থেকেই বরোভিত্তিক ক্যাম্প করে শহরের গরিব, দুঃস্থ, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৮ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জন্মদিন
১৯৫২ - ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ঢাকায় প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। কয়েক দিন পরেই এটি পুলিস ধ্বংস করে দেয়।
১৯৫৫ – অ্যাপল সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের জন্ম
১৯৫৯ কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভির জন্মদিন
১৯৬৩ চিত্র পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনসালির জন্মদিন
১৯৭২ অভিনেত্রী পূজা ভাটের জন্মদিন
১৯৮২ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ইমানুয়েল ভিলার জন্ম
১৯৮৩ দাবারু সূর্যশেখর গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন
১৯৯৩ - ইংরেজ ফুটবলার ববি মুরের মৃত্যু
১৯৯৮ অভিনেত্রী ললিতা পাওয়ারের মৃত্যুদিন
২০১১ কমিক্স বইয়ের জনক অনন্ত পাইয়ের মৃত্যুদিন
২০১৮-দুবাইয়ের হোটেলে মৃত্যু অভিনেত্রী শ্রীদেবীর



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৯৪ টাকা ৭২.৬৫ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৮ টাকা ৯৪.৩০ টাকা
ইউরো ৭৬.০৫ টাকা ৭৯.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
21st  February, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  February, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) প্রতিপদ ৪২/৫২ রাত্রি ১১/১৫। শতভিষা ২৫/৩৫ অপঃ ৪/২১। সূ উ ৬/৬/৩৯, অ ৫/৩৩/৩৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ১০/৪২ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪২ গতে ৪/৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫০ মধ্যে। 
১১ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার, প্রতিপদ ৩৯/১১/১ রাত্রি ৯/৫০/৮। শতভিষা ২৩/১০/৫০ দিবা ৩/২৬/৪। সূ উ ৬/৯/৪৪, অ ৫/৩২/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ১০/৩৫ গতে ১২/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ১১/২১ গতে ২/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৫/৫ গতে ৯/০/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬/২৯ গতে ১১/৫১/৮ মধ্যে। 
 ২৯ জমাদিয়স সানি

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। বৃষ: বাড়তি বিনিয়োগ না করাই ভালো। মিথুন: কর্মসূত্রে দূরযাত্রার সুযোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪৮ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার জন্মদিন১৯৫২ - ভাষা আন্দোলনের স্মরণে ...বিশদ

07:03:20 PM

তাজমহলে পৌঁছলেন সস্ত্রীক ডোনাল্ড ট্রাম্প 

05:10:56 PM

সিএএ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে রণক্ষেত্র দিল্লির জাফরাবাদ, গোলাগুলিতে নিহত এক পুলিস কর্মী 

04:43:21 PM

আগ্রার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 

04:29:00 PM

আমেদাবাদ থেকে আগ্রার উদ্দেশে রওনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

03:32:00 PM