ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাচ্ছন্দ্যের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখছে না দিল্লির এই বিলাসবহুল হোটেলটি। থাকছে এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম। শ্বাস নেওয়ার সময় অতিথি যাতে ফুরফুরে ‘পাহাড়ি বাতাসে’র অনুভূতি পান, তার জন্য। আইটিসি মৌর্যের ওয়াবসাইট থেকে এমন তথ্যই মিলছে। ট্রাম্প থাকবেন দুই বেডরুম বিশিষ্ট বিশাল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে। যা ‘চাণক্য’ নামে পরিচিত। এর আগে জিমি কার্টার, বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লু বুশের মতো প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও এই বিলাসবহুল স্যুইটে কাটিয়েছেন। কী নেই সেখানে! প্রাইভেট ড্রয়িংরুম, টেরেস, জিম, ডাইনিং এরিয়া, হাই স্পিড এলিভেটর সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা। আর হ্যাঁ, ট্রাম্পের সহায়তার জন্য থাকছেন একজন প্রেসিডেন্সিয়াল ফ্লোর বাটলারও। ‘চাণক্য’ স্যুইটের দেওয়াল সুসজ্জিত রেশমের প্যানেলে। রয়েছে ঘন উড ফ্লোরিং ও অসাধারণ সব শিল্পকর্ম। হোটেলের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এখানে রয়েছে রিসেপশন এরিয়া, একটি বিশাল লিভিং ও স্টাডিরুম। ১২ আসন বিশিষ্ট প্রাইভেট ডাইনিং রুমের থিম হল ময়ূর। রয়েছে ইম্পিরিয়াল ডেকর, মিনি স্পা ও জিম। সঙ্গে থাকছে ৫৫ ইঞ্চির হাই ডেফিফিনিশন টিভি, আইপিওডি ডকিং স্টেশন, সামিট লাউঞ্জ ও বোর্ডরুম। ব্যক্তিগতভাবে যাতে রাষ্ট্র পরিচালনার সব কাজ করতে পারেন, তার পূর্ণ সুবিধাও রয়েছে এখানে। এসবের পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের খাবার পরীক্ষার জন্য থাকছে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরি।
সূত্রের খবর, হোটেল মৌর্যের যে ফ্লোরে ‘চাণক্য’ স্যুইটটি অবস্থিত, সেটি গত দু’সপ্তাহ ধরে ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ট্রাম্প থাকাকালীন হোটেলে আর কোনও কোনও অতিথি থাকার সুযোগ পাবেন না। কারণ ট্রাম্পের এই সফর উপলক্ষে হোটেলের সব ঘরই বুক করে নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালে ভারত সফরে এসে এই ‘চাণক্য’ স্যুইটেই কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। হোটেলের রুফটপে অবস্থিত ইউরোপীয় রেস্তরাঁ ওয়েস্ট ভিউয়ের তৈরি খাবার খেয়েছিলেন তিনি। ২৬ জানুয়ারি ভারত ও আমেরিকার প্রথম সারির সিইওদের জন্য গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্সিয়াল ফ্লোরে ডিনারের আয়োজনও করেছিলেন ওবামা।