ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এদিন বাগানের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা দমকলকে খবর দেন। এরপর সকাল ১১টা নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে দু’টি এবং নকশালবাড়ি থেকে একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পানিঘাটা চা বাগানের সেকশন ১এ নম্বরের ৫৮ একর এবং সেকশন ১বি নম্বরের ৬০ একরের চা গাছ পুড়ে গিয়েছে। মিরিক মহকুমা শাসক অশ্বিনী রায় এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বনদপ্তরের পানিঘাটা রেঞ্জের রেঞ্জার সুরেশ নার্জিনারি বলেন, এদিন আমরা পুলিসের কাছ থেকে খবর পাই। তারা বলে সম্ভবত বাগানে বন্যপ্রাণী থাকতে পারে। যদিও আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি। সেখানে কোনও বন্যপ্রাণী হতাহতের খবর নেই। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমরা রাতে পুনরায় ওই এলাকায় টহলদারি চালাব। মিরিকের মহকুমা শাসক বলেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে আমরা আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য প্রশাসনিক ভাবে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।
অন্যদিকে, এদিনই শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গঙ্গারাম চা বাগানে আগুন লাগে। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্থানীয়রা প্রথমে বাগানের ৪৬ নম্বর সেকশনে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। চা বাগান কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর ৪৬নং ব্যাটেলিয়ন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর দমকল আগুন নেভাতে ছুটে আসে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মূহুর্তের মধ্যে বাগানের গোটা সেকশনকে গ্রাস করে। এরপর জাওয়ান ও স্থানীয়দের তৎপরতায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা জানা যায়নি।
বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার সুরেশ সিং বলেন, বাগানের পিছন দিকে অনেক জঙ্গল রয়েছে। এমনকী পাশেই একটি পিকনিক স্পট আছে। হয়ত সেখানে কেউ ধূমপান করে ফেলে দিয়েছে। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১৪ হেক্টর চা বাগান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার গোটা এলাকা দেখে তার পরেই বলা যাবে।