ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
রবিবার পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ডাই-ইন হারনেসে বা মৃত কর্মীর পোষ্য হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন শুভঙ্কর। দেড়বছর আগে আমার কাছেও এসেছিলেন। একবছর আগে ইন্টারভিউ দেন। তা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র না মেলায় বাধ্য হয়ে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি শোনেন। এতদিনে সেই জট কেটেছে। তাঁর নিয়োগের অনুমোদন মিলেছে। এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
শুভঙ্কর বলেন, ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে যে সমস্যা সমাধান হয়, এটা তারই প্রমাণ। প্রায় চারবছর আগে প্রয়াত হন শুভঙ্করের বাবা সুধাংশু সরকার। তখন তিনি পর্যটনদপ্তরের অধীনে থাকা পর্যটন উন্নয়ন নিয়মের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজে কর্মরত ছিলেন। নিয়ম অনুসারে সেই চাকরির দাবিদার শুভঙ্কর। তিনি সেই দাবি আদায় করতে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন দপ্তরের দরজায় চক্কর কাটছিলেন। এমনকী, বিধবা মা’কে নিয়ে পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। মৃতের পোষ্যের চাকরি প্রার্থী হিসেবে ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছিলেন। এতকিছুর পরও ন্যায্য চাকরি না মেলায় পাঁচমাস আগে তিনি ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিতভাবে সমস্ত বিষয় জানান।
এদিন শুভঙ্কর বলেন, জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের সিনিয়র অ্যাটেন্ডেন্ট পদে বাবা কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে ১৪ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা ও বোন অনুমতি দেওয়ায় সেই চাকরির জন্য তদ্বির শুরু করি। ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ইন্টারভিউ দিয়েও চাকরি হয়নি। এই অবস্থায় গত আগস্ট মাসে ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করি। প্রথমে এক ব্যক্তি সমস্ত ঘটনা শোনেন। তারপর তিনিই আরএক ব্যক্তিকে দেন। তিনিও সবটা শোনেন। এর তিনমাস পর পর্যটন দপ্তর থেকে ফোন করে সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের পরামর্শ মতো আমিও ই-মেলের মাধ্যমে নথি পাঠাই। এই অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় নিয়োগপত্র, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা, মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী বাড়িতে আসেন। এভাবে নিয়োগপত্র পাব তা অকল্পনীয়।
চম্পাসারিতে বিধবা মা, স্ত্রী ও একবছরের মেয়েকে নিয়ে থাকেন শুভঙ্কর। সংসার চালাতে তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর কোনওরকমে সংসার চালাচ্ছিলাম। মেয়ের দেখভালের পিছনে বেতনের অধিকাংশ টাকা ব্যয় হতো। ফলে মা ও স্ত্রীর উপর সেভাবে নজর দিতে পারতাম না। তাই প্রাপ্য চাকরি আদায়ের জন্য আইনের পথে হাঁটার কথা ভাবলেও অর্থের অভাবে সেপথ মারাইনি। শুধু ভগবানকে ডেকেছি। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অ্যাটেন্ডেন্ট পদের নিয়োগপত্র পেলাম। শীঘ্রই কলকাতায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট পদের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশিক্ষণে যোগ দেব।
শুভঙ্করের মা চায়নাদেবী বলেন, ছেলের চাকরির আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতে ছেলে অধিকার পেল। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় আমরা খুশি।