ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান গৌতম ধর বলেন, আমরা দ্রুত হলুদ জ্বরের টিকা এরমধ্যেই চালু করব। তবে আমাদের এখানে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। গোটা প্রক্রিয়াটি কী করে হবে সেটি নিয়েই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নার্সরা নিয়মিতই আসেন। তবে কারও বিরুদ্ধে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ এলে আমরা খতিয়ে দেখব।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, হলুদ জ্বরের টিকা এরমধ্যেই শুরু হবে। মেডিসিন বিভাগে কর্মীর অভাব থাকলেও ওপর মহলের নির্দেশে আমরা কাজ শুরু করতে বাধ্য।
কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পর উত্তরবঙ্গে প্রথম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হলুদ জ্বরের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মেডিক্যাল কাছে। তাই স্বাস্থ্যদপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার থেকে যাঁরা বাগডোগরা বিমানবন্দর হয়ে অন্য দেশে যাবেন তাঁদের মেডিক্যাল থেকে বিনামূল্যে হলুদ জ্বরের টিকা দেওয়া হবে। এরমধ্যেই পর্যাপ্ত টিকা এসে পৌঁছলে তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হবে।
মেডিসিন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলুদ জ্বর টিকা খুব জরুরি। সেজন্যই উত্তরবঙ্গে এরমধ্যেই এটা শুরু হচ্ছে। টিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে হাতে রেখেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ তা চালু করবে। যারা বাইরের দেশে ভ্রমণ, ব্যবসায়ীক কাজে কিংবা তীর্থ করতে যাবেন তাঁদের হলুদ জ্বরের টিকা দিয়ে শংসাপত্র দেওয়া।
মেডিসিন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত টিকাকরণ কেন্দ্র খোলা থাকে। রবিবার ও ছুটির দিন বাদ দিয়ে সপ্তাহে বাকি ছ’দিনই শিশুদের টিকাকরণ হয়। সপ্তাহে ১০০ জন টিকা নিতে পারে। কোনও দিন ১৫ আবার কোনও দিন ৪০ জনও টিকা নেয়। এছাড়াও সবরকমের টিকা এখানে দেওয়া হয়। এখানেই হলুদ জ্বরের টিকা দেওয়া হবে।
সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য একটি ভাইরাল রোগ। জ্বর, সর্দি, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, পেশির ব্যথা বিশেষত পিঠে এবং মাথা ব্যথা হল হলুদ জ্বরের লক্ষণ। এই জ্বরের ফলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে, শরীরের ত্বক হলুদ হয়। এমনকি এই জ্বরকে গুরুত্ব না দিলে ভবিষ্যতে কিডনিজনিত সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সাধারণত বিমানপথে বাইরের দেশে ভ্রমণ করতে হলে কলেরা, টাইফয়েডের টিকা নিতে হয়। সেভাবে হলুদ জ্বরের টিকা নেওয়াও প্রয়োজন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, মরক্কো সহ বেশকয়েকটি দেশে হলুদ জ্বরের সংক্রমণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা যাতে হলুদ জ্বর সংক্রমণ নিয়ে না আসতে পারে কিংবা সেখানে গিয়ে সংক্রমিত না হন সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।