ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সদানন্দ সাউ(৩৩)। বাড়ি ১৩৪ নম্বর শ্রীপল্লি, ডিপি নগর, বেলঘরিয়া, কলকাতা-৫৬। তিনি পেশায় ব্যাগ বিক্রেতা ছিলেন। রবিবার ভোরে তারাপীঠ থানার সামনে একটি পাঁচতলা লজের তিনতলার ৩০৩ নম্বর রুমের ব্যালকনি থেকে তাঁর অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস।
জানা গিয়েছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ একই এলাকার সমর সাহা, বিপ্লব মণ্ডল, অরূপ সাহা, শঙ্কর মণ্ডল ও সদানন্দ সাউ তারাপীঠের ওই লজে একটি রুম ভাড়া নেন। তাঁদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন সদানন্দ। বাকিদের কেউ ৫৫-র ঊর্ধ্বে, কারও আবার বয়স ৪৭। এদিন লজে গিয়ে দেখা যায়, রুমের পিছনের ব্যালকনির গ্রিলের সঙ্গে সদানন্দর গলায় লাল রঙের লাইনলের দড়ি পেঁচানো। মৃতদেহটি হাঁটু মুড়ে থাকা অবস্থায় রয়েছে। জিভ বেরিয়ে পড়েছে। পুলিস খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধারের পাশাপাশি বাকি চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
লজের রেজিস্টার ঘেঁটে জানা গিয়েছে, পাঁচজনের নাম দিয়ে খাতায় এন্ট্রি করেছেন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত সমর সাহা। তিনি বলেন, তারাপীঠ ঘুরে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হোটেলে এসে পাঁচজনই ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি সদানন্দ বিছানায় নেই। পরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে রুমের ব্যালকনির দরজা খুলতেই দেখি এই অবস্থা। এর বেশি কিছু জানি না।
হোটেল ম্যানেজার বাপ্পা প্রামাণিক বলেন, একটি রুমেই পাঁচজন ছিলেন। ভোরে ওঁদের একজন আমার রুমে এসে মৃত্যুর খবর দেন। সেইমতো পুলিসে খবর দেওয়া হয়। তবে, রাতে ওঁদের মধ্যে কোনও অশান্তির আওয়াজ পাইনি। ফলে, কী করে এই মৃত্যু তা বলতে পারব না। পুলিস তদন্ত করে দেখুক।
এদিকে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে বাইরে থেকে মদ খেয়ে তাঁরা রুমে ফিরে ফের মদের আসর বসান। সেই আসরে তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়েছে কি না তা আটকদের জিজ্ঞাসা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
রামপুরহাটের এসডিপিও বলেন, মৃতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবারের কেউ আসেননি। পরিবারের সদস্যরা আসার পর মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে।