ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, গত বছরের মার্চ মাসের প্রথম দিকে জলপথে শহরে আনা হয়েছিল চীনের হাল ফ্যাশনের অত্যাধুনিক এসি রেকটিকে। সেই সময়ই রেকটিকে পরিষেবায় নামানোর উপযোগী করে তুলতে ১৬-১৭ জন চীনা টেকনিশিয়ান এসেছিলেন। তার মধ্যে কয়েকজন পরে দেশে ফিরেও যান। বর্তমানে এই রেকটির জন্য শহরে কাজ করছেন চীনের ১০-১২ জন বিশেষজ্ঞ। রয়েছেন চার-পাঁচজন জাপানিও। মেট্রো রেলের এক কর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই রেকটির বেশ কিছু পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। শনি-রবিবার ধরেও ‘টেম্পারেচার রাইস টেস্ট’ হয়েছে। ঠিক ছিল রেকটির পরবর্তী ট্রায়াল করানো হবে আগামী ২ মার্চ থেকে। তার জন্য চীন থেকে বেশ কয়েকজনের আসার কথা ছিল। কিন্তু ওই দেশে করোনা ভাইরাসের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বাসিন্দার মৃত্যূ হয়েছে বলে খবর। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখান থেকে কেউ এ দেশে আসতে পারছেন না। আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী জুন মাসের আগে চীন থেকে নতুন করে কেউ আসতে পারবেন না। তার জেরেই চীনা রেকের ট্রায়াল রান পর্ব পিছিয়ে যেতে চলেছে। প্রসঙ্গত, চীনে করোনা ভাইরাসের জেরেই ওই দেশ থেকে এ দেশে আসার জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে না।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, চীন থেকে যে রেকটি এসেছে, তেমন রেক আগে পাতাল পথে পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়নি। রেলের পরিভাষায় এই ধরনের রেককে ‘প্রটোটাইপ রেক’ বলা হয়। সেই কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে রেকটিকে নানা ধরনের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বারবার ট্রায়াল রান চালানো হচ্ছে। যাবতীয় পরীক্ষায় রেকটি উতরে গেলে সেটিকে পরিষেবায় ব্যবহার করার জন্য ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (সিআরএস)-র কাছে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হবে। এই রেকটি পরিষেবায় নামলে চীন থেকে পরের রেকগুলি আসতে থাকবে। তাই প্রথম রেকটিকে পরিষেবায় নামাতে দেরি হলে, তার প্রভাব পড়বে বাকি রেকগুলি আনার ক্ষেত্রেও।
মেট্রোর এক কর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই চীনের রেকটির সাত ধরনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গত শনি-রবিবার রেকটিকে টানা ২০ ঘণ্টা চালিয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরীক্ষা করানো হয়েছে। এরপরও ‘ডোর টেস্ট’, ‘প্যাসেঞ্জার ইনফর্মেশন টেস্ট’ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বাকি। সেগুলিই মার্চ মাসের ২ তারিখ থেকে হওয়ার কথা ছিল।
চীনা রেকের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য
রেকটিতে একসঙ্গে ৩২০০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। তার মধ্যে বসার জায়গা রয়েছে ৪০৮টি।
রেকটিতে রয়েছে প্রতি কোচে ২৮ টনের এসি।
প্রতিটি কোচের ভিতরে তিনটি করে সিসিটিভি রয়েছে। তা দিয়ে ট্রেনের ভিতরের ছবি দেখতে পাবেন খোদ চালকও।
প্রতিটি কোচে থাকছে ছ’টি করে টকব্যাক ইউনিট।