Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। সেই ঘাঁটিতে পাহারারত সেনারা চেজ করতে এলেই কমান্ডারের গুলিতে উড়ে যাচ্ছে। একটা একটা করে প্রতিরোধ ভেঙে আরও এগিয়ে চলেছে কমান্ডার। তার গুলিতে পরপর ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে শত্রুসেনারা। ছিটকে পড়ছে তাদের রক্ত। তাই দেখে হা হা করে হেসে উঠছেন হবুরাজা। চিৎকার করে বলছেন,‘ শত্রু শিবিরে কী করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হয়, তা এই পৃথিবী আমার থেকে শিখবে। হা হা হা। ঢিঁচক্যাঁও।’
গবু কিছুক্ষণ পিছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে বললেন, ‘মান্যবর, শুনতে পাচ্ছেন?’
কোনও হুঁশ নেই হবুর। শত্রুঘাঁটিতে কমান্ডার ঢুকছে। সামনে শত্রুসেনা। মাউসের ক্লিকে তাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন হবু। তন্ময়তা কাটাতে আবার ডাকলেন গবু, ‘মান্যবর..’
ঘোর কেটে গেল হবুরাজার। পিছন ফিরে না তাকিয়েই বললেন, ‘কী হল?’ আর তখনই শত্রুপক্ষের এক সেনা গুলি করে কমান্ডারকে উড়িয়ে দিল। গেম সেখানেই শেষ। খেপে উঠলেন হবু। পিছন ঘুরে গবুকে বললেন, ‘তুমি একটা বেআক্কেলে ষাঁড়। আমার আ্যটেনশন নষ্ট করে খেলাটা শেষ করে দিলে। অন্য কেউ হলে তাকে ত্রিশূল দিয়ে খুঁচিয়ে মারার অর্ডার দিতাম। তুমি বলে তাই ছেড়ে দিলাম। এটা আরও একটা ওয়ার্নিং।’
গবু হাতজোড় করে কাঁচুমাচু মুখে বললেন, ‘যেমন হুকুম করবেন মান্যবর। তবে কিনা আমি একটা জরুরি দরকারে এসেছিলাম। আপনার কি সকালের দন্ত প্রক্ষালন কিংবা শরীর চর্চা হয়ে গিয়েছে?’
হবু বললেন,‘হ্যাঁ, শুধু কুজ্ঝটিকাসনটা বাকি রয়ে গিয়েছে। একটু পরেই মন্ডা দেশের রাজা আসবেন। তাঁর সঙ্গে প্রাতরাশ সারতে হবে। তাই ওটা পরে করব। তা তুমি বল, কী খবর নিয়ে এসেছো।’
গবু বললেন, ‘মহারাজ চারিদিকে বিদ্রোহ বাড়ছে। স্কুল কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা বিদ্রোহ করেছে। ওরা নাকি আপনার শাসন মানবে না।’
হবু বললেন, ‘আমি আগেই জানতাম। তোমার মতো অপদার্থ যে রাজ্যের মন্ত্রী, সেখানে আন্দোলন, গণ্ডগোল এসব তো লেগে থাকবেই। তুমি আসলে কোনও কম্মেরই নও। গোমুখ্যু কোথাকার।’ বলেই জিভ কাটলেন হবুরাজা।
গবু মুখটা কাঁচুমাচু করে বললেন, ‘মান্যবর, আপনি আমাকে যা ইচ্ছে বলে তিরস্কার করুন। কিন্তু গোমুখ্যু বলবেন না। তাতে গোমাতাকেই অসম্মান করা হয়। গোমাতা হলেন ভগবতী। ভগবতী হলেন জ্ঞানের পূর্ণ আধার। ভগবতীর জ্ঞান যেকোনও ত্যাঁদড় অধ্যাপকদের থেকে অনেক বেশি। অবলা না হলে যেকোনও অধ্যাপককে ডিবেটে বলে বলে হারাত।’
হবু বললেন, ‘ঠিকই বলেছো গবু। আমিই ভুল বলে ফেলেছিলাম। আচ্ছা, আমার রাজ্যে কোন পণ্ডিত যেন বলেছিল, গোরু নিশ্বাসের সময় অক্সিজেন ছাড়ে, আর সেই অক্সিজেন টেনে নিয়ে আমরা বেঁচে আছি?’
গবু বললেন, ‘হ্যাঁ মান্যবর, একজন বিজ্ঞানী বলেছিল। ও আমাদের লোক।
হবু বললেন, ‘দাও, ওকে ভালো করে পুরস্কার দিয়ে তুষ্ট করে দাও। আমার যে কী আনন্দ হচ্ছে! আমার রাজত্বে কত অভিনব আবিষ্কার হচ্ছে, একবার ভাবো তো!’
গবু বললেন, ‘আমাদের রাজ্যের বিজ্ঞান যে কোনও দেশের বিজ্ঞানকে হার মানিয়ে দেবে। আপনার মন্ত্রিসভাতেই গন্ডা গন্ডা বিজ্ঞানী আছে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, আমরাই প্রথম টেস্টটিউব বেবি করেছিলাম। সেইভাবেই দুর্যোধনদের জন্ম হয়েছিল। আমাদের দেশে কতদিন আগে প্ল্যাস্টিক সার্জারি আবিষ্কার হয়েছিল, একবার ভাবুন তো। গণেশ ছিলেন তার প্রথম রোগী।’
হবু বললেন, ‘নতুন ইতিহাস লেখো। ওসব কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দিয়ে হবে না। উচ্চ শিক্ষাকেন্দ্রগুলো আমি ভাবছি বন্ধ করে দেব। টোল খোল, গুরুকুল খোল। ফিরিয়ে আনো আশ্রমিক জ্ঞানের সেই যুগ। গোরুর দুধে আর গোবরে সোনা আছে, এটা কজন মুখ্যু জানে বলতো! নারদ মুনিই যে এখনকার গুগল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এখনও কেউ তা জানতেও পারল না। হায় রে শিক্ষা! ওসব ডারউইন, নিউটন, আইনস্টাইনদের লেখা পড়লে মানুষ মুখ্যু হবে। সেই মুর্খামি রাজার প্রতি, ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি করবে। ঔদ্ধত্য শিখবে। রাজাকে চ্যালেঞ্জ করতে শিখবে। ওরা সব দেশের শত্রু, মানুষের শত্রু, রাজারও শত্রু। ঢিঁচক্যাঁও। বুদ্ধিজীবী মানে দেশদ্রোহী, আধুনিকমনস্ক ছাত্র মানে সন্ত্রাসবাদী, প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ মানেই সমাজের শত্রু, প্রতিবাদকারী জনতা মানেই টুকরে টুকরে গ্যাং। কলঙ্ক লেপে দাও।’
গবু হাত কচলে বললেন, ‘ঠিক বলেছেন মান্যবর।’
হবু বললেন, ‘ওদের শিক্ষা দাও। সহবৎ শেখাও। বল ওদের, তোমরা যদি রুটি চাও, তবে আমাকে দেশভক্তি দাও। যদি তোমরা চাকরি চাও, তবে আমাকে আনুগত্য দাও। সামনেই সাধারণতন্ত্র দিবস আসছে, তার আগেই আমি চাই দেশে ভক্ততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে।’
হবু কথা থামিয়ে বললেন, ‘অমন হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’
গবু বলল, ‘মান্যবর, আপনার কথা শুনলে আমি সম্মোহিত হয়ে যাই। কী অসাধারণ কথা বলেন আপনি।’
হবু বললেন, ‘আমার একটা বড় প্ল্যান আছে।’
গবু বললেন, ‘কী প্ল্যান মহারাজ?’
হবু বললেন, ‘এই দেশে শুধু আমাদের লোকই থাকবে। মানে যারা ভক্ত। একটা তালিকা তৈরি করব। তালিকার নাম দেব ‘ভক্ততন্ত্র তালিকা’। সেই তালিকা নিয়ে রাজকর্মচারীরা প্রজাদের ঘরে ঘরে যাবে। তথ্য সংগ্রহের পর বাছাই হবে। যারা আমাদের লোক নয়, তাদের ভাগিয়ে দেব।’
হবু কিছুটা অবাক হয়ে বললেন, ‘সেটা মান্যবর কেমন হবে, ঠিক বুঝতে পারছি না।’
হবু ব্যঙ্গের সুরে বললেন, ‘তুমিই যদি সব বুঝবে, তাহলে তুমিই তো এই সিংহাসনে বসতে।’
গবু ফিসফিস করে বললেন, ‘একদিন তো বসবই, কে আটকাবে?’
হবু বললেন, ‘বিড়বিড় করে কী বলছ?’
গবু বললেন, ‘না মহারাজ কিছু না।’
হবু বললেন, ‘আমি ঠিক করেছি, এদেশে যারা আমাদের লোক নয়, তাদের ভাগাব।’
গবু বললেন, ‘কী করে মান্যবর, সবাইকে কি সমুদ্রে ফেলে দেবেন?’
হবু রেগে গিয়ে বললেন, ‘তোমার মাথায় কি গোবর পোরা?’
গবু বললেন, ‘মান্যবর, আপনি আবার গোমাতার প্রসাদ নিয়ে কথা বলছেন। গোমাতার গোবরে সোনা থাকে। সেই গোবর খেলে বুদ্ধি খোলে। আমাদের এক বিজ্ঞানী বলেছেন, ‘মাথায় গোবর পোরা মানেই নির্বোধ, এটা ভুল তত্ত্ব। কারও মাথায় গোবর থাকলে খুব বুদ্ধিমান হয়।’
হবু বললেন, ‘তাহলে মনে হয় আমার মাথায় সবথেকে বেশি গোবর পোরা। তাই আমার এত বুদ্ধি।’
গবু গদগদ হয়ে বললেন, ‘ঠিক বলেছেন মান্যবর। আপনার বুদ্ধি সবথেকে বেশি। নাহলে সবাইকে এভাবে ঘোল খাইয়ে, নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে পারেন?’
হবু বললেন, ‘তা সত্ত্বেও আমি কেন যে বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি! যেটুকু পড়েছি, খুব খারাপ নম্বর পেয়েছি।’
গবু বললেন, ‘মান্যবর, আপনার জ্ঞানকে ধরার মতো শিক্ষাব্যবস্থা এতদিন ছিল না।’
হবু গর্বভরে বললেন, ‘আমারও তাই মনে হয়।’
গবু বললেন, ‘কিন্তু মান্যবর, আপনার রাষ্ট্রজ্ঞান অসাধারণ। পুরাণ বা ইতিহাস ঘেঁটেও আমি তার কোনও তুলনা পাইনি।’
হবু বললেন, ‘আমি তাই ঠিক করেছি, কাল মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে দেশ থেকে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দেব। একবার ভেবে দেখেছো, কত আগ্রহী ছেলেমেয়ে পড়াশোনার করার সুযোগ পায় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাদের ঢোকার কোনও অধিকারই দেয়নি এই শিক্ষাব্যবস্থা। তাই সেই সব আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের রাতের অন্ধকারে মুখ ঢেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে হয়। তাদের হাতে লাঠি। আমার মনে হয় এরাই প্রকৃত বিপ্লবী। শিক্ষাঙ্গণে ঢুকে তাণ্ডব চালানোটা একটা বিপ্লব। গুরুকুল খুলে আমি ভক্তবৃন্দ বানাব। এই শিক্ষার পিছনে এত পরিমাণ অর্থ ব্যয় করব না। সেই অর্থে দেশে বড় বড় মন্দির বানাব। দেড় হাজার ফুট, দু’হাজার ফুট মূর্তি বসাব।’
গবু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কার মূর্তি মান্যবর?’
হবু বললেন, ‘যাকে রাজ্যের মানুষ এতকাল শত্রু বলেছে, তার। উনি আমাদের লোক। উনি একজন মনীষী, বড় দেশভক্ত। সেদিন ওই লোকটাকে গুলি করে মেরে ওই মনীষী মহৎ কাজ করেছিলেন। কলঙ্ক মুছে আজ আমরা সেই মনীষীর মূর্তি বানাব। ওনার নামে মন্দির বানাব। ওনাকে পুজো করব। যাকে চর বলে কলঙ্কিত করেছে, তাঁরও মূর্তি বসাব। আমরাও পাল্টা কলঙ্ক লেপে দেশভক্তদের দেশবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে দেব। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে সব তছনছ করে দেব। ঢিচক্যাঁও।’
গবু বললেন, ‘সেই সঙ্গে মান্যবর, আপনারও একটা বড় মূর্তি আর মন্দির বানিয়ে নিন।’
হবু বললেন, ‘অত অস্থির হয়ো না গবু। সব ধীরে ধীরে হবে। তুমি এখন যাও। আমি একদান শত্রুনিধন গেম খেলে, কুজ্ঝটিকাসন সারব। আর একটু পরে মন্ডা দেশের রাজা আসবেন।’
গবু প্রণাম করে বিদায় নিলেন। হবু রাজা ডুবে গেলেন গেমের ভিতরে। ঢিঁচক্যাঁও....।
 
13th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
একনজরে
ইসলামাবাদ, ১৬ জানুয়ারি (পিটিআই): নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মোশারফের হয়ে ৯০ পাতার পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম নির্বিঘ্নে কোনও সমাবর্তনে হাজির হলেন জগদীপ ধনকার। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়েও সরকারের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ...

জীবানন্দ বসু, কলকাতা: গত কয়েক মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে অহি-নকুল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্যপালের। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করায় সমঝোতার আবহ তৈরি হলেও পরবর্তীকালে নানা ইস্যুতে ফের সংঘাতের বাতাবরণ ফিরে এসেছে।  ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: যে রাধে সে যেমন চুলও বাঁধে, তেমনি যিনি চোর-ডাকাত-অপরাধীর পিছনে ছুটে বেড়ান, তিনি আবার সাহিত্যচর্চাও করেন। হরিরামপুর থানায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মী তাপস মণ্ডল ডিউটির চাপ সামলেও সামান্য যেটুকু অবসর পেয়েছেন, তাতেই একটি বই লিখে ফেলেছেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯. ২০ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.১৯ টাকা ৯৪.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৭.১০ টাকা ৮০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৩৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮, ৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ২/৪০ দিবা ৭/২৮। চিত্রা ৪৭/৪ রাত্রি ১/১৩। সূ উ ৬/২৩/৭, অ ৫/৯/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ১২/৪/১৯ দিবা ১১/১৫/২৬। হস্তা ০/৩/৫ প্রাতঃ ৬/২৬/৫৬ পরে চিত্রা নক্ষত্র দং ৫৬/৯/৪১ শেষরাত্রি ৪/৫৩/৩৪। সূ উ ৬/২৫/৪২, অ ৫/৮/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ৩/৪৪ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৬/৫৫ গতে ১১/৪৭/১৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/২৮/৮ গতে ১০/৭/৪৩ মধ্যে । 
মোসলেম: ২১ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: বিদেশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির ...বিশদ

07:03:20 PM

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ৩৬ রানে জিতল 

09:55:34 PM

অস্ট্রেলিয়া ২৩৫/৫ (৪০ ওভার), টার্গেট ৩৪১ 

08:50:02 PM

অস্ট্রেলিয়া ১৫১/২ (২৬ ওভার), টার্গেট ৩৪১

07:46:57 PM

অস্ট্রেলিয়াকে ৩৪১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

05:12:00 PM