গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
মাথায় বস্তা, বোঁচকা নিয়ে সারিবদ্ধভাবে হেঁটে চলেছেন মানুষ। সবাই হাওড়ায় নেমে বাবুঘাট যাওয়ার গাড়ির খোঁজ করছেন। কিন্তু লঞ্চঘাট বা বাস কোনদিকে, সে সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা না চোখে পড়ায় তীর্থযাত্রীরা হয়রানির অভিযোগও করছেন। আর যাঁরা ইতিমধ্যেই সাগর থেকে ফিরে পড়েছেন, তাঁরা স্টেশনেরই এদিক-ওদিক ছড়িয়েছিটিয়ে পড়েছেন। অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এখান থেকে এদিন রাতে পুরী যাওয়ার পরিকল্পনা আছে বহু তীর্থযাত্রীর। এর মাঝখানে সকালে হাওড়া পৌঁছে অনেকে ফের কলকাতার দিকে চলে গিয়েছেন শহর ঘুরে দেখতে।
এদিন হাওড়া স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল, হিন্দি বলয়ের এক টুকরো ভারত উঠে যেন উঠে এসেছে এখানেও। বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় থেকে আসা মানুষদের ভিড় চারপাশে। কথা হচ্ছিল বিহারের সমস্তিপুর এলাকা থেকে আসা একদল তীর্থযাত্রীর সঙ্গে। সমস্তিপুর জেলার সিংঘিয়া গ্রামে বাড়ি এই দলটির সদস্যদের। একজনের নাম নীরজ ঠাকুর। তাঁর নেতৃত্বে দলটি সাগরস্নান সেরে পুরী যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করছে। তিনি আগেও দু’বার সাগরে এসেছেন। দলের বাকি সদস্য উপিন্দর ঝা, ইন্দু দেবী, মঞ্জু দেবীদের কাছে তিনিই ‘মুখিয়া’। নীরজ বলেন, আমাদের মোট ১২ জনের দল। এখান থেকে পুরীর জগন্নাথদেব দর্শন করে ফিরব গ্রামে। মধ্যপ্রদেশের দিন্দোরি জেলা থেকে এসেছেন বেদান্ত চৌহান, কমলাবতী দেবী, জগৎনারায়ণ শর্মা, সরস্বতী দেবীরা। তাঁদের দলের সদস্যর সংখ্যায় ২৫ জন। বেচান্ত বলেন, সাগরে পৌঁছাতে অনেক সমস্যা হয়েছে। তবে ফিরতে কোনও সমস্যা হয়নি।
হাওড়ায় ট্রেন থেকে নেমে বাবুঘাট কোন পথে যাবেন, তা খুঁজে বার করতে তাঁদের সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর সঙ্গে থাকা জগৎনারায়ণ বলেন, সাগর তো কষ্ট করেই যেতে হবে। তবে বাকি সব ব্যবস্থা খুব ভালো। কিন্তু দলের মাত্র চার-পাঁচজনকে এখানে দেখা যাচ্ছে কেন? তিনি জানান, বাকিরা কলকাতা শহরে গিয়েছে ঘুরে দেখতে। তবে কলকাতার কী কী দ্রষ্টব্যস্থান রয়েছে, তা জানেন না তাঁরা।
হাওড়া স্টেশনের সাবওয়েতে বসে শীতের জামাকাপড় বিক্রি করেন আক্তার মণ্ডল। তিনি বলেন, সাগরফেরত মানুষ ভালোই কেনাকাটা করছেন। পুণ্যস্নানে যাওয়ার সময় কেউ কিছু কেনেন না। ফেরার পথে অনেকেই কিছু কিনে নিয়ে যেতে চান। শীত কমে এলেও শীতপোশাকের চাহিদা যে তীর্থযাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, তা উল্লেখ করলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকার বাসিন্দা আক্তার।