গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বিজেপির সংশোধিত সংবিধান অনুসারে দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে তিন বছরের মেয়াদে দু’দফায় মোট ছয় বছর থাকতে পারেন। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) থেকে সরাসরি বিজেপিতে এসে সভাপতি পদে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তাঁর প্রথম দফায় মেয়াদ শেষ হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের জন্য এক বছর গোটা দেশজুড়ে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সেই সূত্রেই সভাপতি নির্বাচন প্রায় এক বছর পিছিয়ে যায়। এদিন নতুন করে দ্বিতীয় দফায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন দিলীপবাবু। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির ব্যাটন দিলীপ ঘোষের হাতেই থাকছে। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। স্বভাবতই মোদি-শাহের বাংলা দখলের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বিধানসভা ভোটে ঝাঁপাবে গেরুয়া শিবির। এদিন মেদিনীপুরের এমপিকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে বরণ করার পর শীর্ষ নেতাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন দলের আরেক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি সাফ জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁকে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। আগামীদিনে দিলীপবাবু দলের রাজ্য কমিটি, সাধারণ সম্পাদক সহ বিবিধ পদাধিকারী এবং মোর্চা সভাপতি চয়ন করবেন। মনে রাখতে হবে দল যাঁকে যে দায়িত্ব দেবে, তাঁকে সেটাই পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ কিংবা দ্বন্দ্ব যাতে কোনওভাবে না হয়, তা সুনিশ্চিত করার বার্তা দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের এই বিজেপি নেতা। নিজের নয়া দায়িত্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছোট প্রতিক্রিয়া, আগামীদিনে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।