Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল।
আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।
উত্তর ভিয়েতনাম ছিল কমিউনিস্টদের নিয়ন্ত্রণে। আর দক্ষিণ ভিয়েতনামে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, এই অজুহাতে যে সেইদিকে কমিউনিস্টদের অগ্রগমন ও আগ্রাসন তারা ঠেকাবে এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী অধ্যায়ে ‘উদার গণতন্ত্র’ রক্ষা করার পক্ষের মতবাদটি জনপ্রিয় হয়েছিল। এই বিষয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট বিভাজন ঘটে গিয়েছিল ইউরোপে। একপক্ষে ছিল কিছু তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশ আর অন্যপক্ষে ছিল কিছু তথাকথিত কমিউনিস্ট দেশ। এই বিভাজন রেখাটিকে উইনস্টন চার্চিল ‘লৌহ যবনিকা’ বলেছিলেন।
সেনা বাহিনীতে আবশ্যিকভাবে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুবরা ‘দেশসেবা’র প্রয়োজনে প্রতিরক্ষার বিভিন্ন বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের গোড়ার দিকে আমেরিকার বহু যুবক স্বেচ্ছায় কাজটি করেছিলেন। যুদ্ধটা যখন থেমেও থামছে না, মন্থর-একঘেয়ে-ক্লান্তিকরভাবে চলছে, এবং একের পর এক সরকারের মিথ্যাচার খোলসা হচ্ছে, তখন মার্কিনিদের সেই সমর্থনের জায়গা নিল সংশয়বাদ। সংশয় বদলে গেল সন্দেহে এবং সন্দেহ বদলে গেল বিরোধিতায়।
প্রতিবাদী কণ্ঠ প্রথম ধ্বনিত হল যুবসমাজের মধ্যে থেকে—বিশেষ করে ছাত্র এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীতে আহূত হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে থেকে। তাঁরা সরকারের কাছে প্রথম জানতে চেয়েছিলেন—বহু দূরে একটি দেশ ভিয়েতনাম, আমরা সেখানে যুদ্ধ লড়তে গিয়েছি কেন? শয়ে শয়ে আমেরিকান যুবককে সেখানে গিয়ে মরতে হচ্ছে কেন? তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা এর সদুত্তর দিতে পারেনি।
মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা হাওয়া বুঝতে দেরি করে ফেলেছিলেন। আর ব্যাপারটা যখন তাঁরা ধরে ফেললেন তখন মার্কিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একরোখা হয়ে উঠলেন এবং গলার জোরে যুদ্ধের প্রয়োজনটাই ব্যাখ্যা করতে প্রয়াসী হলেন। কী কেনেডি, কী জনসন, কী নিক্সন—সকলের শ্রীমুখে এক ধুয়ো—ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা!
অবাক ব্যাপার, নিক্সনের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট শেষমেশ ওই যুদ্ধ থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিলেন। কে এই রাষ্ট্রনায়ক? অন্যের উপর বলপ্রয়োগই যাঁর বিদেশনীতির সারকথা এবং কমিউনিস্টদের বিরোধিতায় যিনি অকৃত্রিম। তাহলে কেন তাঁর এই চৈতন্যোদয়? কারণ, দেরিতে হলেও তিনি সার বুঝে গিয়েছিলেন যে বিপুল অর্থ আর লোকক্ষয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে যা কোনোদিনই জেতার নয়।
কিছু ভীষণ রকমের ভুল
আজ ভারতজুড়ে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যায় ক্যাম্পাসে যে আলোড়ন ক্ষোভ বিক্ষোভ আমরা দেখছি, তার সঙ্গে ১৯৬৮-র ঘটনার কিছু উল্লেখযোগ্য সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। আজকের ছাত্রসমাজ যুবসমাজ বুঝতে পারছে যে দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তার ভিতরে কিছু ‘ভীষণ রকমের ভুল’ হয়ে যাচ্ছে। এই যে ক্ষোভের আগুন—তার সূত্র অনেক স্ফুলিঙ্গ। যেমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে যাঁদের ‘ক্রিডেনশাল’ নিয়ে সংশয় রয়েছে, রাজ্যপাল/উপাচার্যদের অন্যায় হস্তক্ষেপ ঘটছে, তাঁরা অশোভনভাবে নিজেদের জাহির করছেন, অনেক শিক্ষকের নিয়োগও ত্রুটিপূর্ণ, পরীক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রেও অনেকসময় অব্যবস্থা লক্ষণীয়, ছাত্র-সংগঠনের স্বাভাবিক কাজকর্মও নিয়ন্ত্রিত করার প্রয়াস জারি রয়েছে, অন্যায়ভাবে ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে প্রভৃতি। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মানসিকতা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং অন্যদের উপেক্ষা করে একটিমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শের ছাত্রদের ‘ফেভার’ করা হচ্ছে এবং সংঘর্ষে মদত দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সবচেয়ে নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ)। জেএনইউ প্রশাসন তো বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপিকে খুল্লামখুল্লা মদত জুগিয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিবাদী কণ্ঠকে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রনেতাদের রাষ্ট্রদ্রোহের কেসেও ফাঁসানো হয়েছে।
যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নয়া ‘স্থিতাবস্থা’ ভয়তাড়িত করে থাকে তো সাধারণভাবে দেশের ‘স্থিতাবস্থা’য় চলছে দমন-পীড়ন। প্রতিটি দিন নতুন নতুন করে উঠে আসছে ধর্ষণ আর গণপ্রহারে মৃত্যুর খবর, অপছন্দের লোকদের অপমান অমর্যাদার ঘটনা, এবং ইচ্ছেখুশি গ্রেপ্তারের ঘটনা। সরকার বৃদ্ধি, উন্নয়ন আর চকারির অলীক গল্প ফেঁদেই চলেছে। এতে ভয়ানক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন যুবক-যুবতীরা—যাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উৎকণ্ঠায় কাটছে, বিশেষত চাকরি-বাকরি হবে কি হবে না তা নিয়ে যাঁরা অশান্তিতে আছেন। ঠিকমতো পর্যবেক্ষণ করলে একজন ছাত্র বুঝতে পারছেন যে এই নয়া ‘স্থিতাবস্থা’ চালনা করছে যে-শক্তি, যে এটার বৈধতার পক্ষে সওয়াল করছে, সে আর কেউ নয়—শাসকের গরিষ্ঠতার ঔদ্ধত্য। এই শক্তি নানাভাবে নিজেকে প্রকট করে তুলছে: ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার প্রকাশ, অন্যের বিশ্বাসের প্রতি ঘৃণাপ্রদর্শন, আইনশঙ্খলারক্ষার নামে অহেতুক কঠোর মনোভাব দেখানো, সেন্সরশিপ এবং অন্যসকল নিয়ন্ত্রণের বাড়াবাড়ি (যেমন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া), যুক্তিগ্রাহ্য ‘চার্জ’ আনতে না-পারা সত্ত্বেও অভিযুক্তদের দিনের পর দিন আটক করে রাখা, প্রতিবাদী বা অপছন্দের ছেলেমেয়েদের গায়ে প্রতিক্রিয়াশীল তকমা সেঁটে দেওয়া (অসবর্ণ কিংবা ভিন্নধর্মে বিবাহ অনুমোদন না-করা) প্রভৃতি।
অঙ্গীকারে প্রত্যাখ্যান
রাজনৈতিক স্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠের ঔদ্ধত্য দেখা গেল যখন সরকার বিরোধীদের প্রতি তার অঙ্গীকার প্রত্যাখ্যান করে দিল এবং বিতর্কিত আইন সংসদে তড়িঘড়ি পাশ করালো। একটি দৃষ্টান্ত এই: ভারতের সংবিধানের ৫-১১ নম্বর অনুচ্ছেদে নাগরিকত্বের বিষয়গুলি আলোচিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ ক’টি গৃহীত হয়েছিল গণপরিষদে তিনমাসব্যাপী বিতর্ক-আলাপ-আলোচনার পর। আর এদিকে কী হল দেখুন! ৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৯-কে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করল, এরপর সংসদের উভয় কক্ষে তা পাশ করানো হল, এবং সেটাকে আইনে পরিণত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল ১১ ডিসেম্বর—অর্থাৎ সবটাই সেরে নেওয়া হল মাত্র ৭২ ঘণ্টার ভিতরে!
ভারত রাষ্ট্র এবং সংবিধানের পক্ষে এই যে বাস্তব বিপদটি উপস্থিত হল, তার বিরুদ্ধে সবার আগে ঘুম ভেঙেছে ছাত্রদের এবং যুবদের। তাঁদের এই ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে—এমনকী যেসব দল ব্যাপক হালুম-হুলুম করেছে, ছাপিয়ে গিয়েছে তাদেরকেও। ছাত্র-যুবরা যথার্থ উপলব্ধি করেছেন যে সংখ্যাগরিষ্ঠের এই ঔদ্ধত্য এবং পদক্ষেপই শেষমেশ ‘অথরিটারিয়ানিজম’-এর দিকে গড়াবে। আমরা জানি, অথরিটারিয়ানিজম হল এমন একটা ভয়ানক ব্যবস্থা, যেখানে ব্যক্তিস্বাধীনতার জায়গায় গুরুত্ব পায় সরকারের প্রতি আনুগত্যের নীতি। ছাত্র-যুবরা আরও বুঝেছেন, সরকারের এই নীতি ভারতকে বিভক্ত করবে এবং ভারতবাসীকেই ভারতবাসীর বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেবে। অধিকার, বিশেষ মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধার প্রশ্নে দেশের কিছু মানুষের গুরুত্ব খর্ব হবে। এই যে সর্বনাশা কাণ্ডটা হচ্ছে এর ফলে দেশ সত্তর বছর পিছনে ফিরে যাবে এবং স্বাধীনতার পর থেকে এই পর্যন্ত দেশের যাবতীয় প্রাপ্তি নস্যাৎ হয়ে যাবে।
আজকের প্রজন্মের ভিতরে নিরপেক্ষতা ও নিস্পৃহতার যে-ভাবটা ছিল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন সেটাকে নষ্ট করেছে। অন্যদিকে, এই আইন ভীষণ লজ্জিত করেছে বয়স্কদেরকে। হাজার হাজার কমবয়সি নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে এসে জাতীয় পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে পদযাত্রা করেছেন, মোমবাতি হাতে মিছিল করেছেন, প্রতিবাদীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন আর সংবিধানের প্রস্তাবনার গভীর তাৎপর্য দেশবাসীর উপলব্ধিতে এনে দিয়েছেন। প্রত্যাশামতোই পাওয়া গিয়েছে শাসক গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া—তারা অন্ধ গতানুগতিক ভাবে ক্রোধে ফেটে পড়েছে। একইসঙ্গে লক্ষ করা গিয়েছে যে, শাসক আজ নার্ভাস, সোজা কথায়, বড্ড ভয় পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে দিয়েছেন যে, ‘‘আমরা সিএএ থেকে এক ইঞ্চিও সরছি না’’। মনে হচ্ছে একটা অপ্রতিরোধ্য শক্তি আর একটা অনড় বাধার সম্মুখীন। কাউকে অথবা কিছু একটা ছাড়তে হবে। ভারতের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ এটার উপরেই ঝুলে রয়েছে। বছরের একটা অশুভ সূচনা হল। 
13th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
একনজরে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম নির্বিঘ্নে কোনও সমাবর্তনে হাজির হলেন জগদীপ ধনকার। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়েও সরকারের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: যে রাধে সে যেমন চুলও বাঁধে, তেমনি যিনি চোর-ডাকাত-অপরাধীর পিছনে ছুটে বেড়ান, তিনি আবার সাহিত্যচর্চাও করেন। হরিরামপুর থানায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মী তাপস মণ্ডল ডিউটির চাপ সামলেও সামান্য যেটুকু অবসর পেয়েছেন, তাতেই একটি বই লিখে ফেলেছেন।   ...

বিএনএ, কৃষ্ণনগর: নদীয়াজুড়ে এবার প্রকাশ্যে ধূমপান ও গুটখার বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। কিছু দিন আগেই এবিষয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। গত প্রায় ছ’মাসে অভিযান ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯. ২০ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.১৯ টাকা ৯৪.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৭.১০ টাকা ৮০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৩৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮, ৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ২/৪০ দিবা ৭/২৮। চিত্রা ৪৭/৪ রাত্রি ১/১৩। সূ উ ৬/২৩/৭, অ ৫/৯/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ১২/৪/১৯ দিবা ১১/১৫/২৬। হস্তা ০/৩/৫ প্রাতঃ ৬/২৬/৫৬ পরে চিত্রা নক্ষত্র দং ৫৬/৯/৪১ শেষরাত্রি ৪/৫৩/৩৪। সূ উ ৬/২৫/৪২, অ ৫/৮/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ৩/৪৪ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৬/৫৫ গতে ১১/৪৭/১৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/২৮/৮ গতে ১০/৭/৪৩ মধ্যে । 
মোসলেম: ২১ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: বিদেশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির ...বিশদ

07:03:20 PM

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ৩৬ রানে জিতল 

09:55:34 PM

অস্ট্রেলিয়া ২৩৫/৫ (৪০ ওভার), টার্গেট ৩৪১ 

08:50:02 PM

অস্ট্রেলিয়া ১৫১/২ (২৬ ওভার), টার্গেট ৩৪১

07:46:57 PM

অস্ট্রেলিয়াকে ৩৪১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

05:12:00 PM