Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

হাতে তাস কম ছিল না। পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস, তিন তালাক, অযোধ্যা রামমন্দির, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা, স্বচ্ছ ভারত, আচ্ছে দিনের সম্ভাবনাময় স্লোগান—এমন আরও কত কী! এক্কেবারে বাছাই সব তাস। গেরুয়া শিবিরের টার্গেট জনতার মন জয়ে এক-একটি মোক্ষম তথা জবরদস্ত তাস। সেই তাস কেবল দেখিয়েই দ্বিতীয় দফায় তিনশো প্লাসের শিরোপা মাথায় নিয়ে ২০১৯ সালে দেশের সিংহাসনে ফিরেছেন বিজেপি সুপ্রিমো নরেন্দ্র মোদিজি এবং দলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে কায়েম করেছেন পদ্মরাজ। শুধু তাই নয়, একটা সময় ওইসব তাসের চমৎকারী করিশ্মায় ভারত দেশের অধিকাংশ গেরুয়া রঙে রাঙিয়েও গিয়েছিল। সেই গেরুয়া-ভারত সাধারণ জনমানসে দীর্ঘকালের দেশশাসক কংগ্রেস সমেত বাকি দলগুলোর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে সাময়িকভাবে হলেও কেমন যে নিষ্প্রভ করে তুলেছিল। নোটবন্দি জিএসটি জ্বালানি তেল সমেত নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ইত্যাদি গুরুতর বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের মনে বয়ে চলা ক্ষোভ অভিযোগগুলোও যেন উনিশের প্রায় একতরফা নির্বাচনী ফলের পর কেমন দুবলা দুর্বল হয়ে পড়েছিল!
তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ফল! একদার বাম রাজ্য এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র গড়ে রামভক্তদের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে ১৮ আসন! ফল প্রকাশের পর অতিবড় রামভক্তও বলে উঠতে পারেননি যে এমনটাই তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন। পারেননি। তবে, ফলাফলের আনন্দসুখে তাঁদের অনেকেরই ছাতিই যে ২৮ থেকে ৫৬ ইঞ্চির দিকে প্রসারিত হয়ে পড়েছিল তা বলাই বাহুল্য। মমতাময় বাংলার সবুজ বুকে গেরুয়া বিজেপির সেই স্বপ্নের উত্থানের পর তাই সঙ্গত কারণেই রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন মহলে ভাবনা দুর্ভাবনার মিশ্র প্রতিক্রিয়ারও অভাব হয়নি। সিপিএমের একটা সুবিধে আছে—রাজ্যে বিজেপি কিছু একটা করলেই তাঁরা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় খালাস করে দিতে পারেন। লোকসভা ফল প্রকাশের পরও তার অন্যথা হয়নি। বিজেপির ভালো ফলের দায় মমতার ওপর চাপিয়ে তাঁরা নিজেদের বেকসুর প্রমাণ করতে নেমেছিলেন—মনে করে দেখুন। অথচ, ভোটফলে পরিষ্কার ছিল আসন কিছু কমলেও মমতার তৃণমূলের ভোট বেড়েছে। পক্ষান্তরে, বীতশ্রদ্ধ বাম ভোটাররাই বিজেপির শিবিরে অতিরিক্ত ২২ শতাংশ সরবরাহ করে ১৭-কে ৪০ শতাংশের কাছে টেনে তুলেছে!
তো সে যা-ই হোক, মোদ্দা কথা বিজেপির এই ফলের পর সাধারণ জনতা মধ্যে এই কথাই চাউর হয়েছিল যে, একুশে রাজ্যে আসছে বিজেপি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি বড় গুণমুগ্ধকেও কণ্ঠ ভরা শঙ্কা নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুনেছি। আর এই আবহের সঙ্গে তাল রেখে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গলোকে রাজনৈতিক ডিগবাজির সূচনাও হয়ে গিয়েছিল ভালোই। এবং সেই ডিগবাজিবাজদের চিহ্নিত করে ঘরে তুলতে সেরার সেরা কারিগর হয়ে উঠে এসেছিলেন মমতার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট মুকুল রায়, তাঁকে বাংলার নতুন চাণক্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও কিছুমাত্র বিলম্ব করেনি গেরুয়া শিবির! সেই ‘যাকে পাবি তাকে খা’ গোছের রাজনীতি (যাকে সাধারণভাবে দলভাঙানোর রাজনীতি বলেন আপনারা) শেষপর্যন্ত এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল যে বীরভূমের এক অতি বিতর্কিত নেতাকে দলভুক্ত করতে গিয়ে নিজের দলের নেতৃত্বেরই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হল রায়বাবুকে। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকে আড়ালে ঠেলে দেওয়া হল। এখন তিনি কোথায় কে জানে! ভাটপাড়া নৈহাটি বারাকপুরের শিল্পাঞ্চলে জমি দখল নিয়েও বিরাট কাণ্ড চলল কিছুদিন। সব মিলিয়ে সে এক তাধৈমাধৈ অবস্থা যার মূল সুর বলে চলেছিল—বিজেপি আগত ওই!
আর এই সুর যত চড়ছিল ততই বাংলার সংখ্যালঘু মহলে একটা অস্বস্তির ভাব জাগছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণপণে সেই অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তাতেও পুরোপুরি স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। কারণ, তখন নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে নতুন সরকার একের পর এক প্রতিশ্রুতি পালন করছেন, ভাঙছে দীর্ঘকালের প্রথা অভ্যাস। তিন তালাক বিল পাশ হল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হল, কাশ্মীর আর লাদাখ দুটি পৃথক জেলা হল এবং আকারে ইঙ্গিতে বোঝা গেল এবার আসছে নাগরিকতা প্রসঙ্গ—এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে পাঠানো হবে ক্যাম্পে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেইসঙ্গে আকারে ইঙ্গিতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে রেল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি সমেত বহু বড় শিল্পের বেসরকারিকরণ, ছাঁটাই, কর ব্যবস্থা সংস্কার প্রভৃতি কঠিন কঠিন সব সংস্কার সিদ্ধান্তের রূপায়ণ তো আছেই। ফলে সংখ্যালঘু সমেত বহু সাধারণের মনেই একটা অজানা ভয় দানা বাঁধতে শুরু করল আর অনিবার্যভাবেই স্ব-স্ব অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার বাতাবরণও তৈরি হতে লাগল, খোঁজা শুরু হয়ে গেল আত্মরক্ষার উপায় এবং ভরসাদার রাজনৈতিক শক্তি। এটা অবশ্য গোটা দেশেই ঘটল, কেবল বাংলায় নয়।
প্রাথমিকভাবে বিজেপির নবীন অগ্রগামী ভারতের তলে তলে এই বিপরীত প্রতিক্রিয়ার স্রোতকে দেশ রাজ্যের গেরুয়া নেতৃবৃন্দের কেউই বিশেষ পাত্তা দেননি। এমনকী এনআরসির অসমে ১৯ লক্ষ (যার মধ্যে ১২ লক্ষ বাঙালি বলে কথিত) নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিলের পরও নয়! কিন্তু, অসমের ১২ লক্ষ বাঙালির সেই চরম দুর্দশা নিয়ে যেই গর্জে উঠলেন মমতা চটকা ভাঙল যেন! বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তখন প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা হল— এটা নাগরিক বিরোধী আইন নয়, নাগরিকত্ব সুরক্ষিত করার আইন। বোঝানো হল, পাকিস্তান আফগানিস্তান বাংলাদেশের মতো মুসলিম রাষ্ট্রে পীড়িত হিন্দু সমেত সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেবার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কিন্তু দেখা গেল, এইসব কথা সত্য বলে জনতার সিংহভাগ গ্রহণ করছেন না! বরং, তাঁরা গেরুয়া বিরোধীদের কথায় মান্যতা দিচ্ছেন!
বিশেষ করে এই পশ্চিমবঙ্গে যেমন আগে তেমন এই এনআরসি ইস্যুতেও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই শিরোধার্য করছেন সংখ্যালঘু থেকে সাধারণ সকলেই। কেন? বিশ্বাস, অটুট অনড় বিশ্বাস। সে বিশ্বাস মমতা একদিনে অর্জন করেননি। প্রথমাবধিই জনতা দেখেছে মমতা যে কোনও বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিরোধীদের কটূক্তি ব্যঙ্গ সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের প্রতিও তাঁর সহানুভূতি অনুকম্পা যথারীতি জারি আছে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন? বলতে কী এককালে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস যেভাবে দৃঢ়তা পেয়েছিল ঠিক সেভাবেই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে একটু একটু করে বঙ্গজনতার মমতায় বিশ্বাস শিকড় ছড়াতে ছড়াতে আজ অনড় অটল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বলতে কী, এনআরসি সিএএ নিয়ে বিদ্রোহের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের নানা প্রান্তেই আজ মমতায় বিশ্বাসীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। না হলে ভোট সমীক্ষার ফল একতরফাভাবে পক্ষে যাওয়ার পরও দিল্লির শাসক কেজরিওয়াল তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে আহ্বান জানান?!
এহেন মমতার রাজ্যে ২০১৯ লোকসভায় চমক দেখানো আর ২০২১ ভোট জয়টা যে এক কথা নয় সেটা বঙ্গবিজেপি খুব ভালোই জানে। তার ওপর ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের ভোটফল প্রকাশের পর এটুকু বোধহয় ফের বোঝা গেল রাজনীতির জগতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, বন্ধু-বিশ্বাস বলেও না! হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার মতো বিজেপির স্বাভাবিক শরিকবন্ধু নিছক ক্ষমতার সিংহাসনের টানে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে— ভাবা যায়! আর ঝাড়খণ্ডে তো যাকে বলে ধূলিসাৎ। অথচ, অমিতজি এখনও এনআরসি নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন। জনগণনার জায়গায় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে জামিয়া মিলিয়া থেকে জেএনইউ— কোথাও তার বিরোধিতায় কোথাও ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে নামা ছাত্রছাত্রীরা পুলিস কি এবিভিপির গেরুয়া গুন্ডাদের আক্রমণে রক্তাক্ত হচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের মতো নানা জায়গায় নাগরিকত্ব বিক্ষোভে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে! গোটা দেশ এসব কিছু নিয়ে আজ উত্তাল উত্তপ্ত বজ্রগর্ভ! গতকাল সারা দেশ স্তব্ধ করে একটা প্রতিবাদের ধর্মঘটও হয়ে গেল।
এমতাবস্থায় বঙ্গে বিজেপির ১৮ আসনের সেই উদ্দীপনা যে প্রভূত ধাক্কা খাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। মতুয়া এবং উদ্বাস্তুদের সঙ্গে বাম বিমুখ মমতা বিরোধী ২২ পার্সেন্ট— এই দিয়ে ২০২১-এ বিজেপির শিকে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন যাঁরা আজ তাঁদের মধ্যেও দোলাচল। নাগরিকত্ব ইস্যু মেরুকরণের ব্যবস্থা করেছে ঠিকই কিন্তু এরপর বাংলার অপেক্ষাকৃত উদারবাদী হিন্দু জনতাকে শেষ অবধি ভোটযুদ্ধে কতটা পাশে পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। তাই, ইউপি ইলেকশনে বিপুল জয়ের পর উৎফুল্ল বিজেপি নেতৃত্ব মহাকলরবে যে মিশন বেঙ্গল ২০২১ ঘোষণা করেছিলেন তার ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন: নাগরিকত্ব ইস্যু মিশন ২০২১-এর পথে বঙ্গবিজেপির সবচেয়ে কঠিন কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো? উত্তর খুঁজছে বঙ্গবিজেপি।
 
09th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
একনজরে
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: শুধুমাত্র নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে টিকিট বুকিং করা যাবে না। দিতে হবে পুরো নাম এবং পদবি। দালালরাজ আটকাতে এবার টিকিট ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

ইসলামাবাদ, ১৬ জানুয়ারি (পিটিআই): নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মোশারফের হয়ে ৯০ পাতার পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম নির্বিঘ্নে কোনও সমাবর্তনে হাজির হলেন জগদীপ ধনকার। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়েও সরকারের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯. ২০ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.১৯ টাকা ৯৪.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৭.১০ টাকা ৮০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৩৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮, ৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ২/৪০ দিবা ৭/২৮। চিত্রা ৪৭/৪ রাত্রি ১/১৩। সূ উ ৬/২৩/৭, অ ৫/৯/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ১২/৪/১৯ দিবা ১১/১৫/২৬। হস্তা ০/৩/৫ প্রাতঃ ৬/২৬/৫৬ পরে চিত্রা নক্ষত্র দং ৫৬/৯/৪১ শেষরাত্রি ৪/৫৩/৩৪। সূ উ ৬/২৫/৪২, অ ৫/৮/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ৩/৪৪ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৬/৫৫ গতে ১১/৪৭/১৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/২৮/৮ গতে ১০/৭/৪৩ মধ্যে । 
মোসলেম: ২১ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: বিদেশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির ...বিশদ

07:03:20 PM

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ৩৬ রানে জিতল 

09:55:34 PM

অস্ট্রেলিয়া ২৩৫/৫ (৪০ ওভার), টার্গেট ৩৪১ 

08:50:02 PM

অস্ট্রেলিয়া ১৫১/২ (২৬ ওভার), টার্গেট ৩৪১

07:46:57 PM

অস্ট্রেলিয়াকে ৩৪১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

05:12:00 PM