গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জোট নিয়ে যে নয়া সমীকরণের জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে, তাতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দিকে আঙুল তোলেন বিজেপি সভাপতি। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের উদ্দেশে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি লালুপ্রসাদ হয়তো স্বপ্ন দেখছেন যে, আমাদের জোট ভেঙে যাবে। কিন্তু এটা মনে রাখা উচিত যে, তাঁর লণ্ঠনের (আরজেডির নির্বাচনী প্রতীক) যুগ থেকে বিহারকে বর্তমানের এলইডি যুগে বের করে এনেছে এনডিএ। গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদি এবং বিহার নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আগামী দিনে আরও উন্নয়নের পথে এগবে।’
রাজনীতিজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছে, অমিত শাহের এদিনের মন্তব্য বিহার নির্বাচনের নিরিখে বিশেষ বার্তাবহ। গত এক বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে একে একে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিজেপির হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় চলতি বছরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি এবং জেডিইউয়ের জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। আর তার সঙ্গে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে লাগাতার দেশজুড়ে প্রতিবাদ বিজেপিকে প্রবল চাপের মধ্যে ফেলেছে। এই অবস্থায় বিহারে নীতীশকেই নেতা হিসেবে তুলে ধরতে না পারলে বিহারবাসীর কাছে এনডিএর গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই কমবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। এছাড়া মহারাষ্ট্রে সম্প্রতি যেভাবে বিজেপি দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী শিবসেনাকে হারিয়েছে, তার আর পুনরাবৃত্তি মোদি-অমিত শাহ চান না। জোট ছাড়ার রেকর্ড নীতীশ কুমারের রয়েছে। বিহারে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় এনডিএর সঙ্গ ত্যাগ করে ২০১৫ সালে নীতীশ মহাজোটের শরিক হন। পরে ফের রাজ্যে একই অস্থিরতার মধ্যে ২০১৭ সালে তিনি মহাজোট ত্যাগ করে এনডিএতে ফেরেন। তাই আসন্ন নির্বাচনের নিরিখে বিরোধীদের বার্তা দিতেই এদিন শাহ নীতীশের নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন বলে রাজনীতিজ্ঞ মহল মনে করছে।
সিএএ নিয়েও এদিন বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন শাহ। তিনি বলেন, সিএএ নিয়ে বিরোধীরা সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাচ্ছে। তারা হিংসাতেও ইন্ধন জোগাচ্ছে। আইনি পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই নরেন্দ্র মোদির সরকার সিএএ নিয়ে এসেছে, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। কিন্তু যেভাবে গোটা দেশজুড়ে বিরোধীরা সিএএ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, তা বন্ধ করতে নয়া এই আইনের পক্ষে প্রচার চালানো হবে। আগামী দিনে দেশজুড়েই সংগঠিতভাবে গেরুয়া শিবির এই প্রচার চালাবে বলে অমিত শাহ জানান।