Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে। অভিযোগ উঠেছিল, ইরাকি রাজনীতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরানের অযাচিত হস্তক্ষেপের।
সেই সময়ই গোপনে বাগদাদে ঢুকেছিলেন তিনি। তাঁর আঙুলের বিরাট আর জ্বলজ্বলে লাল আংটিটা গোটা আরব দুনিয়ার তাবড় তাবড় সন্ত্রাসবাদীদের কাছে আতঙ্কের। ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কাছে তো বটেই! প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহদিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে তাঁর আচমকা উপস্থিতি ইরাকি আন্দোলনকারীদের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছিল। হবেই বা না কেন? সিআইএ ও মোসাদের হিটলিস্টে এক নম্বরে তাঁর নাম। ইরাক-সিরিয়ায় নৃশংস আইএস জঙ্গিদের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার অন্যতম কারিগর। ইরানিদের কাছে যাঁর পরিচিতি হাজি কাশেম নামে। ছোটখাটো, বলিষ্ঠ চেহারার ক্যারিশম্যাটিক জেনারেল। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এহেন হাজির বাগদাদে যাওয়ার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম ছিল না। আব্দুল মাহদিকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার তেহরানের এই প্রচেষ্টা ছিল ইরাককে নিজেদের ‘ক্লায়েন্ট স্টেট’ হিসেবে ধরে রাখার সুদীর্ঘ তৎপরতারই একটা অংশ। যে তৎপরতার প্রমাণ উঠে এসেছে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ৭০০ পৃষ্ঠার ইরানের সরকারি গোপন ডকুমেন্টে।
ফাঁস হওয়া ডকুমেন্টগুলোতে মূলত ইরাকের উপর ইরানের প্রভাবের চিত্রই ফুটে উঠেছে। কীভাবে ইরানি গোয়েন্দারা বছরের পর বছর ধরে ইরাকি নেতাদেরকে হাত করার জন্য কাজ করে এসেছেন। কীভাবে তাঁরা আমেরিকানদের হয়ে কাজ করা ইরাকি গোয়েন্দাদেরকে অর্থ দিয়ে নিজেদের দলে টেনে নিয়েছেন। কীভাবে তাঁরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রসহ ইরাকের জনজীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ করেছেন। সংবাদসংস্থা ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোপন ডকুমেন্টগুলোতে বেশকিছু গোয়েন্দাগিরির কথা এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, মনে হতে পারে সেগুলো যেন কোনও স্পাই থ্রিলারের পাতা থেকে হুবহু তুলে দেওয়া হয়েছে। এসব ডকুমেন্টের কেন্দ্রে কিন্তু সেই একজনই। হাজি কাশেম সোলেমানি। খাতায়-কলমে রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের কাডস ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন জেনারেল সোলেমানি। তবে অলিখিতভাবে তাঁর পদমর্যাদা ইরানের যেকোনও সামরিক কর্তার উপরে। আদতে ছিলেন ইরানের সেনাপ্রধানই। রেভল্যুশনারি গার্ডের ‘কুদস ফোর্স’ তাঁর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হতো। ২২ বছর ধরে বাহিনীটি গড়ে তুলেছিলেন নিজের হাতেই। ছায়াযুদ্ধের জন্য তৈরি করা একটা বৃহৎ ‘স্পেশাল অপারেশান ইউনিট’ বলা হয় সেই বাহিনীকে। যার প্রধান কর্মক্ষেত্র এখন ইরানের বাইরে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফ্রন্টে তৎপর ‘পবিত্র’ এই যোদ্ধারা। ইরানের আন্তর্জাতিক স্তরে উত্থানে বর্শার ফলকে পরিণত হয়েছে কুদস ফোর্সের সদস্যরা। যাঁদের ব্যবহার করে আরব দুনিয়ায় ইতিমধ্যে সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলেছিলেন সাদা চুলের হাজি কাশেম। যার তাপ লেগেছে দুনিয়ার অন্যত্রও। বিশেষ করে অর্থনীতিতে।
ইরানের সরকারি গোপন ডকুমেন্ট ফাঁস হওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরব দুনিয়ায় আমেরিকার প্রভাব আলগা হওয়ার আগেই অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘এমকিউ-৯ র‌্যাপার’ হানায় খতম করা হয়েছে কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে। প্রাণ হারিয়েছেন ইরাকি ‘পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্স’-এর উপ-প্রধান আবু মহদি আল-মুহান্দিস ওরফে জামাল জাফর ইব্রাহিমি। সোলেমানির মৃত্যুর খবর আধা-বিধ্বস্ত আইএসের কাছে বিরাট স্বস্তি তো বটেই!
প্রশ্ন হল, কে এই কাশেম সোলেমানি?
প্রাক্তন সিআইএ কর্তা জন ম্যাগুইয়ার দ্য নিউ ইয়র্কারকে বলেছিলেন, সোলেমানি ছিলেন ‘আরব দুনিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর একক অপারেটিভ’। ১৯৫৭ সালে জন্ম ইরানের দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের কেরমান প্রদেশের এক দরিদ্র পরিবারে। ১৩ বছর বয়সেই তাঁকে জীবিকার সন্ধানে পথে নামতে হয়। কথা বলতেন কম, শুনতেন বেশি। ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন বলছে, সেনাবাহিনীতে মাত্র ছয় সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সোলেমানি। তাতেই প্রমাণ করেছিলেন নিজের দক্ষতা। আরব দুনিয়া তাঁকে চিনত জেমস বন্ডের ইরানি সংস্করণ হিসেবেই। চষে বেড়াতেন ইরাক-ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন-আরব— প্রায় পুরো পশ্চিম এশিয়া। ইরানের ভূমিকা কোথায়-কেমন হবে, এত দিন নাকি সব ঠিক করে দিতেন তিনিই। সোলেমানি শুধু ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিকেই রিপোর্ট করতেন। তাই ইরানিরাও ‘কুদস ফোর্স’-এর সংখ্যা ও সামর্থ্য নিয়ে সামান্যই ওয়াকিবহাল। এই ‘ফোর্স’-এর সঙ্গে কাজ করে লেবাননের হিজবুল্লা, প্যালেস্তাইনের হামাস ও ইসলামিক জেহাদ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ‘ফাতেমিয়ুন’ আর ‘জাইনাবিয়ুন’ নামে মিলিশিয়া গ্রুপ এবং ইয়েমেনের হুতিরা। এর বাইরে সিরিয়া-ইরাকে শিয়াদের অনেক প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে ‘কুদস ফোর্স’-এর অধীনে। রীতিমতো আন্তমহাদেশীয় চরিত্রের বাহিনী। যার সঠিক আকার ও সদস্যসংখ্যা আঁচ করা কঠিন। ইরান এদের বলে ‘প্রতিরোধের অক্ষশক্তি’। অন্তত ১৫-২০টি দেশে সরাসরি কিংবা সীমিত পরিসরের ইজরায়েল, আমেরিকা, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহি সহ বিভিন্ন দেশের স্বার্থের বিপরীতে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত। সমরবিদ্যায় এই রকম যুদ্ধকে বলে ‘বড়যুদ্ধের মধ্যবর্তী ছোট ছোট অভিযান’। সৌদি আরব তার তেলক্ষেত্রে অজ্ঞাত উৎস থেকে পরিচালিত এই রকম এক অভিযান দেখেছে গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর। যা বিশ্ব অর্থনীতিকেও খানিকটা ঝাঁকুনি দিয়েছিল। হয়তো তাই আমেরিকার চোখে সোলেমানি ‘জেহাদের কারবারি’। পশ্চিম এশিয়ার একটা বড় অংশ জুড়ে সন্ত্রাসের মদতদাতা।
কেন সোলেমানিকে হত্যা করা জরুরি হয়ে পড়েছিল?
তাঁর বিরুদ্ধে ছিল মার্কিন সরকারের একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এও মনে করা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা মূলত সোলেমানির উপর ক্ষোভ থেকে। ইজরায়েলের গোয়েন্দাদের অভিযোগ, অন্তত দু’বার আমেরিকা সোলেমানিকে সুযোগ পেয়েও মারেনি। কারণ, জঙ্গি সংগঠন আইএস নিয়ন্ত্রণে সোলেমানি তখনও অপরিহার্য। তাঁকে হত্যা করা মানেই ইরানের সঙ্গে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতার পথ বহুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া। আজ যে চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, ইরাক, কাতার ইরানের সঙ্গে অক্ষশক্তি হিসেবে কাছাকাছি হয়েছে, তা সোলেমানির সামরিক নেতৃত্বের অবদান। তাঁর কৌশলে শুধু আইএস ইরাক ও সিরিয়াতে ধ্বংসই হয়নি, ওই দেশ দু’টি ইরানের পরম মিত্র হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সোলেমানিকে নিয়ে আমেরিকার চেয়ে ইজরায়েলের মাথাব্যথা ছিল বেশি। ইজরায়েল মনে করে, লেবানন, সিরিয়া, গাজা থেকে সোলেমানির অদৃশ্য সেনারা ক্রমে তাদের ঘিরে ফেলছে। এভাবে ইরান সীমান্তকে সোলেমানি টেনে নিয়ে এসেছেন ইজরায়েলের বাড়ির পাশে। অথচ তেহরান-জেরুজালেমের মাঝে দূরত্ব ১৫০০ কিলোমিটারের বেশি।
প্রতিবেশী সিরিয়ায় ইরানের কুদস ফোর্সের সামরিক দপ্তর থাকা ইজরায়েলের কাছে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্রের মতোই অসহনীয় কিছু। ইজরায়েলের জেনারেলরা এটা কখনোই গোপন করেন না যে মোসাদের হিটলিস্টে সোলেমানি ছিল এক নম্বরে। ইরানেরও তা অজানা ছিল না। হয়তো এই কারণেই আয়াতুল্লা খামেনি সোলেমানিকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে বলেছিলেন: ‘বিপ্লবের জীবন্ত শহিদ’। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ ২০১৮ সালের নভেম্বরে এমন রিপোর্টও করেছে যে, সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার অন্তত এক বছর আগে একই খুনে দল ইজরায়েলের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে সোলেমানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এই কাজের বাজেট ছিল দুই বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য হাসিলে ভাড়াটে কোনও শক্তিকে ব্যবহারের কথা ছিল। অজ্ঞাত কারণে তা আর সফল হয়নি।
সৌদি আরবের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ইরানের যে ছায়াযুদ্ধ চলছে, তার প্রধান কারিগরও জেনারেল সোলেমানি। আবার ইরাকে আইএস যে সাময়িকভাবে হলেও পরাস্ত, এককভাবে তার বড় কৃতিত্ব সোলেমানিকেই দিতে হবে। সোলেমানির জন্যই ইরানে এবং এশিয়ায় দাঁত ফোটাতে পারেনি বাগদাদির জঙ্গি বাহিনী। গত কয়েক বছরে সোলেমানির ‘অক্ষশক্তি’ যে ক্রমে সামরিক পরিসর ছেড়ে রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠছে, তারও বহু নজির রয়েছে। হিজবুল্লা এক সময় আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকলেও এখন তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়া লেবাননে সরকার গঠন আটকে যায়। ইরাকে ‘পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্স’ নামে পরিচিত সোলেমানি প্রভাবিত মিলিশিয়াদের অনেক সংগঠক পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন এবং তাঁরা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ এক ‘ব্লক’। ইয়েমেনে হুতিদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আনসারুল্লা’ সরাসরি একটা রাজনৈতিক শক্তিও বটে।
ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে কাবু করতে ইজরায়েলের উৎসাহেই অবরোধ চলছে দশকের পর দশক ধরে। ২০১৬ থেকে পরবর্তী দুই বছর বাদ দিলে ১৯৭৯ সাল থেকে গত প্রায় ৪০ বছর ইরানের অর্থনীতিকে অবরোধে ফেলে কাবু করার চেষ্টা চলেছে। সামরিক সক্ষমতা কমাতে ইরানের বহু বিজ্ঞানীকে চোরাগোপ্তা কায়দায় হত্যা করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। এর পাশাপাশি ‘মুজাহেদিন-ই খালক’, ‘জয়েস উল-আদিল’ নামে বিভিন্ন সংগঠন ইরানের অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাত চালাতে মরিয়া। জেনারেল সোলেমানি মনে করতেন, এই রকম জটিল পরিস্থিতিতে ইরানকে তার অস্তিত্বের জন্যই সীমান্তের বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্তরে উপস্থিতি বাড়াতে হবে। তিনি শত্রুর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে পাল্টা প্রতিরোধের পক্ষে। সামনাসামনি দেখলে এই ধরনের বিপজ্জনক চিন্তার মানুষটির যে বড় বৈশিষ্ট্যটি চমকে দিত তা হল, অতি সাধাসিধে জীবনযাপন। তারকা জেনারেলদের শরীরী ভাষায় যে ঔদ্ধত্য থাকে, কাশেম সোলেমানি একদম তার বিপরীত। শুধু এই কারণেই, শিয়া মিথে ভরপুর ইরানের সমাজে অনেকে তাঁর মাঝে দেখতেন ঈশ্বরের ছায়া। সারাক্ষণ রণাঙ্গনে ঘুরতে পছন্দ করতেন। সামরিক পোশাকে নয়, সাধারণ একটা জ্যাকেট পরা অবস্থায় দেখা যেত অধিকাংশ সময়। খামেনি ছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও তাঁর মেলামেশা ছিল কম। ২০১৭ সালে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে চাননি। মূলত ‘জাতীয় স্বার্থে’ ভূকৌশলগত সামরিক চিন্তার দক্ষতাই তাঁকে জাতীয় বীরে পরিণত করেছিল। তবে ইরানিদের প্রিয় ‘হাজি কাশেম’ তাঁদের দেশকে আরব দুনিয়ায় এমন এক যুদ্ধের ভিতরও টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন, হয়তো সেই যুদ্ধের রেশ বয়ে চলতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। 
07th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
একনজরে
দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: শুধুমাত্র নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে টিকিট বুকিং করা যাবে না। দিতে হবে পুরো নাম এবং পদবি। দালালরাজ আটকাতে এবার টিকিট ...

বিএনএ, কৃষ্ণনগর: নদীয়াজুড়ে এবার প্রকাশ্যে ধূমপান ও গুটখার বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। কিছু দিন আগেই এবিষয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। গত প্রায় ছ’মাসে অভিযান ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে এই প্রথম নির্বিঘ্নে কোনও সমাবর্তনে হাজির হলেন জগদীপ ধনকার। আর সেই অনুষ্ঠানে গিয়েও সরকারের উদ্দেশ্যে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ...

ইসলামাবাদ, ১৬ জানুয়ারি (পিটিআই): নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মোশারফের হয়ে ৯০ পাতার পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯. ২০ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.১৯ টাকা ৯৪.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৭.১০ টাকা ৮০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৩৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮, ৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ২/৪০ দিবা ৭/২৮। চিত্রা ৪৭/৪ রাত্রি ১/১৩। সূ উ ৬/২৩/৭, অ ৫/৯/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ১২/৪/১৯ দিবা ১১/১৫/২৬। হস্তা ০/৩/৫ প্রাতঃ ৬/২৬/৫৬ পরে চিত্রা নক্ষত্র দং ৫৬/৯/৪১ শেষরাত্রি ৪/৫৩/৩৪। সূ উ ৬/২৫/৪২, অ ৫/৮/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ৩/৪৪ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৬/৫৫ গতে ১১/৪৭/১৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/২৮/৮ গতে ১০/৭/৪৩ মধ্যে । 
মোসলেম: ২১ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: বিদেশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির ...বিশদ

07:03:20 PM

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ৩৬ রানে জিতল 

09:55:34 PM

অস্ট্রেলিয়া ২৩৫/৫ (৪০ ওভার), টার্গেট ৩৪১ 

08:50:02 PM

অস্ট্রেলিয়া ১৫১/২ (২৬ ওভার), টার্গেট ৩৪১

07:46:57 PM

অস্ট্রেলিয়াকে ৩৪১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

05:12:00 PM