Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

পুরসভা বা বিধানসভা যে ভোটই হোক না কেন, নাগরিকত্ব আইনই এরাজ্যে বিজেপির লড়াইয়ের একমাত্র অস্ত্র। সেই কারণে নাগরিকত্ব আইনকে মানুষের কাছে অতীব মহার্ঘ হিসেবে তুলে ধরে ভোট মেরুকরণের ভিত মজবুত করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ঝাড়খণ্ডের ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ মানুষ খায়নি, মোদি ম্যাজিকও ফ্লপ। এই অবস্থায় একমাত্র নাগরিকত্ব আইনই হতে পারে এরাজ্যের ক্ষমতা কবজার জব্বর ফাঁদ। সেই ফাঁদে সাধারণ মানুষ তো বটেই, রাজনৈতিক দলগুলিও পা দিয়েছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস এই ইস্যুতে ধর্মঘট পালন করেছে। তৃণমূলও আদাজল খেয়ে বিরোধিতায় নেমেছে। কিন্তু, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর উপলব্ধি করেছেন, সিএএ নিয়ে লড়াইয়ে মেতে থাকা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার শামিল। মন জয় করতে গেলে মানুষকে দিতে হবে সরকারি পরিষেবা। সেই জন্যই রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলিকে আরও বেশি করে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়ে কিস্তিমাতের কৌশল নিয়েছেন কুশলী পিকে।
লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয়ের কারণগুলির মধ্যে তিনটি বিষয়কে টিম পিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছে। প্রথমত, পঞ্চায়েত ভোটে জুলুমবাজি, যা সাধারণ ভোটারদের তো বটেই, তৃণমূল সমর্থকদেরও বিরূপ করেছে। দ্বিতীয়ত, সরকারি প্রকল্প ঘিরে স্থানীয় স্তরে নেতাদের দুর্নীতি, অর্থাৎ কাটমানি। কাটমানির নেশায় বুঁদ নেতাদের জন্যই তৃণমূলের ঘরের লোক পর হয়েছে। তৃতীয়ত, নেতাদের আস্ফালন। তাতে সাধারণ মানুষ তো ক্ষুণ্ণ হয়েছেই, আত্মসম্মান নিয়ে চলা কর্মীরা হয় বসে গিয়েছেন, অথবা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
ক্ষত মেরামতের জন্য নেওয়া কৌশলগুলি মানুষ গ্রহণ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য উপনির্বাচন ছিল ‘অ্যাসিড টেস্ট’। নিজের ভোট নিজে দেওয়ার সুযোগ পেলে মানুষ কাকে বেছে নেয়, তা দেখতে চেয়েছিল। সেই জন্য অধিকাংশ বুথে পুলিস প্রহরায় ভোট হওয়া সত্ত্বেও শাসক দল পঞ্চায়েতের মতো ভোট করানোর রাস্তায় হাঁটেনি। ভোটারকে ভোট দিতে দিয়েছে। জুলুমের ভোটের রাস্তা পরিহার করে উপনির্বাচনে সাফল্য পাওয়ায় পুরসভা ভোটেও শাসক দল একই রাস্তায় হাঁটতে চাইছে। কারণ টিম পিকে অনুসন্ধান করে বুঝেছে, তৃণমূলের শেষের শুরু এখনও হয়নি।
টিম পিকে মনে করছে, বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর। বহু জায়গায় দুঃস্থদের চেয়ে নেতাদের আত্মীয়, ছেলেমেয়ে সেই সুযোগ পেয়েছে। তাই প্রকৃত গরিবের হাতে প্রকল্পের সুযোগ পৌঁছনো সুনিশ্চিত করায় জোর দিয়েছে।
ঘর পোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেই ভয় পায়। তাই এবার আগাম বাঁধনের ব্যবস্থাটা করেছে। কারণ পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামের পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, উন্নয়ন আর সামাজিক প্রকল্পের হাত ধরেই শাসক দলে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি। তাই সরকারি সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে নজরদারি ব্যবস্থা। তবে, সে কাজে দলীয় নেতৃত্বের উপর তৃণমূল নেত্রী ভরসা করেননি। কারণ তিনি দেখেছেন, লাভের গুড় তাঁর দলের পিঁপড়েই সাবাড় করেছে। উন্নয়নের সুফল দলের বদলে গিয়েছে নেতার পেটে। তাই এবার নজরদারির কাজে সরাসরি যুক্ত করেছে প্রশাসনকে। চালু করেছেন ‘গ্রামে চলো’। বিডিও সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা গ্রামে গিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। তাঁদের সমস্যার কথা শোনার মধ্যেই জেনে নিচ্ছেন নেতাদের খুঁটিনাটি তথ্য। এসব দেখে অনেকেই বলছেন, ‘গ্রামে চলো’ আসলে সরকারি পর্যায়ে ‘দিদিকে বলো’। সরকারের পাশাপাশি শাসক দলের ভিত মজবুত করতেই নাকি এই জোড়া ‘ফিডব্যাকে’র ব্যবস্থা।
এখানেই শেষ নয়। কাটমানি খাওয়ার নেশা মাদকের নেশার চেয়েও ভয়ঙ্কর। এ নেশা সহজে ছাড়ানো যায় না। সেই উপলব্ধি থেকেই হয়েছে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা। প্রশাসন মাইকিং করে ঘোষণা করছে, সরকারি প্রকল্পে কেউ টাকা দাবি করলেই প্রশাসনকে জানান। অবাক করার বিষয় হলেও একথা সত্যি, কিছু কিছু এলাকায় এখনও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ জমা পড়ছে।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার জন্য নেতাদের আস্ফালনের বিষয়টিই সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ টিম পিকে মনে করছে, স্থানীয় নেতাদের দাম্ভিকতা, ফুলেফেঁপে ওঠার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে তৃণমূলের অনেকেই রাগে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। সেকথা মাথায় রেখেই পুরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ প্রার্থীর অনুসন্ধান করছে টিম পিকে। তাই খোঁজ চলছে গ্রহণযোগ্য পাঁচটি করে মুখের।
সম্প্রতি কলকাতায় বিধায়ক এবং দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে এক আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর এবং যুবনেতা অভিষেক ব঩ন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লবি করে বা দাদা-দিদি ধরে এবার টিকিট পাওয়া যাবে না। এটা যদি স্রেফ কথার কথা না হয়, তাহলে শাসক দলে প্রচুর নতুন মুখের টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে, তৃণমূল শেষ পর্যন্ত এই ঝুঁকি নিতে পারে কি না সেটাই দেখার। কারণ পুরসভা নির্বাচনে অল্প কিছু ভোট এধার ওধার হলেই জেতা আসন হাতছাড়া হয়ে যায়। তারপরেও তৃণমূল জনগণের অপছন্দের মুখগুলি ছেঁটে ফেলার সাহস দেখালে কয়েকটি পুরসভা হয়তো হাতছাড়া হবে, কিন্তু ভোট রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি সুফল ঘরে তুলবে। তাই অনেকেই মনে করছেন, পুরসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচন এবং ভোট পরিচালানার পদ্ধতির উপরেই নির্ভর করছে শাসক দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি।
বাম জমানার শেষদিকে সিপিএমও প্রায় একই রকম সমস্যার মুখে পড়েছিল। দলের একাংশের মাতব্বরি বামমনস্ক মানুষকেও সিপিএমের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তুলেছিল। মানুষের পালস বুঝতে পেরে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজাররা ‘শুদ্ধিকরণে’র আওয়াজ তুলেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবায়িত করার সাহস দেখাননি। কারণ জনবিচ্ছিন্ন সিপিএমের কাছে তখন ম্যাসলম্যান ও মাতব্বররাই হয়ে উঠেছিল দলের সম্পদ। তাদের সরিয়ে দেওয়া মানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া। সেই ভয়েই সিপিএম শুদ্ধিকরণ স্লোগানের বেড়া টপকাতে পারেনি। সেই কারণেই যে সমস্ত চিন্তাশীল মানুষের কাছে একদিন বামফ্রন্ট ছিল ‘চোখের মণি’, তাঁদের কাছেই সিপিএম হয়ে গিয়েছিল ‘চোখের বালি’। তার খেসারত গুনতে হয়েছিল ২০১১ সালে।
অনেকে মনে করছেন, লোকসভা ভোটে রাজ্যবাসী শাসক দলকে সেই সংশোধনের শিক্ষাই দিয়েছে। তৃণমূল তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতাকে গুরুত্ব দিলে ক্ষত মেরামত কঠিন হবে না। সেক্ষেত্রে টিকিট থেকে বঞ্চিতদের অনেকেই বিজেপিতে গিয়ে ভিড়বে। তাতে সাময়িক হলেও বিজেপির লাভ হবে। এখন দেখার, তৃণমূল নেতৃত্ব টিম পিকের পরামর্শ মেনে ঝুঁকি নেয় কি না! মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্য থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় বিজেপি এতদিন নাগালের বাইরে থাকা রাজ্য দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাবে। সেক্ষেত্রে ভোট মেরুকরণই হবে লক্ষ্য। আর হাতিয়ার হবে নাগরিকত্ব আইন। সিএএ-র প্রতিবাদে এ রাজ্যে মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং বীরভূমে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবলীলাকে সামনে এনে বিজেপি হিন্দু ভোট এককাট্টা করার মরিয়া চেষ্টা চালাবে। স্বয়ং দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, এরাজ্যে আসা ৫০ লক্ষ মুসলিমকে চিহ্নিত করে তাঁদের ভোটাধিকার সহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা কেড়ে নেওয়া হবে।
ঝাড়খণ্ডের ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর অমিত শাহ এনআরসিকে আপাতত ‘ঠান্ডাঘরে’ পাঠিয়ে দেওয়ার পরেও দিলীপবাবুর এই হুঙ্কার রাজনৈতিকভাবে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকেই মনে করছেন, অত্যন্ত সচেতনভাবেই দিলীপবাবু একথা বলেছেন। তিনি মনে করছেন, একমাত্র ধর্মীয় ভাবাবেগই পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বেনিফিসিয়ারিদের টলিয়ে দিতে। তার জন্য শুধু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রদানই যথেষ্ট নয়, সপ্তমে চড়াতে হবে মুসলিম বিরোধী জেহাদ। আর সেই কাজটিই তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে পদে পদে দানা বাঁধছে বিতর্ক। তবুও তিনি দমছেন না। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও নরেন্দ্র মোদিকে ভাঙিয়ে বাংলায় গেরুয়া ঝড় তুলতে গেলে ‘ঝাড়’ হয়ে যাবে। বিজেপির বঙ্গজয়ের একমাত্র ইউএসপি হতে পারে ভোট মেরুকরণ। তাই এবার অবশ্যম্ভাবীভাবেই বঙ্গের লড়াই ভোট মেরুকরণ বনাম সরকারি প্রকল্প।
 
11th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন?
বিশদ

09th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
একনজরে
ইসলামাবাদ, ১৬ জানুয়ারি (পিটিআই): নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মোশারফের হয়ে ৯০ পাতার পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: যে রাধে সে যেমন চুলও বাঁধে, তেমনি যিনি চোর-ডাকাত-অপরাধীর পিছনে ছুটে বেড়ান, তিনি আবার সাহিত্যচর্চাও করেন। হরিরামপুর থানায় কর্তব্যরত পুলিস কর্মী তাপস মণ্ডল ডিউটির চাপ সামলেও সামান্য যেটুকু অবসর পেয়েছেন, তাতেই একটি বই লিখে ফেলেছেন।   ...

ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল।  ...

দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: শুধুমাত্র নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে টিকিট বুকিং করা যাবে না। দিতে হবে পুরো নাম এবং পদবি। দালালরাজ আটকাতে এবার টিকিট ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ
১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির জন্ম
১৯৪৫: গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের জন্ম
২০১০: কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯. ২০ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.১৯ টাকা ৯৪.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৭.১০ টাকা ৮০.৮৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৩৯৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮, ৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬, ৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ২/৪০ দিবা ৭/২৮। চিত্রা ৪৭/৪ রাত্রি ১/১৩। সূ উ ৬/২৩/৭, অ ৫/৯/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪১ মধ্যে পুনঃ ১২/৫০ গতে ২/১৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৪ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৭ মধ্যে। 
২ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, সপ্তমী ১২/৪/১৯ দিবা ১১/১৫/২৬। হস্তা ০/৩/৫ প্রাতঃ ৬/২৬/৫৬ পরে চিত্রা নক্ষত্র দং ৫৬/৯/৪১ শেষরাত্রি ৪/৫৩/৩৪। সূ উ ৬/২৫/৪২, অ ৫/৮/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/২৩ মধ্যে ও ৩/৫১ গতে ৫/৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩ গতে ৮/৪৭ মধ্যে ও ৩/৪৪ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৬/৫৫ গতে ১১/৪৭/১৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/২৮/৮ গতে ১০/৭/৪৩ মধ্যে । 
মোসলেম: ২১ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: বিদেশ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৯৪১: মহান বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র বসুর মহানিষ্ক্রমণ১৯৪২: মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা মহম্মদ আলির ...বিশদ

07:03:20 PM

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারত ৩৬ রানে জিতল 

09:55:34 PM

অস্ট্রেলিয়া ২৩৫/৫ (৪০ ওভার), টার্গেট ৩৪১ 

08:50:02 PM

অস্ট্রেলিয়া ১৫১/২ (২৬ ওভার), টার্গেট ৩৪১

07:46:57 PM

অস্ট্রেলিয়াকে ৩৪১ রানের টার্গেট দিল ভারত 

05:12:00 PM