গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বিধানসভার শীর্ষ কর্তার প্রতি এত রুষ্ট কেন ধনকার? গত ৯ জানুয়ারি তিন চিঠির ‘ত্রিফলা’ আক্রমণের মাধ্যমে সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন রাজভবনের কর্ণধার। সূত্রের খবর, ইদানীং যে ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারপক্ষের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে, সেই গণপিটুনি এবং এসসি-এসটি কমিশন সংক্রান্ত বিল নিয়ে ধনকার দুটি পৃথক চিঠিতে বিঁধেছেন অধ্যক্ষকে। তাঁর তৃতীয় চিঠির অবতারণা ২৬-২৭ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের প্রসিডিংস এখনও তাঁকে না পাঠানো নিয়ে। তিন ‘পত্রবোমা’র ক্ষেত্রেই সংবিধান ও বিধানসভার বিধির কথা উল্লেখ করে রাজ্যপাল অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন অধ্যক্ষের।
তবে রাজ্যপালের এই ‘পত্রবোমা’র জবাব পাঠিয়েছেন বিমানবাবু। বৃহস্পতিবার পাঠানো ওই তিন চিঠির জবাবে অধ্যক্ষ নিজের সাংবিধানিক এক্তিয়ার এবং বিধানসভা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তাঁর অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন। অতীতে তিনি রাজ্যপালকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে সুর অনেক নরম ছিল। কিন্তু এই চিঠিতে ততটা নরম মনোভাব দেখাননি অধ্যক্ষ। তবে রাজ্যপালের পদের প্রতি কোনও অশ্রদ্ধা বা অবজ্ঞার প্রতিফলন ঘটেনি তাঁর জবাবে। বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি আইন-সংবিধান মেনেই কাজ করি। কে কী বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। রাজ্যপালের পাঠানো চিঠির উপযুক্ত জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি। শুধু একটা কথা বলতে পারি, রাজ্যপাল বাড়াবাড়ি করছেন।
অধ্যক্ষকে পাঠানো দুটি চিঠিতে রাজ্যপাল বিতর্কিত দুই বিলের প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিধানসভার শীর্ষ কর্তাকে। এসসি-এসটি কমিশন বিল নিয়ে ধনকার গত ১০ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে বিভিন্ন নথি সহ লিখিত বার্তা পাঠিয়ে উপস্থিত বিধায়কদের অবগত করার নিদান দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তার ব্যাখ্যা তলব করেন রাজ্যপাল। অধ্যক্ষ যে জবাব দিয়েছিলেন, তাতে অসন্তুষ্ট ধনকার এবার আরও কড়া ভাষায় কার্যত কৈফিয়ত তলব করেছেন অধ্যক্ষের। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে দেখা করে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২৭ ডিসেম্বর সময় চূড়ান্ত করার পর অধ্যক্ষের নির্দেশে কেন বিধানসভার সচিব অভিজিৎ সোম তা বাতিল করলেন, সেই কারণও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। একইভাবে গণপিটুনি বিল নিয়ে বিধানসভার প্রসিডিংস পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন এত জটিলতা, তাও জানতে চেয়েছেন ধনকার। দু’ধরনের (অসংশোধিত ও সংশোধিত) বিবরণী পাঠিয়ে দু’বারই তাকে চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার কথা কেন বলা হল, সেই কারণও দর্শাতে বলেছেন তিনি। সর্বোপরি, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও সংবিধান দিবস উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের প্রসিডিংস-এর কোনও নথি এখনও না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ধনকার অধ্যক্ষকে বলেছেন, সাংবিধানিক প্রধানের এই অনুরোধকে যেন আর অবজ্ঞা করে ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দেওয়া না হয়।