পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
কিন্তু, যখন তুমি বেশ ছোট ছিলে, তখন যদি তোমার বাবা, মা বা যারা তোমাকে লালনপালন করতেন তারা তোমাকে কষ্ট করে শিক্ষা দিতেন, যে কাজ তুমি কর তা কেমন করে করতে হয় এবং যেভাবে সেটা যথাযথভাবে করা যায় সেই ভাবে করার শিক্ষা দিতেন তা হলে এই সব ত্রুটি, বিচ্যুতি যা তুমি বছরের পর বছর ধরে করে চল তা এড়াতে পারতে। তুমি যে শুধু ভুল করে চল তা নয়, কিন্তু কেউ তোমাকে বলেও দেয় না সেগুলো ভুল। তাই তুমি আশ্চর্য্য হও, তুমি অসুস্থ হও, তুমি ক্লান্ত হও আর যা তুমি করতে চাও তা কেমন করে করতে হয় তা তুমি জান না কারণ তা তোমাকে কোনদিন শেখান হয়নি। যথার্থভাবে জীবনযাপন অতি কঠিন একটি কৌশল এবং যদি শিশু বয়সে এসব শিক্ষা আরম্ভ না করা যায়, ঐ বয়সে চেষ্টা না করা যায় তাহলে কেউই ভাল করে জানতে পারে না। যেসব শিক্ষকের সম্পূর্ণভাবে স্থিরচিত্ত নয়, যাদের সেই সহিষ্ণুতা নেই, যে সহিষ্ণুতা কখনও ব্যর্থ হবার নয় বা যাদের সেই মানসিক স্থিরতা, যে স্থিরতাকে কোন কিছুই বিঘ্নিত করতে পারে না এবং যাদের আত্মসম্মান বোধ নেই তাদের কোন উন্নতিই হবে না।
ভাল শিক্ষক হতে গেলে তাকে হতে হবে একজন মহাত্মা এবং বীর। হতে হবে মহান যোগী পুরুষ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যথার্থ আচরণ আশা করতে হলে শিক্ষককেও তাদের প্রতি যথার্থ মর্য্যাদার মনোভাব রাখতে হবে। নিজে তুমি যা করতে সমর্থ নও তা শিক্ষার্থীকে করতে বলতে পার না। শ্রীঅরবিন্দ বলেছেন:-‘‘যে শিক্ষাব্যবস্থা আমরা অনুসরণ করি তা এখনও রয়েছে মানুষী বুদ্ধি বৃত্তির চরম দারিদ্র্যের অবস্থায়।’’
তোমার ছাত্রছাত্রীকে যে শিক্ষা তুমি দান করছ, সেই বিষয়ের কথা বলছ, তাই তো? কিন্তু এখনই তো সময় এসেছে পরিবর্তনের।
মানুষের একটা অভ্যাস হল, যা খুবই দুঃখজনক যে, অন্যেরা যা করে গেছে তাকেই অনুকরণ করা। অনেক আগেই এ সম্বন্ধে আমি তোমাদের বলেছি। তাদের যুক্তি হল: ‘‘এ কাজটা এরকম করতে হবে কারণ, সর্বত্র এরকমই সকলে করছে’’। আমি বলি, সেই কারণেই এটা করা উচিত হবে না। কারণ সকলেই যদি এ কাজটা করে তাহলে এখানেও সেই একই কাজ আমাদের করার সার্থকতা কি?