পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
আবার সব অবতারেরা নিজের নিজের মত প্রকাশ্যে প্রচার করে গিয়েছেন। ইনি নিজের কথা কখনও প্রচার করেন নাই। যারা ভালবাসে শুন্তে তাদের কাছে বলতেন। কেশব বাবু কাগজে তাঁর কথা লেখায়, তাকে তাঁর নিকটে আসতে মানা করেছিলেন। একদিন রাত দুপুরে উঠে দেখি পায়চারী কচ্চেন, আর থু থু করে শব্দ করচেন, আর বলচেন, ‘‘লোক মান্যি দিসনে মা, লোক মান্যি দিসনে মা’’ তখন অর্দ্ধবাহ্য দশা। আমার বোধ হ’ল যেন মা আনন্দময়ী মান-যশের ধামা নিয়ে তাঁর পেছনে পেছনে ঘুরচেন, আর বলচেন, এই নে বাবা তোর জন্য মান যশ এনেছি।’’ আর তিনি আরও উচ্চস্বরে থু থু কচ্চেন, আর ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুখে ঘোর বিরক্তির চিহ্ন। কখনও মানযশের দিকে যেও না। মানযশ হজম করা কি সোজা ব্যাপার? যাঁরা নামরূপের পারে চলে গেছেন, তাঁদের নামে কিছু কর্ত্তে পারে না।
ঠাকুর বলতেন, ‘‘ফুল ফোটাও, মৌমাছি আপনি আসবে। চরিত্র গঠন কর, সুন্দর চরিত্র দেখে জগৎ মুগ্ধ হয়ে যাবে।’’ সকলেই নিজের মতটাকে শ্রেষ্ঠ ব’লে গিয়েছেন এবং কেউ কেউ বলেছেন, তাঁর মত অবলম্বন না কল্লে আর কিছু হবে না। কিন্তু আমাদের ঠাকুর বলতেন, ‘‘যত মত তত পথ; কারণ তিনি অনন্ত।’’ হাতীর পা ছুঁয়ে একজন অন্ধ বল্লে, হাতী থামের মত, কান ছুঁয়ে আর একজন বল্লে, কুলোর মত। উভয়েই ঠিক, আবার উভয়েই ভুল। তাই এত ঝগড়া বিবাদ। কেউ হাতীটার পূর্ণ অঙ্গ দেখেনি। তিনি নিজ জীবনে দেখালেন, সব মত অবলম্বন করে সব পথ দিয়ে সত্য লাভ করা যায়, এবং বল্লেন ঝগড়া বিবাদে দরকার নাই, সব মত ঠিক।