পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
প্রভাকর মহারাজ যথাসময়ে এসে হোমে বসলেন। ন’মা এবং দিদিমণি রাত্রি জাগরণ করলেন। অর্চনা মাও হোমের কাছে বসে কাঠ ইত্যাদি জুগিয়ে যেতে লাগলেন। ন’মা অবশ্য ছিলেন কমলেশের কাছে। দিদিমণি বসলেন তেতলায় ওঠার যে সিঁড়িটা ঘরের ভেতর দিকে রয়েছে তারই দরজার কাছে। প্রভাকর মহারাজ হোমে বসে ধীরে ধীরে গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়ে পড়লেন। এমন গভীর ভাবে ধ্যানস্থ হয়েছেন যে, হোমের দিকে নজর দিতে পারছেন না। অর্চনা মা ওঁর ধ্যানমগ্ন অবস্থা দেখে হোমে প্রয়োজন মত কাঠ বেলপাতা দিতে থাকলেন। অনেকটা রাত পার হয়ে গেছে। থম থম করছে সমস্ত পরিবেশ। কমলেশ মাঝে মাঝে দুর্বল চাউনি মেলে তাকাচ্ছে হোমের দিকে। হঠাৎ দিদিমণি বড় বড় চোখ করে ন’মার ঘরের দরজার দিকে কি যেন দেখছেন। আর ঠিক সেই মুহূর্তে কমলেশ ঠিক ঐ দিকেই তাকিয়ে খুব জোরে চীৎকার করে উঠলো—‘বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, পালাও, পালাও বলছি।’ ন’মা ছুটে গিয়ে কমলেশের বুকে হাত বুলোতে লাগলেন। বললেন—‘কি হয়েছে, কি হয়েছে? এখানে তো কেউ নেই। এই আমিই তো রয়েছি তোর কাছে।’ কমলেশ জোর দিয়ে বলে ওঠে, ‘না, না, একজন দাঁড়িয়েছিল, আমি বকাতে ছুটে পালিয়ে গেল।’ ঘটনাটি ঘটেছিল হোমের শেষের দিকে। দিদিমণিও উঠে এলেন তাড়াতাড়ি। ন’মাকে চুপিচুপি বললেন, ‘ওরে ও ঠিকই দেখেছে। আমিও তাকে ঠিক ঐখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি।’ দিদিমণি দেখেছিলেন একটি অশরীরী নারীমূর্তি, কমলেশও ঠিক তাই দেখেছিল।কিন্তু কমলেশের ঐ তীব্র চীৎকার প্রভাকর মহরাজের কানেই যায়নি।