পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ
ঘোমটার আড়ালে
সংসারের বহু দায়িত্বের মধ্যে থেকেও তিনি সন্ন্যাসীদের জন্যও আদর্শ জীবন দেখিয়েছেন যা সন্ন্যাসীদের অনুসরণযোগ্য। তিনি প্রাচীন ঐতিহ্যে বিশ্বাসী কিন্তু নতুনকে গ্রহণ করতে কখনই পিছপা হননি। তিনি বিবাহিতা। কিন্তু পতি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে শুধু দেবীর মতো সম্মান করতেন তাই নয়, দেবীরূপে পুজাও করেছেন। তাঁর বহু শিষ্য ছিলেন। গুরু হয়েও তিনি তাঁদের সেবা করতেন, লজ্জার বা ঘোমটার আড়ালটি রেখেই সংসার, সমাজ এবং সঙ্ঘের দায়িত্ব নিয়েছিলেন মায়ের মতো।
অবতারের প্রসঙ্গ
এবং ভগবতী দেবী সা নিত্যাপি পুনঃ পুনঃ।
সম্ভূয়কুরুতেভূপ জগতঃ পরিপালনম্।।
দেবীমাহাত্ম্য ঘোষণা করেছেন, “দেবী ভগবতী তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করবার জন্য বারবার পৃথিবীতে আসেন। যখনই জগতে অধর্মের ভাব বেশি হয়, মানুষের মনে সংশয় আসে, তখনই তিনি আসেন।” পরাধীন ভারতে সামাজিক কুসংস্কার, জাতপাতের গোঁড়ামি, অর্থহীন আচার-বিচার মেয়েদের অবস্থা শোচনীয় করে তুলেছিল। সেইসঙ্গে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রভাবে তাদের আধ্যাত্মিকতাও যখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়াল তখন এই যুগের প্রয়োজন মেটাতে এলেন শ্রীমা সারদা দেবী। তাঁর জীবন যেন প্রাচীন এবং নূতন আদর্শের মধ্যে গড়া একটি সেতু।
পিতামাতার স্বপ্ন
অবতার কবে আসবেন, কখন আসবেন তা আগে থেকে জানা যায় না। তাছাড়া তাঁরা যখন থাকেন তখন খুব কম মানুষই তাঁদের চিনতে পারেন। তাঁদের দেহত্যাগের বেশ কিছু পরে তাঁদের জীবন ও উপদেশ ধীরে ধীরে অনেক জীবনকে বদলে দেয়, অনেক জীবনের মোড় ফিরিয়ে দেয়—মনের গতিকে ধর্মের দিকে নিয়ে যায়। অবশ্য অন্য কেউ জানুক বা না জানুক অবতারের বাবা-মা কিন্তু তাঁদের দিব্য আবির্ভাব আগে থেকে জানতে পারেন। শ্রীমা সারদা দেবীর জীবনেও তেমনি ঘটনা দেখা যায়। তাঁর পিতা রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন সহজ সরল ব্রাহ্মণ।