বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মহামারীর দিনে কোনওরকম হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপজ্জনক। রাজ্যসরকার তা ভালো করেই জানে। এটাও জানে, পুজোর মানেই ভিড়। ভিড় আটকানোটাও এখন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। পুজোর মুখে লোকাল ট্রেন চালু হলে মানুষের ঢল নামত মণ্ডপে মণ্ডপে। তাই লোকাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্তের আগে রাজ্য সরকার এবং রেল বোর্ডের সহমত হওয়াটা ভীষণ জরুরি। ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা না করে যদি ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতো তাহলে তা শুধু হঠকারী সিদ্ধান্তই হতো না, হতো বিপজ্জনকও। ভিড়কে উৎসাহিত করলে সংক্রামিতের সংখ্যা একলাফে কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে। রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু রাজ্য সরকার নীরব থেকেই পরিস্থিতি অনুধাবনের চেষ্টা করে বুদ্ধিমত্তারই পরিচয় রাখছে। মেট্রো রেলের পরিষেবার সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালুর প্রসঙ্গ টানা একেবারেই ঠিক নয়। মেট্রো স্টেশনের ঘেরা পরিসরে যে সুরক্ষাবিধি কার্যকর করা সম্ভব অন্যত্র খোলা স্টেশনে তা কি করা সম্ভব? বিষয়টি মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে রেল বোর্ড। সঠিক ভাবনাচিন্তা। করোনা ঠেকানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে গোটা বিষয়টি ভাবতে হবে। রাজ্যের ঘাড়ে যাবতীয় দায়িত্ব চাপিয়ে লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা অনুচিত কাজই হবে। আশার কথা যে, রেল বোর্ডও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই এব্যাপারে সিদ্ধান্তে আগ্রহী।
পুজোর আবেগে উন্মাদনায় ভাসতে গিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে সুনামি যাতে না হয় সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারিভাবে করোনা টেস্টের খরচ কমানোর জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য প্রোটোকল বেঁধে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণরোধে দায়িত্বশীল নাগরিকের ভূমিকা কোনও অংশে কম নয়। তাঁদেরও কিছু করণীয় আছে। তাঁদের এতটুকু অসতর্কতা বিপদ ডেকে আনবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এত প্রচার সত্ত্বেও এখনও অসংখ্য মানুষ শারীরিক দূরত্ববিধি মানছেন না, মাস্ক ছাড়াই বেরিয়ে পড়ছেন। একেবারেই বেপরোয়া মনোভাব। তাঁরা শুধু নিজেদের বিপদই ডেকে আনছেন না, ডেকে আনছে অন্যের বিপদও। সংক্রমণ প্রতিরোধের সব দায়িত্ব শুধু সরকারের এটা ভাবা ভুল। তাই এখনও যাঁরা অসচেতন তাঁরা সাবধান হোন। সতর্কতা বিধি মানলেই সর্বাঙ্গসুন্দর হতে পারে আসন্ন উৎসব মরশুম।