পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মোট ১৪ রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেন গুকেশ। ৮.৫ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনজন— হিকারু নাকামুরা, ফ্যাবিয়ানো করুয়ানা ও ইয়ান নেপমনিয়াচি। অর্ধেক পয়েন্টে এগিয়ে থাকা গুকেশের সঙ্গে খেতাবের জোরাল দাবিদার ছিলেন এই ত্রয়ী। রবিবার ফ্যাবিয়ানো ও ইয়ানের মধ্যে গেম ড্র হওয়ায় সহজ হয়ে যায় ভারতীয় কিশোরের কাজ। শিরোপা নিশ্চিত করতে শেষ ম্যাচে মার্কিন গ্র্যান্ড মাস্টার হিকারু নাকামুরার সঙ্গে ড্র করলেই চলত। কালো ঘুঁটি খেলেও দারুণ বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই কাজটাই করলেন গুকেশ। প্রতিদ্বন্দ্বীর যাবতীয় প্রয়াসে জল ঢেলে শেষ পর্যন্ত ডিফেন্স মজবুত রাখেন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৭১ চালে ড্রয়ের খসড়ায় সই করেন দুই দাবাড়ু। সেই সঙ্গে ইতিহাস লিখে ফেলেন গুকেশ। খেলা শেষ হতেই বিষ্ময় বালককে দেখার হিড়িক পড়ে যায়। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসেন গুকেশ। পরে তিনি বলেন, ‘নিজের উপর বিশ্বাস রেখেই জয় পেয়েছি। ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই আমার প্রধান লক্ষ্য। এই সাফল্য আমাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।’
ভারতীয় কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দের পর দ্বিতীয় দাবাড়ু হিসেবে ক্যান্ডিডেটস দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন গুকেশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরসূরিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভিসি। তিনি লিখেছেন, ‘সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে মর্যাদার খেতাব জিতেছ তুমি। এর জন্য অভিনন্দন জানাই। যে সাফল্য তুমি পেয়েছ তাতে গোটা দেশ গর্বিত। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে খেলেও তুমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছ। এই জয়ের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ কর।’ চেন্নাইয়ে আনন্দের অ্যাকাডেমি থেকেই উল্কার গতিতে উত্থান গুকেশের। টরন্টোয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বোঝালেন, আনন্দের তালিমে অনেক বড় লক্ষ্যে এগচ্ছেন তিনি।