নটিংহ্যাম, ৭ জুন: অস্ট্রেলিয়ার কাছে মাত্র ১৫ রানে হারের পর অন্যতম ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গাফানে’র উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রেথওয়েট। কোনও রাখঢাক না রেখেই তিনি বলেছেন, ‘এরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে আম্পায়ার ভুল সিদ্ধান্ত দিলে তা অবশ্যই অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জানি না, এই মন্তব্য করায় আমার জরিমানা হবে কি না। তা সত্ত্বেও চুপ করে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শুধু ব্যাটিংয়ের সময়েই নয়, আমাদের বোলিংয়ের সময় আম্পায়াররা একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান যথাক্রমে ক্রিস গেইল এবং জ্যাসন হোল্ডারকে দু’বার প্যাভিলিয়নে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন আম্পায়ার গাফানে। কিন্তু চারবাই রিভিউ নিয়ে দু’জনে উইকেটে টিকে থাকেন। এমনকী মিচেল স্টার্কের যে বলে গেইল লেগ বিফোর হন তার আগের ডেলিভারিটাই ছিল নো। কিন্তু আম্পায়ার তা দেখেননি। ওই বলটি নো হলে নিয়মমাফিক পরের ডেলিভারিটি ‘ফ্রি হিট’ হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে গেইলের আউট হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকত না। এই প্রসঙ্গে ব্রেথওয়েটের মন্তব্য, ‘২৮৮ রানের টার্গেট তাড়া করছিলাম আমরা। ক্রিস গেইল ছন্দে ছিল। উইকেটে থাকলে ও একাই ১৮০ রান করার ক্ষমতা রাখে। স্টার্কের নো বলের পরের ডেলিভারিতে ক্রিসের প্যাভিলিয়নে ফেরার ঘটনা এখনও মেনে নিতে পারছি না। জানি, আমাদের মতো আম্পায়াররাও নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স মেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ওঁদের কোনও বিরোধ নেই। তা সত্ত্বেও দিনের শেষে ভুলটা ভুলই। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ডেলিভারি আমাদের প্যাডে লাগলেই আম্পায়াররা আঙুল তুলেছেন। কিন্তু উল্টোটা হলে ওদের হাতের কোনও মুভমেন্ট হয়নি। এরকম ভুল হতে থাকলে রিভিউ নেওয়া নিয়ে অনেক দলই ধন্দে থাকবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা পেসার মাইকেল হোল্ডিংও দুই আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘অস্ট্রেলিয়ার চাপের কাছে বারবার নতি স্বীকার করেছেন গাফানে এবং পালিয়াগুর্গ। ক্রিকেটে যা কখনোই কাঙ্ক্ষিত নয়।’