কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
(ডি লিট, ওয়াকার-আত্মঘাতী, প্রোমস) (র্যাশফোর্ড)
লিসবন, ৭ জুন: পরিকল্পিত ফুটবল উপহার দিয়ে উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে নেদারল্যান্ডস। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে রোনাল্ড কোম্যানের দল ৩-১ গোলে হারাল ইংল্যান্ডকে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফল ছিল ১-১। তারপর অতিক্তি সময়ের দু’টি পর্বে একটি করে গোল তুলে নিয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের মুখের হাসি কেড়ে নেয় অরেঞ্জ-ব্রিগেড। আগামী রবিবার পোর্তোর এস্তাদিও দ্য ড্রাগাও’তে ফাইনালে পর্তুগালের মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস।
বৃহস্পতিবার দুই কোচই দল সাজিয়েছিলেন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। ইংল্যান্ডের আপফ্রন্টে রহিম স্টার্লিং, মার্কাস র্যাশফোর্ড ও জ্যাডন স্যাঞ্চোকে ব্যবহার করেন কোচ সাউথগেট। অন্যদিকে, রায়ান বাবেল, মেম্ফিস ডিপে ও স্টিফেন বার্গউইনের উপর আস্থা ছিল ডাচ কোচ কোম্যানের। প্রারম্ভিক পর্বে ইংল্যান্ড সংগঠিত ফুটবল খেললেও তা ক্রমশ ফিকে হয়। এর নেপথ্যে অবশ্যই শক্তিশালী ডাচ রক্ষণ। লিভারপুলের ভার্জিল ফন ডিক ও আয়াখসের ম্যাথিস ডি লিটের বোঝাপড়া তেমনভাবে দাঁত ফোটাতে দেয়নি স্টার্লিংদের। তবে ৩০ মিনিটে বক্সের মধ্যে র্যাশফোর্ডকে ফাউল করে বিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেন ডি লিটই। ট্যাকলের সময়জ্ঞানে সামান্য ভুল হওয়ায় এই বিপত্তি। স্পটকিক থেকে ইংল্যান্ডকে লিড এনে দেন র্যাশফোর্ড (১-০)। এরপর সাউথগেট-ব্রিগেডের উচিত ছিল প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। এই পর্বে নেদারল্যান্ডস ফুটবলারদের নেওয়া একাধিক শট জমা পড়েছে ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিকফোর্ডের দস্তানায়। গোল করার কিছুক্ষণ পরেই ডামফ্রায়েসের সঙ্গে সংঘর্ষে চোট পান র্যাশফোর্ড। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাই তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামেন আধা ফিট হ্যারি কেন। এই পর্বে দুই দলই রক্ষণ সংগঠন জমাট রেখে আক্রমণ শানানোর চেষ্টায় ছিল। ৫৪ মিনিটে স্যাঞ্চোর হেড অনবদ্য তৎপরতার সঙ্গে বাঁচান ডাচ দুর্গপ্রহরী সিলেসেন। এর মিনিট সাতেক পরে স্যাঞ্চোর পরিবর্তে মাঠে নামেন জেসে লিংগার্ড। পক্ষান্তরে কোম্যানও পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেন প্রোমস ও ফন ডি বিককে। ৭৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসকে সমতায় ফেরান ম্যাথিস ডি লিট। ডান প্রান্ত থেকে মেম্ফিস ডিপের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে বিপক্ষ জাল কাঁপান তিনি (১-১)। এর মিনিট দশেক পরে বার্কলের পাস থেকে লিংগার্ড গোল করলেও তা অফ-সাইডের কারণে বাতিল হয়। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহযোগিতায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে নেদারল্যান্ডস। ৯৭ মিনিটে স্টোন্সের অমার্জনীয় গড়িমসিতে বল কেড়ে নেন মেম্ফিস ডিপে। তাঁর শট আংশিক প্রতিহত করেন পিকফোর্ড। ফিরতি বলের দখল নেওয়ার জন্য দৌড়ান প্রোমস ও ওয়াকার। ডাচ স্ট্রাইকারটির নেওয়া শট ওয়াকারের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায় (২-১)। এরপর আর ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেয়নি কোম্যান-ব্রিগেড। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে রস বার্কলের ভুলে বল পেয়ে মেম্ফিস ডিপে তা বাড়িয়ে দেন প্রোমসের জন্য। ফাঁকা গোলে বল ঠেলতে অসুবিধা হয়নি তাঁর (৩-১)।