কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকের জন্য দিল্লিতে এসে সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট জমা দিতে পারে বঙ্গ বিজেপি। অথবা আগামী সপ্তাহে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে অমিত শাহের হাতে তা তুলে দিতে পারেন দলের নেতারা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হতেই ‘মিশন ২০২১’-এর জন্য ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী কোনও ইস্যুতে আন্দোলন যাতে ব্যর্থ না হয়, সেই ব্যাপারে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশ এসেছে বাংলার বিজেপি নেতাদের কাছে। এর মধ্যেই সন্দেশখালির ন্যাজাট কাণ্ড ঘটে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে নেমেছে গেরুয়া শিবির। এবং সেই কারণেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া করে রিপোর্ট দিয়ে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও বেশি কোণঠাসা করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি শিবির।
দলীয় সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বারবার তুলছে, দলের সেই নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উপর লাগাতার হামলা সন্ত্রাসের অভিযোগই উল্লিখিত রিপোর্টে রাখতে চলেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে পেশ করতে চলা রিপোর্টের যে খসড়া প্রস্তুত হচ্ছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অত্যন্ত অবনতি হয়েছে। বিরোধীদের লাগাতার হামলা আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গতকালই দিল্লিতে এসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভোট মিটে যাওয়ার পরেও পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষের যে ঘটনা ঘটছে, তা অনভিপ্রেত।’ সূত্রের খবর, রিপোর্টে নির্দিষ্ট করে এই অংশটিও ঢোকাতে চলেছে বিজেপি। এ ব্যাপারে দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট করে ৩৫৬ ধারা বা রাষ্ট্রপতি শাসনের কোনও সুপারিশ করছি না রিপোর্টে। কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি ঘটিয়ে তৃণমূল নিজেরাই ওই বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।’ বনগাঁর বিজেপি এমপি শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে ছবি আমরা পেয়েছি, তাই রিপোর্ট করা হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।’