কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ইংল্যান্ড দলে জোফ্রা আর্চারের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে অনেক দিন ধরেই একটা প্রত্যাশার বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছিল। একদিনের আন্তর্জাতিকে এমনিতেই ইংল্যান্ড বেশ সমীহ জাগানো দল। আর্চার কিন্তু সেই দলে নিজের উপস্থিতি দক্ষতার সঙ্গেই মেলে ধরতে পেরেছে। পেস ও বাউন্সের চমৎকার ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের আর্চার একেবারে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে। ক্রিকেটে হাসিম আমলার অবদান দিয়ে নতুন কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। ওর আর নতুন কিছু প্রমাণ করার নেই। ওভালে সেই আমলাকেও ভালোমতোই বেগ দিয়েছে আর্চার। ২৭ রানে তিন উইকেট নিয়ে আর্চার দক্ষিণ আফ্রিকার হারকে ত্বরান্বিত করেছে। সত্যি বলছি, বিশ্বকাপে ফাস্ট বোলারদের দাপট দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই রাখে।
আর্চারের পর যশপ্রীত বুমরাহের নাম করতে হচ্ছেই। নতুন বলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রীতিমতো ত্রাসের সঞ্চার করেছিল ভারতের এই ফাস্ট বোলার। হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি’কককে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শিবিরে প্রারম্ভিক ধাক্কাটা দিয়েছিল বুমরাহই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বল করার সময় ওর শরীরীভাষায় এক অফুরন্ত প্রাণশক্তি পরিলক্ষিত হয় বুমরাহের মধ্যে। চাপের মধ্যেও নিখুঁত লক্ষ্যে বল রাখার ক্ষেত্রে ওর জুড়ি মেলা ভার।
এছাড়া আরও একজনের সম্পর্কে বলতেই হবে। তার নাম বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রতি মুহূর্তে ও যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে যে একদিনের আন্তর্জাতিকে এই বিশ্বসেরা। ব্যাটে-বলে সাকিবের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্যই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছিল। যদিও শেষপর্যন্ত তারা জিততে পারেনি।
অস্ট্রেলিয়া দলে স্টিভ স্মিথের কথাও আলাদাভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একবছর নির্বাসনে থাকার পর স্টিভের লড়াই নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। গ্যালারি থেকে দর্শকদের ব্যঙ্গের সময় কিংবা প্রবল চাপের মুখেও স্টিভ যেভাবে মাথা ঠান্ডা রাখছে, তা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে একটা ভালো বিজ্ঞাপন।