কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
একই সঙ্গে ক্রিকেট দুনিয়ার নজর রয়েছে ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির উপর। কারণ, ৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনি ‘বলিদান’ চিহ্ন লাগানো গ্লাভস পরে মাঠে নেমেছিলেন। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। ধোনির পাশে দাঁড়িয়েছিল বিসিসিআই। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি’কে বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলিতেও ধোনিকে ‘বলিদান’ চিহ্ন লাগানো গ্লাভস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু আইসিসি তা প্রত্যাখান করে দিয়েছে। তবে ধোনি মোটেও খুশি নন। তিনি নাকি ‘বলিদান’ ব্যাজ সরাতে রাজি হননি। তাই এখন দেখার, মাহি ওই একই গ্লাভস পরে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামেন কি না। তবে ধোনির গ্লাভস বিতর্ক নিয়ে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক রহিত শর্মা সরাসরি কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি। তিনি বলেন, ‘ধোনির গ্লাভস নিয়ে ঠিক কী হয়েছে জানি না। এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। হয়তো আগামীকালও ওই গ্লাভস হাতে ধোনিকে দেখা যেতে পারে।’
শুক্রবার বৃষ্টির কারণে ভারতীয় দল অনুশীলন করতে পরেনি। তবে শনিবার রহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ানরা দীর্ঘসময় নেটে ব্যাটিং করেন। কোচ রবি শাস্ত্রীর কড়া নজর ছিল ক্রিকেটারদের উপর। বিশেষ করে শিখর ধাওয়ানের অফ ফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তিত কোচ শাস্ত্রী। তাঁকে এদিন পরামর্শও দিতে দেখা গিয়েছে ধাওয়ানকে।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন রহিত। যা তাঁর আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছিলেন, এটাই তাঁর কাছে রহিতের সেরা ওয়ান ডে ইনিংস। কিন্তু রহিত অন্য কথা বলছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সাদাম্পটনে আমার অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস খুবই স্পেশ্যাল। এটা আমার সেরা ইনিংসও বলতে পারেন। কারণ, পিচটা সহজ ছিল না। আমাকে অনেক ধৈর্য্য ধরে ব্যাট করতে হয়েছিল। আমি সাধারণত যে ধরনের ইনিংস খেলি, এটা সেরকম ছিল না। তবে এটাই সেরা বলব না, কিন্তু সেরা ইনিংসের তালিকায় উপরের দিকেই রাখব। বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট। প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। একটু চাপা উত্তেজনা থাকাটাই স্বাভাবিক। প্রথম দিকে সেই কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে দলকে জেতাতে পেরে আমি খুশি। এই ইনিংস আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।’
একদিনের ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক রহিত। বহু রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিশ্বকাপেও কি কোনও রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর? প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় দলের ওপেনারটি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কখনই অন্য কারও রেকর্ড ভাঙার কথা ভাবি না। আমার কাজ হল দলের হয়ে ভালো খেলা। আর আমি সেই কাজটা নিষ্ঠার সঙ্গে করার চেষ্টা করি। কখনও সফল হই। কখনও ব্যর্থ। ওপেন করতে নেমে আমার একটাই টার্গেট থাকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ব। সেই সফর চলছে। আগামী দিনেও দলকে যত বেশি সম্ভব ম্যাচে জয় এনে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
বিশ্বকাপে চার নম্বরে কাকে খেলানো হবে, সেটাই ছিল ভারতীয় দলের সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। প্রথম ম্যাচে লোকেশ রাহুল চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। কিন্তু বড় রান পাননি। শুরুটা ভালো করেও তিনি উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। তবে লোকেশ রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে রহিত বলেন, ‘এটা হয়তো ঠিক গত ম্যাচে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল বড় রান পায়নি। তবে ও কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করছিল। বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল রাহুল। আমার কাছে ওর ২৬ রানটা হাফ-সেঞ্চুরির মতোই মূল্যবান মনে হয়েছে। আমি আশাবাদী, বিশ্বকাপে ও আরও ভালো পারফর্ম করবে।’
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে রহিতের সেঞ্চুরি পাওয়া মোটেও কাকতলীয় নয়। কারণ, দু’বছর আগে এই ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে অনবদ্য ব্যাটিং করেছিলেন ভারতীয় দলের ওপেনারটি। তিনি পাঁচটি ইনিংসে করেছিলেন ৩০৪ রান। যা তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াতে নিঃসন্দেহে সাহায্য করেছে। রহিত জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাফল্য এবারের বিশ্বকাপে আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করছে। প্রথম ম্যাচ কখনই সহজ হয় না। কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতা আমাকে বড় ইনিংস খেলতে সুবিধা করে দিয়েছে।’