কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
শ্যুটিং চলছে গিরিশ পার্কের কাছেই লোহিয়া মাতৃসেবা সদন হাসপাতালে। সেখানে পৌঁছে দেখা গেল বাইক অ্যাক্সিডেন্টের পর বয়ফ্রেন্ড সৈকত (সুদীপ সরকার) বিছানায় শুয়ে। তাকে দেখতে ডাক্তার এসেছেন। ঘরের দরজার সামনে উৎকণ্ঠা নিয়ে দাঁড়িয়ে অটোপ্সি সার্জেন বিয়াস বন্দ্যোপাধ্যায় (চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী)। সে নিজে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঘটনাচক্রে আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনায় নিহত বেশকিছু শবদেহর পোস্টমর্টেমের দায়িত্ব আসে বিয়াসের কাঁধে। পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে প্রতিটা দেহে একটি বিশেষ উপাদানের সন্ধান পায় বিয়াস। বিয়াসের বিশ্বাস এটা নেহাত কাকতালীয় ঘটনা নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অ্যান্টি ক্যান্সার ড্রাগ ট্রায়াল! বিয়াস জড়িয়ে পড়ে চিকিৎসা পরিষেবার প্রদীপের আড়ালের অন্ধকার জগৎটার সঙ্গে। সে কি পারবে চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দিতে? ‘কর্কট রোগ’-এর অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, রাজেশ শর্মা, জয়ন্ত কৃপালনী, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, আর্য দাশগুপ্ত প্রমুখ।
বাংলা ও হিন্দিতে তৈরি হচ্ছে এই ওয়েব সিরিজ। তাই একই শট দুবার করে টেক করতে হচ্ছে পরিচালককে। তাঁর কথায় যাকে বলা যায় ‘৫৭ দিনের শিডিউল, নতুন অভিজ্ঞতা’। ‘ভীতু’র পর আবার ফ্লোরে ফিরতে এতটা সময় লাগল কেন? ‘আসলে আমি যে ধরনের ছবি করতে চাইছিলাম তার জন্য প্রযোজক পাচ্ছিলাম না। আবার প্রযোজকরা যে ধরনের ছবি আমাকে অফার করছিলেন সেটা আমার পছন্দ হচ্ছিল না’, স্পষ্ট উত্তর উৎসবের। এই প্রথম ওয়েব সিরিজে চিত্রাঙ্গদা। ‘মহিলা ফরেনসিক সার্জেন এমনিতেই কম। তাই চরিত্রটা আমাকে আকর্ষণ করে’, বলছিলেন ওয়েব সিরিজের ‘পোকা’ চিত্রাঙ্গদা। জানা গেল চরিত্রের জন্য তাঁকে বাস্তবের অটোপ্সি সার্জেনের সঙ্গে ওয়ার্কশপও করতে হয়েছে।
দোতলার বারান্দায় ক্যামেরা রেডি। বিয়াসের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে এসেছেন ব্যবসায়ী রবিকান্ত আগরওয়াল (রাজেশ শর্মা)। হাসপাতাল বলেই এই দৃশ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র আর্টিস্ট। তাঁদের উৎসাহ দিতে কোনও কসুর করলেন না রাজেশ। টেক শেষ হতেই তাঁর মুখে শোনা গেল ‘দাদা খুব ভালো হচ্ছে’ বা ‘দিদি চেষ্টা করলেই আপনি আর একটু ভালো করতে পারবেন’। নিজেই বলে উঠলেন, ‘কে বলেছে বাংলায় প্রতিভার অভাব।’ প্রচণ্ড গরমে এই এনার্জির রহস্য জিজ্ঞাসা করতেই সেই পরিচিত হাসির সঙ্গে উত্তর এল ‘একটাই রহস্য, আমি অভিনয়কে ভালোবাসি।’ কিছুক্ষণ পর একতলায় মেকআপ ভ্যানের বাইরে পাওয়া গেল ইন্দ্রনীলকে। এই সিরিজে তিনি পুলিস অফিসার বরুণ সরকারের চরিত্রে। ইদানীং বাংলায় কাজ কমিয়েছেন কেন? ‘আসলে আমি এখন মুম্বইতে ধারাবাহিকের কাজে ব্যস্ত। তাই কলকাতায় বেশি কাজ করতে পারছি না’, জানালেন তিনি। বছরের শেষে ফ্যাটফিশ এন্টারটেনমেন্টের প্রযোজনায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে দেখা যাবে আট পর্বের এই ওয়েব সিরিজ।
অভিনন্দন দত্ত
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়