পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে বনদপ্তরের ঘুম উড়েছে। জঙ্গলে আগুন লাগানো বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিটি গ্রামে বন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করা হচ্ছে।
রঘুনাথপুর রেঞ্জের মধ্যে রঘুনাথপুর ১ ও ২, সাঁতুড়ি ও নিতুড়িয়া ব্লক রয়েছে। এখানেই রয়েছেপঞ্চকোট, জয়চণ্ডী, বড়ন্তি বেড়োর মতো পাহাড়। প্রতি বছর যে পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন, গ্রীষ্ম পড়তেই সেই জঙ্গল পুড়ছে।
রঘুনাথপুরের রেঞ্জার নীলাদ্রি সখা বলেন, এখনও পর্যন্ত ১২-১৪টি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। সবমিলিয়ে জঙ্গলে আগুন লাগার ৪০টির বেশি ঘটনা ঘটেছে। তবে এলাকার মানুষের সহযোগিতা ও বনকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। জঙ্গলে আগুন রুখতে প্রতিটি এলাকায় বিভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে। রেঞ্জের ৭২টি বন কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
বর্তমানে বনকর্মীদের চোখে ঘুম নেই। দিনরাত জঙ্গলের আগুন নেভানোর কাজেই তাঁরা ব্যস্ত থাকছেন। তার উপর কর্মীর অভাব, কিছু কর্মী নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত, আগুন নেভানোর উন্নত যন্ত্রপাতির অভাব, পাহাড়ের উপরে দমকল না পৌঁছনোর মতো একাধিক সমস্যা রয়েছে।
এক বনকর্মী বলেন, এমনও দিন গিয়েছে, যেদিন একসঙ্গে চারটি জঙ্গলে আগুন লেগেছে। পঞ্চকোট, বড়ন্তি পাহাড়ের পাদদেশে বিভিন্ন গ্রাম রয়েছে। এসমস্ত পাহাড়ে আগুন নেভাতে আমাদের প্রচণ্ড পরিশ্রম হয়েছে। জঙ্গল পুড়লেও বনকর্মীদের চেষ্টায় আগুন লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।
সাঁতুড়ির বড়ন্তি এলাকার বাসিন্দা মিঠুন মাল বলেন, প্রতি বছর কেউ জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। বড়ন্তি পাহাড়ের নীচেই আমাদের গ্রাম। এবছরও রাতে জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। রাতেই স্থানীয় প্রশাসন, বনদপ্তর ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় আগুন থেকে লোকালয়কে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এলাকার বাসিন্দা পার্থপ্রতিম ফৌজদার বলেন, জঙ্গল আমাদের সম্পদ। যারা জঙ্গলে আগুন লাগাচ্ছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।