পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমান জেলা কৃষিনির্ভর। এখান থেকে ধান এবং আলু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এবছর দুর্যোগের কারণে আলু চাষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষিদের দু’বার আলু বীজ বসাতে হয়। সারের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। সারের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যু হাতিয়ার করে শাসকদল ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড এবিষয়ে সরব হওয়ায় প্রচারের ঝাঁজ আরও বাড়বে বলেই নেতৃত্বের দাবি।
এদিন সেলিমবাদের সভায় মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই দীর্ঘক্ষণ তাঁরা মঞ্চের সামনে বসেছিলেন। অভিষেক বলেন, বিজেপির এক নেত্রী বলেছেন ক্ষমতায় এলে তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে। একথা বলার পর দশ দিন কেটে গিয়েছে। বিজেপি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার মানে বোঝা যাচ্ছে এই বক্তব্যে তাদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার যতদিন রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেউই বন্ধ করতে পারবে না। বর্ধমান পূর্বের প্রার্থীকে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী করতে হবে।
এদিনের সভায় রাজ্যের দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং স্বপন দেবনাথও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যুব তৃণমূলে সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্ত সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও বহিরাগতদের বিসর্জনের ডাক দিয়েছেন। স্বপনবাবু বলেন, নবজোয়ারে এসে অভিষেকবাবু যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি রেখেছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্র না দিলে আবাস যোজনা টাকা ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে উপভোক্তারা পেয়ে যাবেন। অভিষেক বলেন, আমরা হাওয়ায় কথা বলি না। যা বলি সেটাই করি। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবাস যোজনার উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যাবেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় চাষিরা বড় ফ্যাক্টর। সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তারা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। সভা থেকে এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিষেক চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ায় খুশি তাঁরা। কৃষকরা বলেন, সারের দাম না কমলে আগামী দিনে অনেকেই চাষে উৎসাহ হারাবেন। চাষে আয় কমে গিয়েছে। ফসলের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। সেকারণেই সারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি।