ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
অমৃতাদেবীকে লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার পর কৃষ্ণনগরকে ‘রানিমার শহর’ বলে ডাকতে শুরু করেছেন বিজেপির নেতারা। গত সোমবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতাদেবী। সেই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা সামনে আসতেই শহরজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে সেই হলফনামা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে রানিমার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান দেখে চক্ষু চড়কগাছ আম জনতার। সেখানে রানিমা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই। স্বামী সৌমেশ চন্দ্র রায়ের নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।
হলফনামা থেকে জানা গিয়েছে, রানিমার স্বামীর নামে নদীয়া জেলায় প্রায় ৩০ একর জমিতে ১৯টি প্লট রয়েছে। পাশাপাশি কলকাতায় ১.৩২ একর জমি রয়েছে। সবমিলিয়ে রানিমার স্বামীর নামে ৩১.৪ একর জমি রয়েছে। যার বাজার মূল্য ২৩৪ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৭টাকা। কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির মূল্য ৩১৯ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৭০ টাকা। সবমিলিয়ে টাকার অঙ্কটা ৫৫০কোটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হলফনামা অনুযায়ী, রানিমার অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৪৫ টাকা। অলঙ্কার বলতে ৪৫ গ্রামের সোনার গয়না রয়েছে রানিমার। রানিমার স্বামীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা।
কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ দত্ত বলেন, হলফনামায় বেশ কিছু অসংলগ্নতা রয়েছে। এনিয়ে আমরা পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেব। তবে বিজেপি বলেছিল কৃষ্ণনগর নাকি রানিমার শহর। কিন্তু, রাজবাড়ির কোনও কিছুই বিজেপি প্রার্থীর নামে নেই। আর তাছাড়া এতই যখন বর্তমানে রাজবাড়ির সম্পত্তি রয়েছে, তা দিয়ে শহরের জন্য কিছু করলে শহরবাসীর উপকার হতো।
কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, রাজবাড়ির সম্পত্তি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাঁরা বহু জমি কৃষ্ণনগর শহরের জন্য দান করেছেন। আজ গোটা শহরটাই দাঁড়িয়ে আছে রাজবাড়ির বদান্যতায়। আমাদের প্রার্থীকে কারও থেকে হীরের আংটি কিংবা সোনার গয়না উপহার নিতে হয় না। ওসব তৃণমূলের প্রার্থী করেন।