ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রকে বিজেপি ও তৃণমূল দুই শিবিরই পাখির চোখ করেছে। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর দু’বার করে জনসভা তাতেই সিলমোহর দিয়েছে। তেহট্ট বিধানসভায় প্রায় ১৫ শতাংশ মতুয়া ভোট রয়েছে। সেই ভোট নিজেদের দিকে আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে দুই শিবিরই।
উল্লেখ্য, তেহট্ট বিধানসভা ২০১১ সালে নতুনভাবে তৈরি হওয়ার পর তিনটে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। তারমধ্যে ২০১১ সালে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে এই বিধানসভায় জয়ী হয় সিপিএম। বাকি দু’বার এই কেন্দ্র থেকে জয় পায় তৃণমূল। ২০২১ সালে সিপিএমকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি দু’হাজারের সামান্য বেশি ভোটে লিড পেয়েছিল। এবার এই বিধানসভা থেকে বিজেপি আরও বেশি ভোটে লিড পেতে চাইছে। যে কারণেই অলআউট ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নিজে দু’বার সভা করলেন।
তৃণমূল কংগ্রেসও ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের ফল ধরে রাখতে চাইছে। দুই দলের দুই হেভিওয়েটের নির্বাচনী জনসভার পর এই কেন্দ্রে কি হবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে যেভাবে মতুয়াদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে মতুয়ারা তাদেরই সমর্থন করবে। শুক্রবার অবশ্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মতুয়াদের ন্যায় দেওয়ার জন্য সিএএ লাগু কার্যকর হবেই বলে জানিয়েছেন। মতুয়া সমাজ নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছিল। সিএএতে সেই দাবি মানা হয়নি বলে মত মতুয়াদের। এনিয়ে তারা নানা ধরনের প্রতিবাদ করেছিল। তাই মোদির গ্যারান্টির পরেও মতুয়ারা তাদের পাশে থাকবে কি না, সেটাই বিজেপির কাছে চিন্তার। এই কেন্দ্রে বামেদের একটা বড় ভোট আছে। যে ভোট ২০১৯ ও ২০২১ সালে রামে গিয়েছিল। সেই ভোট এবার ধরে রাখা বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ। মোদির সভার পর সেই ভোট বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে।
বিজেপির নদীয়া জেলা উত্তরের সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, মোদিজির সভার পর তেহট্ট বিধানসভায় গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় আরও বেশি ভোটে আমরা লিড পাব। তেহট্টের শ্যামনগরের জনসভা ভিড়ই প্রমাণ করছে আমরা কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জিতব।
তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, মানুষের দিদির উপর ভরসা আছে। দিদি কথা দিলে কথা রাখেন, এটা মানুষ বুঝে নিয়েছে। তাই এই বিধানসভায় আমাদের লিড হবেই। ভোটাররা কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের আমাদের প্রার্থীকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।